১৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০৩:৩০
স্কুলে সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের শুরুতে ‘সভ্যতার বিকাশ’ শিরোনামে একটা চ্যাপ্টার ছিল। সেখানে পড়েছি, সভ্যতার বিকাশে আগুনের রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। মানুষ যেদিন পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালাতে শিখলো, সেদিন থেকে নাকি সভ্যতার অগ্রযাত্রা শুরু। আসলে আমাদের ভুল শিক্ষার শুরু সেখান থেকেই।
একটু বুঝিয়ে বলি। আমাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বাসে-প্রাইভেট কারে আগুন দেয়, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। খবরে বলা হয়, দাবি আদায়, অন্যায়ের প্রতিবাদ কিংবা কিঞ্চিত আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় তারা আগুন ইস্তেমাল করেছে। খবরে যেটা বলা হয় না, আসলে ওরা সভ্যতার বিকাশ ও অগ্রযাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। ওই চ্যাপ্টার স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এখনো বহাল তবিয়তে আছে।
সময় এখন বিকৃত ইতিহাস বাদ দিয়ে মানবসভ্যতা বিকাশের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার। ইতিহাসের এই দায় এবং পূর্বপুরুষের আজন্ম ঋণ থেকে বলছি, সত্যিটা হলো মানবসভ্যতার বিকাশে ডিমের রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। মানুষ যেদিন হাঁস-মুরগিকে বোকা বানিয়ে তাদের ডিম হাতিয়ে নিতে শিখেছে, সেদিন থেকে সভ্যতার বিকাশ শুরু।
ডিমের বহুমুখী ব্যবহার মানুষকে করেছে বলবান (অমলেট, মামলেট, পোজ, ভাজি, হাফ বয়েলড, ফুল বয়েলড ইত্যাদি) এবং সভ্যতার অগ্রযাত্রাকে করেছে বেগবান (পচা ডিম ছুঁড়ে মারা, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ডিমের ব্যবহার, ঘোড়ার ডিম ইত্যাদি)।
প্রকৃতপক্ষে, মানুষ ও ডিম একে অন্যের পরিপূরক। মানুষের জন্মপ্রক্রিয়া শুরুই হয় ‘ডিম্বাশয়’ থেকে। জন্মের পর জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হয় ডিমময়। বাচ্চাকালে কখনোই ডিম খায় নাই এমন মানবসন্তানের হদিস মেলা ভার।
শৈশবে ভালো-খারাপের মধ্যে পার্থক্য শেখাতে এবং অভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাতেও রয়েছে ডিমের ভূমিকা। আদর করে মুখে তুলে দেয়া ডিম আর পরীক্ষায় খাতায় পাওয়া ’জোড়া ডিম’ যে এক বস্তু নয়, তা অভিভাবক-শিক্ষকের পরস্পরবিরোধী প্রতিক্রিয়াতে স্পষ্ট হয়।
ডিম সম্পর্কে কতিপয় অগুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
আনোয়ার রোজেন: স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক জনকণ্ঠ।
আপনার মন্তব্য