শাবি প্রতিনিধি

০৩ নভেম্বর, ২০১৯ ১৪:০৯

শাবি থেকে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দুটি পৃথক হামলা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২১৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, সাত শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টার বহিষ্কার ও বিভিন্ন পরিমাণে টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে আরও এক সেমিস্টার বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।

অন্যদিকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো মারামারি কিংবা সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সদস্য আশরাফ কামাল আরিফ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থী ও অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহবুব আল আমিন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ রানা, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া, একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও একই অনুষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী সজীব, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ সোহাগ, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. রিশাদ ঠাকুর।

এরা সবাই শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনের অনুসারী।

এছাড়া ফরেস্ট্রি এন্ড এনভারনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান নাঈমকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশিদ রাসেলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব সরকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র ও জিআই পাইপ দিয়ে মাথা ও পিঠে আঘাত করে শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনের অনুসারীরা। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন।
-

আপনার মন্তব্য

আলোচিত