শাবি প্রতিনিধি

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৪:৫৬

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শাবিতে আলোচনা সভা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভা ও আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এ সময় বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ ভাগে আজকের এই দিনে এদেশের রাজাকার, আল-বদর, দোসরদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী হত্যা করেছিল শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীকে।

সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বাঙালি জাতি, পালন করে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, একাত্তরে বিজয়ের সূচনালগ্নে পাক বাহিনী এদেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল, যাতে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউ না থাকে। পাকবাহিনীর এমন বর্বরতার সাথে যোগ দিয়েছিল রাজাকার, আল বদররা। তাদের এমন হত্যাকাণ্ডের কারণে এ দেশ ও জাতি কয়েকশত বছর পিছিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এদেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রাজাকারদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা অন্যান্যদেরও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

আলোচনা সভা ও আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মহান আত্মত্যাগ যাতে আমাদের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম জানতে পারে সেজন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। বই-পুস্তকসহ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে রচিত অন্যান্য প্রকাশনাগুলোকে সহজ ভাষায় লিখে সহজলভ্য করতে হবে। এতে করে তরুণেরা বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে জানতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আগামীর সোনার বাংলা গড়তে নিজেকে তৈরি করতে পারবে।

আলোচনা সভায় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত