রাজু আহমেদ

১৪ মে, ২০১৭ ০০:৩৮

মা, মাগো; তোমায় ভালোবাসি!

এক হরফে দিলেম লিখে একটি ইতিহাস
সৃষ্টি মাঝে তুমি মা’যে শ্রেষ্ঠ সে প্রকাশ
তোমার ত্যাগে প্রাণ পেল মা এ ধরণীর সব
ভুবন মাঝে তুমি মাগো আমার সেরা রব

আমার রক্তকণার, অনুকণায় একজন মানুষের অস্তিত্ব সর্বদা বিরাজিত। সে মানুষটির ত্যাগে আমার অস্থি-মজ্জার প্রতিটি পরত গঠিত হয়েছে, তিনি আমার গর্ভধারিণী, জন্মদাত্রী প্রিয় মা। আমার সবকিছুর যোগফলে আমি তাই, যা আমার মা আমাকে বানিয়েছে। যার ত্যাগে আমি প্রাণ পেয়েছি, যার ধৈর্যে আমি বেড়ে উঠেছি, তিনি-ই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কিংবদন্তী, সময়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, নিঃস্বার্থ শুভাকাঙ্ক্ষী, মমতা-করুণার আধার, সেরাদের সেরা মহীয়সী, জগত জননী মা আমার। একজীবনে তার কাছে যতখানি ঋণী হয়েছি, হাজারবার জনম পেলেও তার ছিটেফোঁটা শোধ করার সাধ্য আমার হবে না; কারো নেই।

নতুন করে বলার মতো মায়ের গল্প নেই
জন্ম দিয়েই ত্যাগ করেননি, মা’তো আমার সেই
ভুল করেও যে মায়ের কাছে নিরপরাধ ছিলাম
সেই মা’কে ভুলে যাওয়ার নির্বোধ কেমনে হলাম

স্বার্থের পৃথিবীতে মা’গুলোকে খুব বেশি বোকা মনে হয় ! তাইনা ? তাদের ভালো যেন তারা বুঝতেই পারেন না ! সন্তানের জন্য নিমিষেই ত্যাগ করেন ভোগের সব পথ। সন্তানকে বাঁচাতে কিংবা রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন এমন মায়ের দৃষ্টান্ত ধুলোর ধরাতে অযুত-নিযুত ঘুরে-ফিরে মায়ের শ্রেষ্ঠত্বের জানান দিচ্ছে। পৃথিবীতে একমাত্র স্বার্থহীন মানুষ মা, যিনি তার সন্তানকে স্বার্থহীনভাবে ভালোবাসেন। আবার এই মা-ই সবচেয়ে বড় স্বার্থপর কেননা সন্তানের স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি তার সকল আপন-স্বজন এমনকি গোটা পৃথিবীর সাথে স্বার্থ নিজ কলহে জড়িয়ে যেতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না। সন্তানের স্বার্থ রক্ষার ঊর্ধ্বে তার কাছে কোন নৈতিকতা নাই, নাই দায়িত্বের বাধ্যবাধকতা। একজন মায়ের কাছে একদিকে তার সন্তান, অন্যদিকে গোটা পৃথিবীর সব।

মৃত্যু পথে যে মা দিলেন নতুন জীবন উপহার
ব্যথা সয়েও তিনি হলেন জীবন গড়ার কারিগর
প্রভু আমার ভালো রেখো আমার মাকে সবখানে
জান্নাত নিজে লিখে দিও সব মায়েদের নসীবে

মা’কে নিয়ে নতুন করে কাব্য, মহাকাব্য লেখার দরকার পড়ে না। শুধু ‘মা’ ডাকেই বাধা পড়েছে সৃষ্টির সব সুবর্ণ রেখা। যে রব তুলতে স্বর ক্লান্ত হয়নি, জিহ্বা অবসাদক্লিষ্ট হয়না, সে কেবল মা’য়ের ডাক। পৃথিবীর সকল মধু যেনো ঢেলে রাখা হয়েছে মা’য়ের রবে। কিংবদন্তীর গল্প খুঁজতে ইতিহাসের পাতা হাতড়াতে হবে না, আমাদের প্রত্যেকটা মা-ই সোনালী অক্ষরে লেখা একেকজন মূর্ত কিংবদন্তী। কোন লেখা কিংবা উপমা দ্বারা মায়ের মহত্ত্ব-শ্রেষ্ঠত্বের সবটুকু ভাব ফুটিয়ে তোলার সাধ্য কারো নাই। মায়ের চেয়ে বড় সাধক নাই-জ্ঞানরাজ্যের দীক্ষক নাই। বেলা-অবেলায় মাগো তোমায় ভালোবেসে শুধু তৃপ্তি পেতে চাই। আমাদের সবার মায়েরা ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, থাকুক শান্তিতে। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও মায়েরা বাঁচুক আরামে।

রক্ত-ঋণের বোঝা শোধের শক্তি মোদের নাই
প্রভুর কাছে মায়ের জন্য শুধু কল্যাণ চাই
যেমন করে ছোট্ট বেলায় আগলে ছিলেন মোদের
প্রভু তুমি তেমন করে দেখে রেখো তাদের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত