শাবি প্রতিনিধি

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৬:০০

বশেমুরবিপ্রবিতে সাংবাদিক বহিষ্কারের ঘটনায় শাবি প্রেসক্লাবের নিন্দা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কর্মরত সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তার।

অবিলম্বে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারপূর্বক বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনকে স্বৈরাচারমূলক আচরণের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহবানও জানিয়েছেন শাবি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেন, কথিত অভিযোগে জিনিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিপন্থী এবং একই সাথে তা নারীকে দমিয়ে রাখারর পুরুষতান্ত্রিক ধৃষ্টতা ও স্বৈরশাসনকেই প্রতিষ্ঠা করে।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্ত বুদ্ধি ও মুক্ত চিন্তা চর্চার সর্বোচ্চ অঙ্গন। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র খ্যাত ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রূপকার। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরচারী শাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে তার স্বীয় চরিত্র থেকে বিচ্যুত করছে। কথিত অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সিন্ডিকেটের সভা ছাড়াই বশেমুরবিপ্রবির সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার স্বৈরশাসনের অশনিসংকেত বহন করে।

"বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে নারীর অবস্থান সুদৃঢ় হলেও বাংলাদেশের নারীরা পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির যাতাকলে পড়ে এখনও অনেক পিছিয়ে। সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশায় বাংলাদেশে নারী অবস্থান মাত্র ১৩ শতাংশ। জিনিয়ার সাথে উপাচার্যের কথোপকথন, হুমকি সর্বোপরি স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতির বহিষ্কার তাকে মানসিকভাবে আঘাত করা ও সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশা থেকে তার স্পৃহাকে দমিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা।''

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে অতি শিগগির জিনিয়ার ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য আহবান জানান তারা।

উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট প্রতিবেদন তৈরির জন্য উপাচার্যের বক্তব্য নিতে তার কার্যালয়ে যান ‘ডেইলি সান’ পত্রিকার বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া।

এ সময় উপাচার্য তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া তার একটি স্ট্যাটাস ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কি হওয়া উচিত?’ এর ব্যাখ্যা জানতে চান।

ফাতেমা নিজ বক্তব্য তুলে ধরলে উপাচার্য তাকে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক আদেশে ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত