সাজ্জাদ হোসেন সজীব

১৬ জুন, ২০১৬ ১৫:১৪

উন্নয়নের সীমানা আরও প্রশস্ত

বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের মানুষকে উপহার দিচ্ছেন একের পর সফলতা। সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া জি-৭ সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নতির ধারাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিলেন শেখ হাসিনা।

জি-৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, উন্নয়ন, প্রযুক্তি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উন্নয়নের সীমানাকে আরও প্রশস্ত করলেন। বাংলাদেশের সম্মানকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিলেন অনেক উপরে। বিশ্ব দরবারের রাষ্ট্র প্রধানরা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় মুখরিত। এটাও বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনেক বিরাট অর্জন।

বুলগেরিয়া সফর শেষ করার পরপরই তিনি জাপান সফর করেন। জি-৭ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর শেখ হাসিনা আরও একটি দেশ সফর করেন। সেটি হচ্ছে সৌদিআরব। সৌদিআরব সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সৌদি আরব সফরে বাংলাদেশের মানুষ এবং আওয়ামী লীগ সরকার তথা বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের জন্য এক নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে বলে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষকরা মন্তব্য করেছেন।

এই সফরের সফলতা ব্যাপক। বাংলাদেশি যারা ওই দেশে আকামা সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিল সেই জটিলতা দুই দেশের আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান হয়েছে। এক্ষেত্রে সৌদিআরব বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগ দিবে। যারা ঔই দেশে চাকুরীরত অবস্থায় আছে তাদেরও নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে দেশে পাঠানোর জটিলতাকেও শেষ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দু'দেশের আর্থসামাজিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক এতে আরো দৃঢ় হল।

বুলগেরিয়া সফরকালে দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ভিত্তিতে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের এ সফলতার জন্য বুলগেরিয়া জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু’র কন্যা শেখ হাসিনা এখন বিশ্বনেত্রী। এই সম্মান শুধু শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নয়, এ সফলতা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের। যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, এদেশের মানুষের মুক্তি চায়নি তথা এদেশকে আজও পাকিস্তানে রূপান্তর করার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত আছে তারাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দেশে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের হত্যা করার মাধ্যমে এদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করে পূর্বের আসন দখল করার ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত। কিন্তু শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে জয়রথ ছুটে চলছে তা, আর কোনও অপশক্তি থামাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচরণ এখন বিশ্বব্যাপী।

তবে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিএনপি-জামায়াত ও পাকিস্তানি এজেন্টরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদেরকে সনাক্তকরণের মাধ্যমে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কেননা, তারা এ সরকারের ক্ষতি সাধনের নিমিত্তে তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে সরকার থেকে পাওয়া ক্ষমতাবলে প্রতিনিয়ত অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

সরকার যদি এ বিষয়ে নাক-কান খোলা না রাখে তাহলে বিশেষ কোন ক্ষতি সাধনের জন্য তারা আরও উৎসাহী হতে পারে। বাংলাদেশ এখন অন্য আরেকটি দেশের জন্য বিস্ময়। তাই স্বাধীনতাবিরোধীরা এদেশের উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের হত্যা করছে। এদেরকে রুখে দিতে হবে, প্রতিহত করতে হবে। প্রয়োজন হলে সরকারকে আরও কঠিন থেকে কঠিনতর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নতুন প্রজন্ম তথা আমাদের মেধাবী প্রজন্মরা আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের অনুসারী। কেননা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর সরকার, প্রযুক্তির উন্নয়নের কাণ্ডারি। এই তিনটি দেশের সফর শেষে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার ফলে নতুন প্রজন্মের মনোবল আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন প্রজন্মরা দেশের জন্য আরো বেশি করে কাজ করার প্রত্যয় পেয়েছে। এ দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তরুণ প্রজন্মদের উন্নতি এবং সফলতার পথ দেখানোতে শেখ হাসিনার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে আজ বাংলাদেশ অনন্য একটি দেশ। বাংলাদেশের উন্নতির কথা এখন বিশ্বের মানুষের মুখে মুখে। এর মধ্যে জি-৭ সম্মেলনে জাপানে যোগদানসহ আরও দুইটি দেশ সফরের সফলতা অনেক। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও প্রসারিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন বলেই, মা-মাটির জন্য কাজ করেন বলেই আজ তিনি বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক নেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। এই সফরগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতি, কূটনৈতিক সম্পর্ক ও এদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ। এসব সফরের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা আর যেন কোন অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেদিকে সরকারকে যথেষ্ট খেয়াল রাখার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।

বিএনপি-জামায়াত ও পাকিস্তানপন্থীদের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে অপসারণের মাধ্যমে এদেশে অপতৎরতা বন্ধে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কেননা বাংলাদেশের উন্নয়নের সীমানা এখন আরও প্রশস্ত। তাই সকলকে বঙ্গবন্ধু’র কন্যা শেখ হাসিনার পাশে থেকে একাগ্রচিত্তে কাজ করে যেতে হবে।

সাজ্জাদ হোসেন সজীব : সাবেক ছাত্রনেতা ও সহ-সভাপতি বোয়াফ।
মুক্তমত/মতামত/কলাম বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত