আকাশ চৌধুরী

২২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৬:৪১

মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগে এতো আত্মীয়করণ কেনো?

মৌলভীবাজারের আওয়ামী লীগের বিরোধ চলে আসছে অনেকদিন ধরেই। মৌলভীবাজার আ'লীগের দুই শীর্ষ নেতা সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ আর সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ মহসিন আলীর মধ্যে বিরোধ নিয়ে জল অনেক ঘোলা হয়েছে। এই দু'জনের বিরোধে দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে দল।

সৈয়দ মহসিন আলী প্রয়াত হয়েছেন। আব্দুস শহীদও দৃশ্যত এখন দলের কোনো দায়িত্বে নেই। তবু থেমে থাকেনি বিরোধ। নতুন নেতারাও জড়িয়েছেন পুরোনো বিরোধে। সৈয়দ মহসিন আলীর মৃত্যুর পর তাঁর আসনে সাংসদ হন স্ত্রী সৈয়দ সৈয়দা সায়রা মহসিন। আর আব্দুস শহিদের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন তাঁরই অনুসারী নেছার আহম্মদ। শহিদ-মহসিনের পুরনো বিরোধ বহাল রেখেছেন এই নতুন নেতারাও।
 
এবার বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে। নির্বাচনের বছরেও এসে কমিটি নিয়ে এই বিরোধ প্রভাব পড়ছে দলে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবছরই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অথচ দেশব্যাপী এখনো অগোছালো আওয়ামী লীগের কমিটি। দলে কোন্দলও কম নেই। পদ পওয়ার আশায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারা দৌঁড়ঝাপ করে থাকেন কেন্দ্রে। মুখ পরিচিত কমিটি গঠন হয় অনেকাংশে; যা নিয়ে দলের মধ্যেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর ধরে যারা সম্মেলনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রত্যাশায় থাকেন, তাদের মধ্যেও কাজ করে হাতাশা। আর এর কারণ হলো সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করার পরও তারা দলের মধ্যে পৌঁছাতে পারেন না কাঙ্খিত স্থানে। আর এমনই খবর প্রকাশ হচ্ছে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে। সম্প্রতি কয়কেটি দৈনিকে এ নিয়ে খবর প্রকাশতি হয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকালে 'মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগে আত্মীয়করণে অসন্তোষ’ শিরোনামে খবরে বলা হয়, 'জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে পাল্টাপাল্টি নামের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে দলের হাইকমান্ডে। দীর্ঘ ১১ বছর পর গত অক্টোবরে দলটির কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতি-সম্পাদকসহ ক'জনের নাম ঘোষণা করে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা তৈরি করতে বলেন। তবে মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন, সংশ্লিষ্টরা পুরনো কমিটির অনেক ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আত্মীয়-স্বজনপ্রীতি করে একটি তালিকা কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে জমা দেন। এ তালিকায় ১৮ জনই একে অপরের নিকটাত্মীয়। এদের মধ্যে কেউ আপন ভাই, ভাগ্নে ও ভাতিজা, এমনকি সমদ্ধিও  রয়েছেন। আর দলের র্স্বাথে স্থানীয় সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসীন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর পাল্টা আরকেটি নামের তালিকা দাখিল করেন।'

৮ ফেব্রুয়ারী দৈনিক যুগান্তরে ’প্রস্তাবতি কমিটির ১৮ জনই আত্মীয়’-শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ’২০০৬ সালের পর থেকে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ছোট পরিসরে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে নেছার আহম্মদ কে সভাপতি ও মিছবাহুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া মুহিবুর রহমান তরফদার, শাহাব উদ্দিন ও আজমল হোসেনকে সহ-সভাপতি, ফজলুর রহমান, কামাল হোসেন, নওশেদ আলী খোকন যুগ্ম সম্পাদক ও  মো. ফিরোজকে জাতীয় পরিষদের সদস্য ঘোষণা করে কমিটির পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। অসম্পূর্ণ কমিটিতে উল্লেখিত নেতাদের নাম ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগে। অভিযোগ ওঠে বানিজ্যিক ও আত্মীয়করণের। দলীয় সূত্র জানায়, ঘোষিত এ কমিটির মধ্যে সভাপতি নেছার আহম্মদের ভায়রা ভাই সহ-সভাপতি আজমল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদ মিছবাহুর রহমানের ভাগ্নে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে যাদের নাম পাঠানো হয়েছে সেখানেও উঠেছে আত্মীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। এ তালিকাতেও বেশ ক'জন করে আত্মীয় রয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, এসব আত্মীয়দের মধ্যে রয়েছেন, সাধারণ সম্পাদ মিছবাহুর রহমানের মামাতো ভাই সংগঠনিক পদে নাম দেয়া সৈয়দ মনসুর আহম্মেদ, সদস্য পদে সৈয়দ রেজাউল করিম সুমন, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন কুটি, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুর রহমানের চাচা সহ-সভাপতি পদে গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য পদে আকবর আলী ও আজিজুর রহমান, সদস্য পদে আজিজুর রহমানের ভাতিজা নাহিদ আহম্মদ ও সজিব হাসান, ঘোষিত সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদারের ভাই সদস্য পদে আব্দুল বাছিত তরফদার, জাতীয় পরিষদের সদস্য মো. ফিরোজের  ভাগ্নে আনকার আহম্মদ ও সহ-সভাপতি পদে মাসুদ আহম্মদ এবং সদস্য পদে মাসুদ আহমদের সমন্ধি হায়দার আলীর নাম।’

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমাদের সময়- এ ’মৌলভীবাজার আ’লীগে আবার অসন্তোষ’- শিরোনামে খবরে বলা হয়, প্রবাসে দলের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করে যারা দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে রাজনীতি করছেন তাদেরকেও প্রবাসী দোয়াই দিয়ে কমিটিতে রাখা হয়নি।

কমিটির ব্যাপারে সৈয়দা সায়রা মহসীনের অভিযোগ- তিনি এলাকার সাংসদ হওয়ার পরও তাঁর সাথে যোগাযোগ না করেই কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়েছে।

আর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহম্মদের দাবি, কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। যদি আত্মীয়করণ হয়ে থাকে তা আমরা নয়, ওবায়দুল কাদের করেছেন।'
 
এ অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসবে, এক কমিটির মধ্যে কেনইবা ১৮ জন আত্মীয় থাকেন? দলের স্বার্থেই হাইকমান্ডকে বিবেচনা করতে হবে- কাদের নেতৃত্বে বা কাদের কমিটিতে স্থান দিলে সব কূল রক্ষা হবে এবং তাদের উপরেই বর্তাবে দলের ভবিষ্যত।

এখানে মনে রাখা উচিত যে, মৌলভীবাজার মরহুম অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের এলাকা। তিনি এখনো অনেক জনপ্রিয় সাধারণ মানুষের কাছে। ফলে আওয়ামী লীগের এ গৃহদাহের কারনে প্রতিপক্ষ সুযোগ নেবে-এটাই স্বাভাবিক। তাই এখন উচিত আত্মীয়-বানিজ্য বা স্বজনপ্রীতি বাদ দিয়ে দল রক্ষায় এগিয়ে আসা।

মৌলভীবাজারের আওয়ামী লীগের বিরোধ চলে আসছে অনেকদিন ধরেই। মৌলভীবাজার আ'লীগের দুই শীর্ষ নেতা সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ আর সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ মহসিন আলীর মধ্যে বিরোধ নিয়ে জল অনেক ঘোলা হয়েছে। এই দু'জনের বিরোধে দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে দল।

সৈয়দ মহসিন আলী প্রয়াত হয়েছেন। আব্দুস শহীদও দৃশ্যত এখন দলের কোনো দায়িত্বে নেই। তবু থেমে থাকেনি বিরোধ। নতুন নেতারাও জড়িয়েছেন পুরোনো বিরোধে। সৈয়দ মহসিন আলীর মৃত্যুর পর তাঁর আসনে সাংসদ হন স্ত্রী সৈয়দ সৈয়দা সায়রা মহসিন। আর আব্দুস শহিদের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন তাঁরই অনুসারী নেছার আহম্মদ। শহিদ-মহসিনের পুরনো বিরোধ বহাল রেখেছেন এই নতুন নেতারাও।
 
এবার বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে। নির্বাচনের বছরেও এসে কমিটি নিয়ে এই বিরোধ প্রভাব পড়ছে দলে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবছরই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অথচ দেশব্যাপী এখনো অগোছালো আওয়ামী লীগের কমিটি। দলে কোন্দলও কম নেই। পদ পওয়ার আশায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারা দৌঁড়ঝাপ করে থাকেন কেন্দ্রে। মুখ পরিচিত কমিটি গঠন হয় অনেকাংশে; যা নিয়ে দলের মধ্যেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর ধরে যারা সম্মেলনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রত্যাশায় থাকেন, তাদের মধ্যেও কাজ করে হাতাশা। আর এর কারণ হলো সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করার পরও তারা দলের মধ্যে পৌঁছাতে পারেন না কাঙ্খিত স্থানে। আর এমনই খবর প্রকাশ হচ্ছে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে। সম্প্রতি কয়কেটি দৈনিকে এ নিয়ে খবর প্রকাশতি হয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকালে 'মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগে আত্মীয়করণে অসন্তোষ’ শিরোনামে খবরে বলা হয়, 'জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে পাল্টাপাল্টি নামের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে দলের হাইকমান্ডে। দীর্ঘ ১১ বছর পর গত অক্টোবরে দলটির কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতি-সম্পাদকসহ ক'জনের নাম ঘোষণা করে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা তৈরি করতে বলেন। তবে মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন, সংশ্লিষ্টরা পুরনো কমিটির অনেক ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আত্মীয়-স্বজনপ্রীতি করে একটি তালিকা কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে জমা দেন। এ তালিকায় ১৮ জনই একে অপরের নিকটাত্মীয়। এদের মধ্যে কেউ আপন ভাই, ভাগ্নে ও ভাতিজা, এমনকি সমদ্ধিও  রয়েছেন। আর দলের র্স্বাথে স্থানীয় সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসীন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর পাল্টা আরকেটি নামের তালিকা দাখিল করেন।'

৮ ফেব্রুয়ারী দৈনিক যুগান্তরে ’প্রস্তাবতি কমিটির ১৮ জনই আত্মীয়’-শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ’২০০৬ সালের পর থেকে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ছোট পরিসরে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে নেছার আহম্মদ কে সভাপতি ও মিছবাহুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া মুহিবুর রহমান তরফদার, শাহাব উদ্দিন ও আজমল হোসেনকে সহ-সভাপতি, ফজলুর রহমান, কামাল হোসেন, নওশেদ আলী খোকন যুগ্ম সম্পাদক ও  মো. ফিরোজকে জাতীয় পরিষদের সদস্য ঘোষণা করে কমিটির পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। অসম্পূর্ণ কমিটিতে উল্লেখিত নেতাদের নাম ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগে। অভিযোগ ওঠে বানিজ্যিক ও আত্মীয়করণের। দলীয় সূত্র জানায়, ঘোষিত এ কমিটির মধ্যে সভাপতি নেছার আহম্মদের ভায়রা ভাই সহ-সভাপতি আজমল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদ মিছবাহুর রহমানের ভাগ্নে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে যাদের নাম পাঠানো হয়েছে সেখানেও উঠেছে আত্মীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। এ তালিকাতেও বেশ ক'জন করে আত্মীয় রয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, এসব আত্মীয়দের মধ্যে রয়েছেন, সাধারণ সম্পাদ মিছবাহুর রহমানের মামাতো ভাই সংগঠনিক পদে নাম দেয়া সৈয়দ মনসুর আহম্মেদ, সদস্য পদে সৈয়দ রেজাউল করিম সুমন, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন কুটি, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুর রহমানের চাচা সহ-সভাপতি পদে গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য পদে আকবর আলী ও আজিজুর রহমান, সদস্য পদে আজিজুর রহমানের ভাতিজা নাহিদ আহম্মদ ও সজিব হাসান, ঘোষিত সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদারের ভাই সদস্য পদে আব্দুল বাছিত তরফদার, জাতীয় পরিষদের সদস্য মো. ফিরোজের  ভাগ্নে আনকার আহম্মদ ও সহ-সভাপতি পদে মাসুদ আহম্মদ এবং সদস্য পদে মাসুদ আহমদের সমন্ধি হায়দার আলীর নাম।’

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমাদের সময়- এ ’মৌলভীবাজার আ’লীগে আবার অসন্তোষ’- শিরোনামে খবরে বলা হয়, প্রবাসে দলের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করে যারা দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে রাজনীতি করছেন তাদেরকেও প্রবাসী দোয়াই দিয়ে কমিটিতে রাখা হয়নি।

কমিটির ব্যাপারে সৈয়দা সায়রা মহসীনের অভিযোগ- তিনি এলাকার সাংসদ হওয়ার পরও তাঁর সাথে যোগাযোগ না করেই কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়েছে।

আর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহম্মদের দাবি, কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। যদি আত্মীয়করণ হয়ে থাকে তা আমরা নয়, ওবায়দুল কাদের করেছেন।'
 
এ অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসবে, এক কমিটির মধ্যে কেনইবা ১৮ জন আত্মীয় থাকেন? দলের স্বার্থেই হাইকমান্ডকে বিবেচনা করতে হবে- কাদের নেতৃত্বে বা কাদের কমিটিতে স্থান দিলে সব কূল রক্ষা হবে এবং তাদের উপরেই বর্তাবে দলের ভবিষ্যত।

এখানে মনে রাখা উচিত যে, মৌলভীবাজার মরহুম অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের এলাকা। তিনি এখনো অনেক জনপ্রিয় সাধারণ মানুষের কাছে। ফলে আওয়ামী লীগের এ গৃহদাহের কারনে প্রতিপক্ষ সুযোগ নেবে-এটাই স্বাভাবিক। তাই এখন উচিত আত্মীয়-বানিজ্য বা স্বজনপ্রীতি বাদ দিয়ে দল রক্ষায় এগিয়ে আসা।

লেখক: সাংবাদিক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত