সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৯:১৭

পদত্যাগে বিদায় উপাচার্য নাসিরউদ্দিনের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে তাকে প্রত্যাহারে তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরদিন সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এদিকে, তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী দীপুমণি বলেন, ‘আমরা খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। এখন আইন অনুযায়ী পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’

খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি রোববার তাকে উপাচার্যের পদ থেকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। এরপর গতকালই সন্ধ্যার পর পুলিশ প্রহরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে যান তিনি।

উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা।

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ, ভর্তি ও কেনাকাটা থেকে শুরু করে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখতে বহিস্কার, অশোভন আচরণ, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার ঘটনা নিয়েও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শুধু তা-ই নয়, উপাচার্যের মতো একটি সম্মানিত পদে থাকা খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির মতো গুরুতর অভিযোগ নিয়েও গণমাধ্যমে সংবাদ হয়েছে।

এছাড়াও উপাচার্যের বাসভবনের কাছে একটি বিউটি পারলারের অনুমোদন দিয়েও তিনি আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন।

সবশেষ অভিযোগ হলো, প্রশাসনের নির্দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যার প্রতিবাদে তারই প্রশাসনের দুজন সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত ১১ দিন ধরে টানা আন্দোলন করে আসছেন।

এমন প্রেক্ষাপটে ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক তথ্যাদি জানাতে অনুরোধ করে। এর পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর ইউজিসির সদস্য মুহাম্মদ আলমগীরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত