বিমান তালুকদার

০৫ এপ্রিল, ২০১৬ ১৫:০৭

পণতীর্থ নিয়ে ভাবনা

নজরুলের মৃত্যুক্ষুধায় দেখা যায় খ্রিস্টান ধর্মযাজকেরা নম্র শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা দিয়েও বেশিদূর এগোতে পারেননি। পরবর্তিতে সংখ্যাতত্ত্বে ধর্ম রন্ধ্রেরন্ধ্রে বাড়ার পর্বটি ম্লান ঠেকেছে।

ধর্মসম্প্রদায়ের জনসংখ্যাকে সংখ্যার হিসেবে শক্তি মনে করে (ন্যায়-অন্যায় বিচার না করে) কর্ম করা তো একধরণের আগুনখেলা। এই আগুনখেলায় অনেকেই বুঝে না বুঝে পুড়তে চলেছেন।

হালআমলের ইসকন যে কৌশলে সংখ্যার দিক থেকে ধর্মকে ব্যাবহার করে এগোচ্ছেন সেখানে হিন্দুধর্মের অনেকে শক্তি খোঁজে পান। আমার কাছে তা পশ্চাদপদ ঠেকে।
কারণ অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা তাদের মতো করে শাস্ত্রব্যাখ্যায় লিপ্ত হন এবং ক্ষেত্রবিশেষ গায়ের জোরও প্রদর্শন করেন।



পণতীর্থের ৫০০ বছর পূর্তি হতে চলেছে। বেশ ক'বছর যাবৎ ইসকন তীর্থভ্রমণকারীদের নম্র সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সেই সেবার অধিকারে সরকারের কাছে পুরো এলাকাটা হিন্দুধর্মের হয়ে তারা দাবি করতে পারেন। এক দিক থেকে সেটা যৌক্তিকও।

কিন্তু আমি মনে করি তীর্থ এলাকাটির দায়িত্ব তাদের হাতে তুলে দেওয়া সমীচীন নয়। বরং সরকারই তীর্থযাত্রীদের তীর্থকর্ম নির্বিঘ্নে সমাধা ও এর রক্ষণাবেক্ষণের পথ বের করার কথা ভাববেন। যাত্রীর দুঃসহ যোগাযোগ কষ্ট এবং দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময় এসেছে এটা নিয়ে ভাবার।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির এই সময়ে এসে যদি একজন তীর্থযাত্রী কিংবা ভ্রমণকারীর কোনরকম ক্ষতি হয় সেটা সরকারের দায়িত্বশীলতার উপর আঘাত আসে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আরো আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।

 


এ বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত