সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ অক্টোবর, ২০১৯ ২১:২০

শাবিতে ড. ছদরুদ্দিন আহমদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে শাবিপ্রবির মিনি অডিটোরিয়ামে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩০তম বর্ষ উদযাপন কমিটি এ বক্তৃতার আয়োজন করে। বিকেল তিনটায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে স্মারক বক্তৃতা শুরু হয়।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩০তম বৎসর উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শামছুন নাহার বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাক।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাক বলেন, প্রথম উপাচার্য ড. ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষকদের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় এনেছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল শাবিপ্রবিকে সেন্টার অব এক্সিলেনস হিসেবে গড়ে তোলা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানের আজকের শাবিপ্রবির বীজ বপন করেছিলেন অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দিন  চৌধুরী। ড. ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী নেতৃত্বে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গড়ে ওঠার বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেন অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাক।   

তিনি আরও বলেন, নানা কারণে শিক্ষাঙ্গনে সংকট। অতি দুর্বল প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায়তনে প্রবেশ, শেখার আনন্দ সৃষ্টিতে ব্যর্থতা, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণে অবহেলা, সন্তানের সাধ্যাতীতভাবে অভিভাবকদের ভালো ফলাফলে চাপ, সবাই মিলে ভালোকে ভালো মন্দকে মন্দ না বলা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কথা ও কাজের মিল হ্রাস, দীর্ঘকাল সর্বস্তরে দুর্বল শিক্ষকদের নিয়োগ, পরীক্ষা পদ্ধতি সঠিক না থাকা, শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগে নির্বাচন পদ্ধতি যুগোপযোগী না হওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী রাজনীতি অস্থিরতার কারণ। শিক্ষক ও প্রশাসন আন্তরিক হলে বিদ্যায়তনে শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন নয়। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের সন্তানদেরকে দিন দিনই বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

স্মারক বক্তৃতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। উপাচার্য বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর ড্রপ কালচার রোধ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ, সেশনজট শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছি। নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, এখন এক হাজার ২০০ কোটি টাকার কাজ এসেছে। এটাকে কেন্দ্র করে অন্ধকার থেকে বিভিন্ন চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চলছে। সব চাপকে অগ্রাহ্য করে সবাইকে নিয়ে আলোর পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন।

অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাকের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মেয়ে ও শাবিপ্রবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩০তম বছর উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শামসুন্নাহার বেগমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক বদিউজ্জামান ফারুক প্রমুখ।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত