সাব্বির হোসাইন, শ্রীধাম কর্মকার ও বিপ্লব কর্মকার

২২ জানুয়ারি, ২০১৬ ২২:৫২

একাত্তরের দানব যুদ্ধাপরাধী ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে সড়ক থাকবে কেন?

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফজলুল কাদের চৌধুরীর ভূমিকা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ ছিল ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সাকা চৌধুরী ও তাঁর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন।২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের অভিযানে ঢাকায় যখন পাকিস্তানি বাহিনী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে, তখন চট্টগ্রামে ফকা চৌধুরী ও তাঁর ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে তোলেন।স্বাধীনতাকামী মানুষকে প্রতিহত করার জন্যই এই বাহিনী গড়ে তোলা হয়।তখন তাঁরা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেন।’

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালীন সময়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া ১৫তম সাক্ষী তৎকালীন ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিন আহমেদ ট্রাইব্যুনালে বলেছেন:

১৯৭১ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরীর নির্দেশে দুই বন্ধুসহ আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় গুডস হিলে। জিন্নাহ টুপি পরা ফজলুল কাদের চৌধুরীর সামনে যখন আমাদের হাজির করা হয়, তখন তিনি আমাদের দেখেই উত্তেজিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল শুরু করে দেন এবং বলেন, ‘তোরা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছিস!’

নিজাম উদ্দিন বলেন, এরপর তিনি (ফজলুল কাদের) আমাকে জাপটে ধরে ঘুষি মেরে বলেন, ‘তোরা জয়বাংলা জয়বাংলা করছিস, আর হিন্দুরা ধুতির কোচা নাড়ছে।’ আমাদের দেখিয়ে তিনি সেখানে উপস্থিত তার লোকদের নির্দেশ দেন, ‘ওদের বানাও’।

এরপর ফজলুল কাদের চৌধুরীর নির্দেশে তাঁদের উপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়।

কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের কর্ণধার নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যা, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজাফফর আহমদ ও তাঁর পুত্র শেখ আলমগীরকে অপহরণ করে হত্যা এবং সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় সংঘটিত গণহত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল পাকিস্তানের দালাল পিতা-পুত্র ফজলুল কাদের চৌধুরী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে ফজলুল কাদের চৌধুরীর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ভয়াবহতা বর্ণনা করে ১৯৭২ সালের ০৮ জানুয়ারি দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়-
‘ফজলুল কাদের চৌধুরী ২৫ শে মার্চের পর থেকে চাটগাঁয় অত্যাচারের যে স্টিমরোলার চালিয়েছিলেন, আইকম্যান বেঁচে থাকলে এই অত্যাচার দেখে তাঁকে নিশ্চয়ই স্যালুট দিতেন।’

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় জুড়ে ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে চট্টগ্রাম শহর, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ারা, পটিয়া ও বোয়ালখালী সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে বাঙালিদের খুন-ধর্ষণ-লুটপাট, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা-নির্যাতন, হিন্দুদের বাড়ি দখল-দেশান্তরে বাধ্য করার মতো ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের পর পাকিস্তানের দালাল যুদ্ধাপরাধী ফজলুল কাদের চৌধুরী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিল।১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রায় দেড় মণ সোনাসহ একটি নৌযানে করে পালানোর সময় আনোয়ারা উপজেলার গহীরা উপকূলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েন।মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির বিরুদ্ধে ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে শুধু রাউজান থানাতেই ফজলুল কাদের চৌধুরীর ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।পরবর্তীতে দালাল আইনে ফজলুল কাদের চৌধুরী কর্তৃক সংঘটিত একাত্তরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়। বিচারচলাকালীন অবস্থায় ১৯৭৩ সালের ১৭ জুলাই ফজলুল কাদের চৌধুরী হার্টএটাকে মারা যায়।

ফজলুল কাদের চৌধুরীর পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।ফজলুল কাদের চৌধুরী যে ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ একাত্তরে সংঘটিত করেছিল, সে বেঁচে থাকলে তারও হয়তো ফাঁসির রায় হতে পারতো।তবে, এটুকু শান্তির যে, বিচার চলাকালীন সময়ে কারাগারে তার মৃত্যু হয়।

পাকিস্তান আমলে বাঙালির অধিকার আদায়ের সব আন্দোলন ও দাবির বিরোধিতায় ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী।বাঙালি জাতিকে ফজলুল কাদের চৌধুরী দেখতেন নিঁচুজাত হিসেবে; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালে তার পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার ও তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর বাঙালি বিদ্বেষ ও বাঙালি জাতির প্রতি ঘৃণার কথা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির স্বাধীনতার দাবির বিরোধিতায় তিনি শুধু করেননি, বরং পাকিস্তান বাহিনীকে সহযোগিতা করা সহ বাঙালির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছিলেন।

তিনি ও তার পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাকিস্তান বাহিনীর প্রধানতম দালাল হয়ে কাজ করেছিলেন; চট্টগ্রামে শান্তি কমিটি, রাজাকার বাহিনী, আলবদর ও আলশামস বাহিনী গঠনে তিনি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন।একাত্তরে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি গণহত্যা শুরু করার পর মুসলিম লীগের শীর্ষনেতা মালিক মোহাম্মদ কাসিমকে সাথে নিয়ে ফজলুল কাদের চৌধুরী গভর্নর টিক্কা খানের সাথে দেখা করে কিভাবে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করা যায় এবং বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সংগ্রাম ধূলিসাৎ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাকিস্তানের প্রধানতম দালাল হিসেবে এই অঞ্চলে বাঙালি গণহত্যা ও নির্যাতনে তিনি প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন।তার গুডস হিলের বাড়িটি চট্টগ্রামের একটি প্রধান নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো।  ফকা-সাকা গুডস হিলে বন্দীদের ভয়ংকর পদ্ধতিতে নির্যাতন করা হতো; পানির পিপাসায় কাতর হয়ে গেলে বন্দীদের প্রস্রাব দেয়া হতো।নির্যাতন করার জন্য গুডস হিলে একটি পেরেক লাগানো টেবিল ছিল; যাতে হাত-পা বেঁধে বন্দীদের শোয়ানো হতো আর একটি তক্তা দিয়ে চেপে ধরা হতো; ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যেত এইসব দুর্ভাগা বাঙালির বন্দীদের শরীর।

মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামে সংঘটিত বাঙালি গণহত্যা ও নির্যাতনে ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভূমিকা ছিল দালাল হিসেবে সর্বোচ্চ এবং মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে তিনি ও তার পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বাঙালির বিরুদ্ধে ভয়ংকর মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছিলেন।

চট্টগ্রামে পাকিস্তানের পক্ষে বাঙালির উপর উনি যে ভয়াবহ নির্যাতন করেছিলেন, সে সময়ে চট্টগ্রামে তার সম্পর্কে প্রচলিত উক্তি শুনলেই বুঝতে পারা যায়; সে সময় তাকে বলা হতো- ইয়াহিয়া খানের লেফটেন্যান্ট জেনারেল।তাদের অপরাধের ভয়াবহতার মাত্রা বুঝবার জন্য সেক্টর’স কমান্ডার্স ফোরামের শীর্ষ পঞ্চাশ যুদ্ধাপরাধীর তালিকাটি দেখা যেতে পারে, যাতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও ফজলুল কাদের চৌধুরীর অবস্থান যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ নং। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় হতে প্রকাশিত ১৫ খণ্ডের 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র' বইতে পিতা-পুত্র ফজলুল কাদের চৌধুরী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একাত্তরের ভূমিকা ও মুক্তিযুদ্ধের সময় ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অনেক তথ্য বর্ণিত আছে।


যুদ্ধাপরাধীদের নামে সড়কের নামকরণ পরিবর্তন
স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে স্থাপনা, সড়ক, অবকাঠামোর নামকরণ স্থগিত চেয়ে ২০১২ সালে হাই কোর্টে একটি রিট করেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবীর। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৪ মে রুলসহ খান-এ সবুর ও শাহ আজিজুর রহমানের নাম ব্যবহার স্থগিতের আদেশ দেয় হাই কোর্ট।সেইসঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের নামে থাকা সড়ক, স্থাপনা ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, পরিবর্তনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সেসবের নামকরণ কেন করা হবে না এবং যারা ওই নামকরণের জন্য দায়ী, তাদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

আদালতের ওই নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে না জানিয়ে গত ২৫ অগাস্ট আরেকটি আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।এরপর হাই কোর্ট যে আদেশ দেয়, তাতে ‘খান-এ-সবুর’ সড়কের নাম প্রত্যাহার করে আগের ‘যশোর রোড’ নামটি ব্যবহার করতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শাহ আজিজুর রহমান’ মিলনায়তনের নামও প্রত্যাহার করতে বলা হয়।

২৯ শে নভেম্বর ২০১৫ ইং তারিখে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ খুলনার মেয়রকে ১৫ দিনের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের নামে স্থাপনার নামকরণের তালিকা আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেন।এর আগে গত ৩ নভেম্বর এক আদেশে একই বেঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিজড়িত ‘খান-এ-সবুর’ সড়কের নাম প্রত্যাহার করে আগের ‘যশোর রোড’ নামটি ফিরিয়ে আনতে আদালতের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলেছিল। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল সাত দিনের মধ্যে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শাহ আজিজুর রহমান’ মিলনায়তনের নাম প্রত্যাহারের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে কি না, তাও প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলেছিল এই বেঞ্চ।

মুসলিম লীগের নেতা খান-এ-সবুর পাকিস্তান আমলে ছিলেন আইয়ুব খানের মন্ত্রী। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে বিচার শুরুর সময় প্রকাশিত ছয়শ স্বাধীনতাবিরোধী অপরাধীর তালিকাতেও তার নাম ছিল। সেই স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের নামেই পরে যশোর রোডের নামকরণ করা হয়।বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ থেকে কলকাতার দমদম পর্যন্ত এই সড়ক ধরেই একাত্তরে লাখো মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল ভারতে। তাদের দুর্দশা দেখেই আমেরিকান কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ লেখেন তার বিখ্যাত কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’, যা সে সময় বিশ্বকে নাড়া দেয়।১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর এই সড়ক হয়েই বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ কলকাতা থেকে শত্রুমুক্ত যশোরে পৌঁছান।

সড়ক ছাড়াও খান-এ-সবুরের নামে কয়েকটি স্কুল ও মাদ্রাসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে খুলনায়।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে আদেশ প্রতিপালন করেছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনও করেছে।


এবার চট্টগ্রামের পালা
চট্টগ্রামেও এমন একটি সড়ক রয়েছে চকবাজারের জয়নগর থেকে প্রবর্তক পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধী ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে জানতে চেয়েছি - এই নামটি কি থাকা উচিত?

তথ্য সহায়িকা:
* বাংলাপিডিয়া - বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ
* যেভাবে সাকার রাজনৈতিক উত্থান প্রকাশিত-দৈনিক জনকণ্ঠ-৩০ জুলাই ২০১৫
* দৈনিক জনকণ্ঠ-৩১ জানুয়ারি, ২০১০ তারিখে প্রকাশিত রিপোর্ট
*http://www.ntvbd.com/opinion/15924
*http://www.banglanews24.com/fullnews/bn/443135.html
* ICSF নিউজ আর্কাইভিং (http://bit.ly/1JT1BMR )

আপনার মন্তব্য

আলোচিত