শাবি প্রতিনিধি

০৯ নভেম্বর, ২০১৯ ১৬:০১

শাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ‘মনোয়ারা বেগম ট্রাস্ট ফান্ড’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে ‘মনোয়ারা বেগম ট্রাস্ট ফান্ড’। বিভাগের মেধাবী ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলতি বছরের জুন মাস থেকে কাজ করে যাচ্ছে এ ট্রাস্ট ফান্ড।

বিভাগের অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তারের মায়ের নামে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চেক হস্তান্তরের মাধ্যমে এ ট্রাস্ট ফান্ডের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এটি বিভাগে চালু হওয়া প্রথম ট্রাস্ট ফান্ড।

অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার মনোয়ারা বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা। এ ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে সার্বিক দায়িত্বে পালন করছেন তিনি।

চলতি বছরের জুন মাসে বিভাগের চারজন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি তালিকায় মনোনীত করে এ ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ২০১৭-১৮ সেশনের নিকলেশ চন্দ্র দাশ ও একই বর্ষের রোমা আক্তার, ২০১৬-১৭ সেশনের রুবেল মিয়া ও আইরিন আক্তার লিনজা।

অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বলেন, আমার মা বাংলা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং এ বিষয়ে শিক্ষকতাও করেছেন। আর আমিও বাংলা বিভাগের শিক্ষক। সুতরাং শিক্ষক হিসেবে নিজের বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতা থেকেই বৃত্তিটা চালু করেছি। এ ট্রাস্ট ফান্ডের আর্থিক সহায়তায় যদি একজন শিক্ষার্থী জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে, তবে একটা পরিবার উঠে দাঁড়াবে। এটাই এই ট্রাস্টের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

এই বিষয়ে বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আশরাফুল করীম বলেন, বাংলা বিভাগের জন্য প্রথমবারের মতো এ ধরনের বৃত্তি চালু হলো। অবশ্যই এটি মহৎ উদ্যোগ। বিষয়টি আরও ভালো লাগার যে, আমাদের বিভাগের শিক্ষক নিজ উদ্যোগে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য এরকম একটি মেধাবৃত্তির সুযোগ তৈরি করেছেন। এই মেধাবৃত্তি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

উল্লেখ্য, বৃত্তিদাতা মনোয়ারা বেগম চাঁদপুর জেলার লেডি প্রতিমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষিকা। ১৯৩৫ সালের ১ মার্চ চাঁদপুর জেলার আলিমপাড়াস্থ ‘সিরাজ মঞ্জিল’-এ তার জন্ম। পিতা মরহুম সিরাজুল ইসলাম এবং স্বামী মরহুম আবদুল হাকিম উভয়ই ছিলেন ওই অঞ্চলের খ্যাতনামা আইনজীবী। তিনি ১৯৫১ সালে লেডি প্রতিমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৯৫৬ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ১৯৬২ সালে ইডেন কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করার পর শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করলেও শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখতে তিনি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত