রা’আদ রহমান

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ২২:১৫

‘ভাষাসৈনিক’ গোলাম আজম সমীপেষু!

ভাষা আন্দোলন নিয়ে আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত ভাষা আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন আবুল কাশেম ও অধ্যাপক গোলাম আজম।। প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলীর সামনে সাহস করে বাংলাকে রাষ্ট্র করার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন গোলাম আজম । অথচ, ইতিহাস থেকে পরবর্তীতে তার নামটি মুছে ফেলা হয়েছে।অথচ, আজ ইতিহাস বিকৃত করে নতুন নতুন ভাষা সৈনিক সৃষ্টি করা হচ্ছে…
--জামায়াতের আমীর মকবুল আহমাদ, ২২ ফেব্রুয়ারি, জামায়াত আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের বক্তব্যে।

কথাগুলো নতুন না, নব্বইয়ের দশকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে ওঠার সময় থেকেই একাত্তরের আলবদর বর্তমানে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা এই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে আসছে। জামায়াতের মুখপাত্র সংগ্রাম পত্রিকায়, শিবিরের পোস্টারে, ব্যানারে, এমনকি অনেক সুশীল ভদ্রলোককেও দেখি অধ্যাপক গোলাম আজমকে কেন ভাষা সৈনিক হিসেবে সালাম, বরকত,জব্বার, রফিকের সাথে স্মরণ করা হয় না এই নিয়ে কেঁদেকেটে আকাশবাতাস ভারী করে ফেলতে। তবে কি সত্যিই গোলাম আজম ভাষা সৈনিক ছিল?

না, সুশীলসমাজের ভদ্রলোকেরা, গোলাম আজম ভাষাসৈনিক ছিল না, সে ছিল জগতের নিকৃষ্টতম কাপুরুষ পল্টিবাজ।

১৯৪৮ সালের ২৭ নভেম্বর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র সমাবেশে ভাষণ দেবার পর ছাত্ররা তার উদ্দেশ্যে একটা মানপত্র পাঠ করে। তাতে বাঙলা ভাষা নিয়ে কিছু কথা ছিল। সেই মানপত্রটি পাঠ করে তৎকালীন ছাত্র সংসদ তথা স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সেক্রেটারি গোলাম আজম। কেন সে পাঠ করল? মানপত্রটা তো পাঠ করার কথা ছিল ছাত্র ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ সাহার। তবুও মানপত্রটা গোলাম আজম পাঠ করল কারণ একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী যদি বাঙলা ভাষার দাবীতে মানপত্র পাঠ করে, তবে মুসলিম লীগের মৌলবাদী ধর্মান্ধরা বাঙলাকে হিন্দুয়ানী ভাষা হিসেবে প্রচারের একটা অজুহাত পাবে। আর তাতেই গোলাম আজম হয়ে গেল ভাষা সৈনিক, তার সেই মানপত্র পাঠের দুর্ঘটনাকে ৬০ বছর পর আজ তাকে বানিয়ে দিচ্ছে রফিক, বরকত,শফিকের মত ভাষাসৈনিক!!

অনেক সুশীলই এখানে তীব্র আপত্তি জানিয়ে প্রশ্ন তুলবেন, কেন, দুর্ঘটনা হবে কেন ? এটা দুর্ঘটনা, কারণ ১৯৪৮ সালে যে গোলাম আজম ছাত্র ইউনিয়নের সেক্রেটারি হিসেবে ঘটনাচক্রে মানপত্র পাঠের সুযোগ পেয়েছিল, সেই গোলাম আজম অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বিশ্বাস করতো, বাংলা হল হিন্দুদের ভাষা, তাই এই ভাষায় কথা বলা প্রত্যেক বাঙালি হল হিন্দুস্তানি দালাল, পাকিস্তানের শত্রু। এই বিশ্বাসের প্রমাণ সে দিয়েছিল ১৯৭১ সালে, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর চালানো বর্বরতম গণহত্যাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে, নিজেকে সাচ্চা মুসলমান দাবি করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অকল্পনীয় বীভৎসতাকে ধর্মীয় বৈধতা দিয়ে, বাঙালি নারীদের ধর্ষণে আহবান জানিয়ে, যেন তাদের গর্ভে সাচ্চা পাকিস্তানী মুসলমানের জন্ম হয়। সে ছিল পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমীর, কেন্দ্রীয় পিস কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, আলবদর-আলশামস, রাজাকার বাহিনী তৈরির মাস্টারমাইন্ড।

জেনারেল টিক্কা খানসহ পাকিস্তানী নরপিশাচদের সাথে বৈঠকে বসে সে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে গণহত্যায় প্রত্যক্ষ মদদ ও পরিকল্পনা করেছিল, শেষমেশ যখন শত চেষ্টাতেও বাঙালিদের দাবিয়ে রাখা গেল না, তখন বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেধাশূন্য ফাঁপা খোলে পরিণত করবার জন্য পাকিস্তানী জেনারেল রাও ফরমান আলীর সাথে বৈঠকে বসে বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা তৈরি করে তার পোষা হায়েনার দল আলবদর-আলশামসের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিল প্রত্যেককে মেরে ফেলতে।

পৃথিবীর ইতিহাসে এমন বর্বর নৃশংসতা ও পৈশাচিকতায় গোলাম আজমের সাথে একমাত্র হিটলারের তুলনা হতে পারে।


শুধু পরিকল্পনাই নয়, পাকিস্তানী নরপশুগুলোকে প্রত্যক্ষভাবে ইসলামের দোহাই দিয়ে গণহত্যায় উৎসাহিত করা এবং উদ্বুদ্ধ করায় তার সমতুল্য আর কেউ ছিল না। বাঙালি নারীদের ধর্ষণ করতে গোলামআজম পাকিস্তানী সেনাদের আহবান জানিয়েছিল ইসলামের দোহাই দিয়ে, সফেদ শাদা দাড়ির একজন পরহেজগার হুজুরের লেবাসে, ইসলামের কাণ্ডারি হিসেবে সে পাকিস্তানী সেনাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল, ফতোয়া দিয়েছিল যে যুদ্ধক্ষেত্রে গনিমতের মাল জায়েজ। পাকিস্তানীরা দেরি করেনি। পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলামের এতো বড় অবমাননা, ইসলামের নামে এতো বড় পাপাচার আর কখনো ঘটেনি, কেউ কল্পনাই করতে পারেনি...

১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ কোনো গৌরবময় অর্জন নয় বরং তা হলো ‘পাকিস্তান বিভক্তি ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিষাদময় কাহিনী

- জীবনে যা দেখলাম (গোলাম আজমের আত্মজীবনী -৩য় খণ্ড)-পৃষ্ঠা-২১১ 

জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেই সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে গোলাম আজম তার আত্মজীবনীর ১৪৪ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করে।

যে রেযাকাররা (রাজাকার) দেশকে নাশকতামূলক তৎপরতা থেকে রার জন্য জীবন দিচ্ছে তারা কি দেশকে ভালবাসে না? তারা কি জন্মভূমির দুশমন হতে পারে?’

-জীবনে যা দেখলাম (গোলাম আজমের আত্মজীবনী -৩য় খণ্ড)-পৃষ্ঠা-২১১

‘পাকিস্তান টিকে থাকুক, আমাদের দেশ ভারতের খপ্পর থেকে বেঁচে থাকুক- এটা অবশ্যই আমাদের আন্তরিক কামনা (পৃ-১৫৬)।

দুই পৃষ্ঠা পরেই তিনি আক্ষেপ করে লেখেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা শান্তি কমিটির সঙ্গে শত্রুতা না করলে জনগণের পর্যায়ে শান্তি কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হতো না।

এরপরেও যারা গোলাম আজমের '৭১রের ভূমিকাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে তার '৪৮ সালের মানপত্র পাঠকেই সামনে এনে ভাষাসৈনিক হিসেবে গোলামআজমের স্বীকৃতি চান, তাদের জন্য এবার পল্টিবাজ কাপুরুষ গোলামআজমের কিছু অমিয় বানী পেশ করা যাক। একদা ছাত্র ইউনিয়নের সেক্রেটারি গোলামআজম ১৯৫৪ সালে প্রথম পল্টি নেয়, উপমহাদেশের জঘন্যতম মৌলবাদী ধর্মান্ধ শুয়োর আবু আলা মৌদুদির দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে যোগ দেন জামায়াতে ইসলামীতে। তারপর কর্মদক্ষতায় প্রমোশন পেয়ে পেয়ে ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৯ সালে আমীর পদে নিযুক্ত হয়।

এরপর ১৯৭০ সালে ১৮ই জুন এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরল স্বীকারোক্তিতে বলে,

উর্দু পাক-ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারণ ভাষা। জাতীয় ভাষার প্রশ্ন উঠার পর পাকিস্তানে বাঙলা ভাষার জন্য আন্দোলনকারীদের মধ্যে তিনিও একজন ছিলেন। (খালি একটা মানপত্র পড়ে?! ) কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিকোণ হইতে তাহা মোটেও সঠিক কাজ হয় নাই। বাঙলা ভাষার আন্দোলন করা ভুল হইয়াছে।

২০শে জুন ১৯৬৯ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় তার এ বক্তব্য প্রকাশিত হয়। গোলাম আজম ভাষা সৈনিক ছিল এই দাবি শুনে আরেক ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন, ড. মুহাম্মদ হান্নানের "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস" বইয়ের ৩৯৯ পৃষ্ঠায় গোলাম আজম সম্পর্কে বায়ান্নর কিংবদন্তী "ভাষা মতিন" বলেন:

জামাতের সাবেক আমীর গোলাম আজম ভাষা সৈনিক ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন উর্দুর পক্ষে। আবদুল মতিন বলেন, পাকিস্তানের একজন রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়েছেন, ভাষার দাবি সম্বলিত মানপত্র পাঠ করেছেন বলে অনেকে মনে করেন গোলাম আজম ভাষা সৈনিক। সে বক্তৃতা গোলাম আজম নিজের ইচ্ছায় বাংলাতে দেননি, ডাকসু নেতা হিসেবে কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের যে সিদ্ধান্ত ছিল তা বাস্তবায়ন করেছেন মাত্র। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আরে ভাই যিনি পাকিস্তানের পক্ষে থাকেন, তিনি কিভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে থাকেন? তিনি কিভাবে উর্দুর বিরোধিতা করেন? তাকে যারা ভাষা সৈনিক বলেন, তারা এটা ভাবলেই পারেন।

এ সম্পর্কে গীতিকার ত্রিকালদর্শী শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফফার চৌধুরী আরও স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করেছেন গোলাম আজমের ভুমিকা:
তারপরেও, সব যুক্তি মেনেও তালগাছটা আঁকড়ে ধরে বসে থাকতে ইচ্ছে করছে? আসেন তবে এইবার ১৬ জুলাই, ১৯৭১ সালে প্রকাশিত সহিশুদ্ধ সংবাদপত্র দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকীয়র দিকে চোখ বুলাই। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরেই পাকিস্তানী নরপশুগুলো মর্টারশেল দিয়ে তৎকালীন শহীদ মিনারটি গুঁড়িয়ে দেয়। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর এহেন "বীরত্বপূর্ণ" কাজকে সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে সংগ্রামে প্রকাশিত হয় হুজুর-এ-আলা গোলাম আজমের বানী। আসেন, পড়ে ধন্য হই!

"ইতিহাস কথা বলে” শিরোনামে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছিল :

আইয়ুব খানের গভর্নর আজম খান ছাত্রদের খুশী করার জন্য যে শহীদ মিনার তৈরি করলেন তাকে পূজামণ্ডপ বলা যেতে পারে কিন্তু মিনার কিছুতেই না। যাহোক সেনাবাহিনী সেই কুখ্যাত মিনারটি ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ গড়ে শহীদদের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন জেনে দেশবাসী খুশী হয়েছে।

কি, সন্দেহ আছে আরও? রাজনীতির প্রয়োজনে পশ্চাৎদেশ বাঁচাতে অনেক সময় আদর্শ-মূল্যবোধ জলাঞ্জলি দিতে হয়, বাতাস বুঝে সেইদিকে নৌকা বাইতে হয়, অনিচ্ছাসত্ত্বেও আপোষ করতে হয়। তারপর সুবিধাজনক সময়ে এরশাদ কাগুর মত পল্টি নিতে হয়, চোখের পটি উল্টায়ে ভালো মানুষ হয়ে যেতে হয়। জামায়াতের মাননীয় মারখোর-এ-আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম ঠিক এই কাজটাই করেছিলেন। '৪৮ সালের সেই সমাবেশে ক্ষুব্ধ ছাত্রদের সামনে তিনি দুর্ঘটনাবশত বাধ্য হয়েই বাঙলার ভাষার পক্ষে কথা বলেছিলেন, তার ঠিক টাইমে খাড়ার উপ্রে পল্টি নিয়ে সুবোধ বালকের মত লাইনে চলে এসেছিলেন। সেদিন যদি তিনি উর্দুর প্রতি তার নিঃশর্ত প্রেমের কথা ঘোষণা করতেন জিন্নাহর সামনে, বেদ্দপ ছাত্র-জনতা তাকে ওখানেই পুঁতে ফেলতো, স্বয়ং জিন্নাহর বাপেরও তাকে বাঁচাবার ক্ষমতা থাকতো না।

তারপরেও কিছু মানুষ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারির পবিত্র সকালে ভাষাসৈনিক গোলাম আজমের স্মরণে ভেউ ভেউ করে কাঁদবে, তারপরও কিছু মানুষ একাত্তরের অচিন্তনীয় পৈশাচিকতাকে পাকিস্তানের প্রতি দেশপ্রেমের ত্যানা দিয়ে পেঁচিয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করবে, তারপরও কিছু মানুষ অতীত ভুলে সামনের দিকে তাকাতে বলবে, একাত্তর ভুলে সাতচল্লিশকে আঁকড়ে ধরবে, সালাম-বরকত-রফিক-আলতাফ মাহমুদদের রক্তে ভেজা লাশের ওপর দাড়িয়ে খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে মানা করবে...

রক্তের টান... সবই রক্তের টান!

তথ্যসূত্র:
ভাষাসৈনিক গোলাম আজম’: একটি গোয়েবলসীয় প্রচারণার ব্যবচ্ছেদ
ভাষার প্রশ্নে গোলাম আজমের ভেলকিবাজি
মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা ও গণহত্যার প্রতীক

এ বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত