আরিফ রহমান এবং সহুল আহমেদ

০৪ জুন, ২০১৬ ১৯:৩৮

প্রিয় বাংলাদেশ, আর্মেনিয়ার গণহত্যাকে স্বীকৃতি দাও

সম্প্রতি জার্মান সরকার আর্মেনিয়দের ওপর ১৯১৫ তে অটোম্যান সাম্রাজ্য পরিচালিত ‘গণহত্যা’কে স্বীকৃতি দিয়েছে; প্রতিবাদ স্বরূপ এই স্বীকৃতিদানকে  'অজ্ঞতা ও অসম্মানের উদাহরণ' হিসেবে আখ্যায়িত করে তুরস্ক সরকার জার্মানী থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছ। অবশ্য এর পূর্বে আরো ২০ এর অধিক দেশ এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে, “বিংশ শতাব্দীর প্রথম গণহত্যা”টাকে স্বীকৃতিকারী দেশ সমূহের মধ্যে বাংলাদেশের নাম অনুপস্থিত।  




কিছুদিন আগেও নিজামীর ফাঁসির পর মুহূর্তেই তুরস্কের রাষ্ট্রীয়দূত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিল তুরস্ক। এর আগে সাকা, মুজাহিদদের বিচারের সময়ও বিচার ও ফাঁসির প্রতিবাদ জানিয়ে পাকিস্তানের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেছিল তুরস্ক সরকার। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে যে তুরস্ক সৌদির আরবের ঘটনায় বলে যে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, সেখানে তুরস্ক কোন প্রয়োজনে নাক গলাতে আসে বাংলাদেশের ব্যাপারে? কোন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তারা বারে বারে পাকিস্তান ও একাত্তরের তাদের দোসরদের পক্ষ নিচ্ছে?

প্রত্যেক ঘটনার দুটো দিক থাকে। নিজামীর ফাঁসির পর তুরস্কের মন্তব্য সামনে নিয়ে আসে তুরস্কের গণহত্যার কথা। যেই গণহত্যা ছাড়িয়ে যায় ১৯৭১ সালে পাক আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যাকেও।


আর্মেনিয়া জর্জিয়া ও আজারবাইজানের সাথে দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে কৃষ্ণ সাগর ও কাস্পিয়ান সাগরের স্থলযোজকের উপর অবস্থিত। ইয়েরেভান আর্মেনিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। জাতিগত আর্মেনীয়রা নিজেদের “হায়” বলে থাকে। আর্মেনিয়ার ৯০% লোক এই “হায়ঃ জাতির লোক। দেশটি ১৯২২ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রটি স্বাধীনতা লাভ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুর্কিরা আর্মেনিয়াদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়।

একটি রাষ্ট্রে কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়কে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক ধরে নিলে তাদের ওপর গণহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধে হয়। ১৯১৫ সালের আর্মেনীয় গণহত্যা তারই উজ্জ্বল প্রমাণ। ষাটের দশকে আমারাও ছিলাম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর চোখে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। সামরিক রাষ্ট্র অটোমানদের সঙ্গে পাকিস্তানের অনেক অনেক মিল। তিন বছরে ধরে চলমান এই গণহত্যায় সেই দেশে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়, অর্থাৎ, আর্মেনিয়ার প্রায় ৪৩% থেকে ৫৮% জনগোষ্ঠী নিঃশেষে হয়ে যায় মাত্র তিন বছরে।



তুরস্কে তখন, মানে ১৯১৫ সালের দিকে আর্মেনিয়ানদের সংখ্যা ছিল ২০ লাখ; আর ১৯২২ সালের দিকে যখন গণহত্যা শেষ হয় (দুই ধাপে) তখন পুরো অটোম্যান সাম্রাজ্যে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮৮ হাজারে। ১৯১৫ সালের ২৪ এপ্রিল ২৫০ জন বুদ্ধিজীবীকে গ্রেফতার এবং পরবর্তীতে তাদের হত্যার মাধ্যমে যে গণহত্যা শুরু হয়েছিলো সেটাতে তুরস্ক দেখিয়েছিলো নির্মমতার নতুন নতুন পদ্ধতি, পরবর্তীতে যা উৎসাহ জুগিয়েছিলো আরেক নরখাদক হিটলারকে। হিটলার যখন পোল্যান্ড আক্রমণের পরিকল্পনা করছিলো, তখন তার সামনে আন্তর্জাতিক আইনের প্রসঙ্গ তুললে সে বলেছিলো, “Who ever heard of the extermination of the Armenians?”

পাকিস্তানিদের সঙ্গে বেশ একটা মিল ছিলো তুর্কিদের। পাকিস্তানি ও জামায়াত নেতাদের মতো অটোম্যানের ধর্মীয় নেতারাও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সকল খ্রিস্টানকে(নিজেদের পক্ষের শক্তি ব্যথিত) ইসলামের শত্রু আখ্যা দিয়ে ‘জিহাদ’ এর ডাক দিয়েছিলেন। এবং অবশ্যই যেহেতু আর্মেনিয়ানরাও খ্রিস্টান সেহেতু তাদের বিরুদ্ধেও সে জিহাদ চলবে! এই উদ্দেশ্যেই ১৯১৪ থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে হাজার খানেক সন্ত্রাসীকে জেল থেকে বের করে অটোম্যান সাম্রাজ্য নতুন এক Special Organization গঠন করে, পরবর্তীতে যাদের ডাকা হত “butchers of the human species” নামে। আর্মেনিয়ানদের তাড়িয়ে দেয়া হলো সিরিয়ার মরুভূমির দিকে। ঐতিহাসিকদের মতে, আর্মেনিয়ানদের বিশাল একটা সংখ্যা সে মরুভূমিতেই ক্ষুধা ও তৃষ্ণাতেই প্রাণ হারান।

তুর্কিরা ম্যাসাকার চালানোর জন্যে প্রধানত যে সকল পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছিলো সেগুলো—
১) পুড়িয়ে মারা। Eitan Belkind নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন তিনি নিজেই ৫০০০ আর্মেনিয়ানদের পুড়িয়ে মারতে দেখেছিলেন। “The shortest method for disposing of the women and children concentrated in the various camps was to burn them.”

২) ডুবিয়ে মারা। মহিলা ও বাচ্চাদের নৌকায় তুলে দেয়া হতো এবং মধ্যসাগরে ডুবিয়ে দেয়া হতো সে নৌকা। একজন প্রত্যক্ষদর্শী লিখেছিলেন, “I saw thousands of innocent women and children placed on boats which were capsized in the Black Sea”। বলা হয়ে থাকে যে, শুধুমাত্র Trabzon প্রদেশেই ৫০ হাজার আর্মেনিয়ানকে ডুবিয়ে মারা হয়েছিলো।

৩) বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত গ্যাস ও রাসায়নিক দ্রব্যের মাধ্যমেও মারা হতো। উইকিপিডিয়ার তথ্যসূত্রে, এমন তিনটি পদ্ধতির কথা জানা যায়— Morphine overdose, Toxic gas এবং Typhoid inoculation. নারীদেরকে বিখ্যাত অটোম্যান হেরেমেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো।

একটু লক্ষ্য করলে আমরা দেখি একটা দিক দিয়ে কিন্তু আর্মেনিয়ানরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। সেটা হচ্ছে তারা অন্তত তাদের নিজের দেশের ওপর চলা গণহত্যাকে অস্বীকার করে না, আমরা করি। তারা পনেরো লাখ শহীদ কে দেড় লাখ বলে না যেমন আমরা অনেকে ১৯৭১ সালের শহীদের সংখ্যা তিরিশ লাখ থেকে তিন লাখে নামিয়ে আনতে কুণ্ঠা বোধ করি না।

মূলত আর্মেনিয়ার গণহত্যার নিয়ে তিনটা বয়ান শোনা যায়- ৮ লাখ, ১৫ লাখ, ২০ লাখ। তবে সবাই মিলে সংখ্যাটা ১৫ লক্ষ বলে মেনে নিয়েছে। এটা সেখানে একটা আইকনিক ফিগার। এই ১৫ লাখ শহীদদের নিয়ে অসংখ্য সাহিত্য রচনা করা হয়েছে। কেউ এটা নিয়ে বিতর্ক করে না। গণহত্যা নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের জন্য আর্মেনিয়ার গণহত্যা থেকে একটা শিক্ষাও নেয়ার আছে। এই গণহত্যায় আর্মেনিয়ার জনসংখ্যার ৪৩%-৫৮%কে হত্যা করেছিলো।

১৯১৫ সালের এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে শুরু হয়ে চলতে থাকে ১১ নভেম্বর ১৯১৮ অর্থাৎ প্রথম বিশ্ব-যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই গণহত্যা চলতে থাকে, অর্থাৎ এই গণহত্যা চলেছে ৪০ মাস ১৮ দিন ধরে।

আসুন হিসেব করে দেখা যাক যদি ৪০ মাসে যদি আর্মেনিয়ার মোট জনগোষ্ঠীর ৪৩%-৫৮% কে মেরে ফেলতে পারে তুর্কিরা,

তাহলে একই অনুপাতে তারা ৯ মাসে কত বাঙালীকে হত্যা করতে পারতো? সহজ ঐকিক নিয়মের হিসেবে হিসাব করে দেখা যায় সংখ্যাটা ১৩% এর উপরে, কিন্তু পাকিস্তানীরা নয় মাসে হত্যা করেছিলো আমাদের জনগোষ্ঠীর ৪%। অর্থাৎ আর্মেনিয়ার গণহত্যা আমাদের তুলনায় ৩ গুণের বেশি ভয়াবহ ছিলো। অথচ এই ৪%- অর্থাৎ তিরিশ লক্ষ শহীদকে মেনে নিতেই আমাদের এত সমস্যা এত প্রশ্ন!


এই হিসাবে চিন্তা করলে ১৯৭১ সালে যদি তুরস্ক বাংলাদেশে আক্রমণ করতো তাহলে শহীদের সংখ্যা হত ৯৭ লক্ষ ৫০ হাজার কিংবা তার চেয়েও বেশি। দেখা যাচ্ছে তুরস্কের নিজামীর ফাঁসি নিয়ে বাড়াবাড়ি আমাদের একটা উপকার করেছে- মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতাকে নিয়ে যারা সন্দেহ করে তাদের ধরে ধরে দেখানো যাচ্ছে বিশ্বময় গণহত্যার খতিয়ান।

১৯১৫ সালে তুরস্ক আর্মেনিয়ানদের ওপর যে গণহত্যা পরিচালনা করা হয়েছিলো তার ১০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে গত বছর। আর্মেনিয়ানরা এখনো স্বীকৃতি পায়নি ঘাতক তুর্কিদের কাছ থেকে, আমরাও স্বীকৃতি পাইনি পাকিস্তানের কাছে। এখনো আর্মেনিয়ানরা লড়ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য। তুরস্কই সম্ভবত পৃথিবীর গণহত্যার ইতিহাসে এক মাত্র জাতি যারা লাগাতার ১০০ বছর একটা জাতির আর্মেনিয়ার ওপর চালানো নির্মম গণহত্যাকে অস্বীকার করে আসছে। The Armenians were an enemy force, and their slaughter was a necessary war measure— এই যুক্তিকে ঘিরেই তারা আবর্তিত হচ্ছে গত একশো বছর যাবত। বলা হয়ে থাকে যে, “Genocide deniers are three times more likely to commit genocide again than other governments.” এই অস্বীকারের ফল পৃথিবী পেয়েছিলো হিটলারের মাধ্যমে মাত্র কয় বছরের মধ্যেই। গতবছর, ২০১৫ সালে আর্মেনিয়ানদের গণহত্যার শতবছরে তুরস্ক সরকারের প্রতি EU আবেদন জানিয়েছিলো যেন ‘গণহত্যা’টাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু এর জবাবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “In one ear and out from the other!”

আর্মেনিয়ানর মানুষও লাগাতার বিগত ১০০ বছর ধরে ১৯১৫ সালে তাদের ওপর চালানো গণহত্যার স্বীকৃতি চেয়ে আসছে তুরস্কের কাছে। সে হিসেবে পাকিস্তান তো নবীন। পাকিস্তান তো মাত্র ৪৫ বছর ধরে অস্বীকার করছে নিজেদের অপরাধ…

পাকিস্তানিরা গণহত্যা চালিয়েছিলো ১৯৭১ সালে, মাত্র ৪৫ বছর আগে। তাদের হাতে শহীদ হওয়া বাঙালিদের প্রথম প্রজন্ম এখনো জীবিত, তাদের হাতে নির্যাতিতরা এখনো জীবিত, পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধারা এখনো জীবিত, বীরাঙ্গনারা এখনো জীবিত তবুও পাকিস্তান স্বীকার করছে না তাদের নৃসংশতম পাপকর্ম। এই ২০১৫ সালে এসেও পাকিস্তানিরা অস্বীকার করছে গণহত্যার কথা, বলছে ভিত্তিহীন এসব অভিযোগ। ৩০ নভেম্বর পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণহত্যার কথা অস্বীকার করে বলা হয়, “baseless and unfounded assertions of Bangladesh against Pakistan.”

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নাকি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই অভিযোগ করে বাংলাদেশের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে সে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়,

“It is regrettable that attempts have been made by the Government of Bangladesh to malign Pakistan, despite our ardent desire to develop brotherly relations with Bangladesh. Pakistan believes that the peoples of both countries not only want to maintain but also further strengthen the bonds of friendship and brotherhood. However, sadly, the Government of Bangladesh does not seem to respect these sentiments.”

পাকিস্তান ও তুরস্ক— ৩২৪৬ কিলোমিটার দূরত্বের দুটো দেশকে যে জিনিস একই বিন্দুতে মিলিয়ে দিচ্ছে বার বার সেটা হচ্ছে ‘গণহত্যা’ অর্থাৎ Genocide এবং Denying Genocide। অবশ্য তুরস্ক যখন গণহত্যা চালায় তখনো Genocide শব্দটার উৎপত্তি হয় নি আর পাকিস্তান যখন গণহত্যা চালায় পৃথিবী তখন ভয়াবহতম দুটো গণহত্যার সাক্ষী। মোটামুটি ৫৫ বছর ব্যবধানে সংঘটিত দুটো গণহত্যা এক হয়ে যাচ্ছে আজ এই দুই দেশের আদর্শিক মিলের কারণে। দুই দেশই অস্বীকার করে চলেছে তাদের নির্বিচারে চালানো গণহত্যাকে, গণধর্ষণকে।

তুরস্ক আর পাকিস্তান একই কোম্পানির একই প্রোডাক্ট, খালি মোড়কটা আলাদা- এই যা। নিপীড়ক তুরস্কের কাছ থেকে কিছু শেখার না থাকলেও আমাদের নিপীড়িত বন্ধু আর্মেনিয়ার কাছে শিক্ষণীয় আছে অনেক কিছু। অন্তত দুইটা জিনিস আর্জেন্ট শেখা দরকার আমাদের:

১) আর্মেনিয়া আমাদের মত স্বজাতির গণহত্যা লুকায় না।
২) আর্মেনিয়ায় জেনোসাইড ডিনায়াল’ল আছে।

যে কোন গণহত্যাকে অস্বীকারের ফলে সমাজে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সেটা শুধু ব্যক্তি, গোষ্টি এবং আঞ্চলিকতাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সে প্রভাব বৈশ্বয়িক। আবার,  গণহত্যার ভিকটিমদের প্রাথমিক চাওয়া থাকে তাদের ওপর পরিচালিত অপরাধের স্বীকৃতি – সে চাওয়াটাও বৈশ্বয়িক। এই স্বীকৃতি আমাদের মানুষদের ‘সভ্য’ হওয়ার পরিচয় বহন করে। বিশেষজ্ঞরা তুরস্ক কর্তৃক “আর্মেনিয়ান গণহত্যা” অস্বীকার করাকে ‘Double Killing’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন, কেননা অস্বীকারের মাধ্যমে গণহত্যার ভিকটিমদের স্মৃতিটাকেও হত্যা করা হচ্ছে। আমাদের একদিকে যেমন চাওয়া হচ্ছে (ও আন্দোলন করছি) পাকিস্তান কর্তৃক একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতির জন্যে ঠিক একইভাবে এই সভ্য পৃথিবীর অংশ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র কর্তৃক ‘আর্মেনীয় গণহত্যা’কে স্বীকৃতি প্রদান করা। সভ্যতার প্রতি এই দায় পূরণে আমার প্রিয় এই দেশ কেন দূরে থাকবে?     


লেখকদ্বয়: অনলাইন এক্টিভিষ্ট ও প্রগতিশীল আন্দোলনের কর্মী

[মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত