রাসেল আল মাসুদ

২৬ এপ্রিল, ২০১৮ ১২:৫১

‘পবিত্রতা’ রক্ষার্থে মহিলা প্রবেশ নিষিদ্ধ

দিন কয়েক আগের ঘটনা। পহেলা বৈশাখের উৎসব সবে শেষ হয়েছে সারাদেশে। মানুষের রঙ-বেরঙের পোশাক পরে দল বেধে ঘোরাঘুরিও প্রায় শেষ। এদিকে ঘরকুনো আমি ঘরে বসে ফেসবুক স্ক্রল করে যাচ্ছিলাম। সেখানেই চোখে পড়লো একটা সাইনবোর্ডের ছবি, যেখানে লেখা- ‘শাহী ঈদগাহর পবিত্রতা রক্ষার্থে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। আদেশক্রমে- এলাকাবাসী’। এই হল সূত্রপাত।

বন্ধু-বান্ধব সহ কাছের মানুষদের সাথেসাথেই দেখালাম ছবিটা। সবাই খুব হতাশ হলো। অনেকে গালিগালাজ করলো কাঠমোল্লাদের, কেউ পিণ্ডি চটকালো পুরুষতন্ত্রের। কেউবা আবার এটাকে ‘সিলেটি মানসিকতা’ বলে চিহ্নিত করলো। আমাদের বহু ঘটন-অঘটনের ব্যক্তি ও জাতীয়জীবনে এই ক্ষুদ্র বিষয় এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু আমি এবং আমার এক বন্ধু শেষ করলাম না। সিদ্ধান্ত নিলাম, সরেজমিনে গিয়ে দেখে আসি ব্যাপার কী। দুজনে মিলে তাই বিকেলবেলা রিকশায় চেপে ঘুরতে গেলাম সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ প্রাঙ্গণে।

ঈদগাহে গিয়ে কী কী ঘটনার সম্মুখিন হলাম তা বলার আগে সিলেটের শাহী ঈদগাহ নিয়ে কিছু আলাপ পাড়তে চাই। ঈদগাহ নামে সিলেটে একটা এলাকা আছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই জানতাম। কিন্তু যা জানতাম না তা হল সেখানে আসলেই একটা আস্ত ঈদগাহ ময়দান আছে। কোনোদিন ওইদিকে যাওয়া হয়নি বলেই এই অজ্ঞতা ছিল আমার। পরে ঈদগাহ এলাকায় ছাত্র পড়ানোর সুবাদে চেনা হল জায়গাটা। অবাক হয়ে দেখলাম শহরে মাঝে রীতিমত সাজানো গোছানো একটা পার্ক এর মতন করে বানানো এই ঈদগাহ যা আর দশটা ঈদগাহ থেকে আলাদা। ময়দানে খানিক দূরে দূরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, প্রতিটি গাছের গোঁড়া ইট দিয়ে বাঁধানো। এক প্রান্তে ওজু করার জন্য শান বাঁধানো পুকুর, অপর প্রান্তে টিলার উপর ১৫টি গম্বুজ সম্বলিত মূল ঈদগাহর মেহরাব ও নামাজ পড়ার জায়গা। তার পাশেই সুউচ্চ অলঙ্কার খচিত মিনার। মিনারের পাদদেশে রীতিমত বাগান করে মানুষজনের জন্য বসার চমৎকার ব্যবস্থা করে দেওয়া। দেখা গেল, অন্যান্য জায়গার ঈদগাহের মত সিলেটের এই ঈদগাহ ঈদের নামাজ ব্যতিত বছরের বাকি দিনগুলোতে ফাঁকা পড়ে থাকে না। সকাল বিকাল অনেক মানুষ এই প্রাঙ্গণে আসেন, বসেন, আড্ডা দেন। কেউ আসেন পরিবার-পরিজনসহ। কেউ বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে। সিলেট শহরে ক্যাম্পাস আর রেস্টুরেন্ট ব্যতিত একটুখানি বসার মতো কোনো জায়গা নেই, এই অভিযোগ ছিল পরিচিত অনেকেরই। এই ঈদগাহ সম্ভবত সেই অভাব খানিকটা হলেও পূরণ করে আসছিল।

ঈদগাহে যাওয়া আসা শুরু করার অনেক দিন পর, এই কিছুদিন আগে জানতে পারলাম এর বয়স। দশ-বিশ-পঞ্চাশ এমনকি একশো বছর নয়! এর বয়স প্রায় চারশত বছর। বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, এটিই দেশের প্রাচীনতম ঈদগাহ। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নির্মাণ করেন এটি। শুধু তাই নয়, এই স্থানেই সংঘটিত হয় সিলেট অঞ্চলের ইংরেজবিরোধী প্রথম অভ্যুত্থান। অতীতে সভা সমাবেশের জন্যও বেছে নেয়া হত এই স্থানটিকেই। ফলস্বরূপ এই ঈদগাহ প্রাঙ্গণেই বক্তৃতা করে গেছেন মহাত্মা গান্ধী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মত ভারতবর্ষের বাঘা বাঘা সব নেতারা। এইসব তথ্য জেনে রীতিমত অভিভূত হয়ে যাই শুধু এটা ভেবে যে, না জেনেই এমন একটা ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণে দিনের পর দিন আড্ডা মেরে এসেছি আমরা এতদিন!

ফেরত যাই পূর্বোল্লিখিত ঘটনায়। বিকেলবেলা আমরা দুজন প্রবেশ করলাম ঈদগাহে। প্রবেশ করার মুখেই চোখে পড়ল সেই ‘পবিত্রতা বজায় রাখতে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ’ সাইনবোর্ড। ভিতরে ঢুকে দেখি এই সাইনবোর্ড একটা দুটো না। পুরো প্রাঙ্গণ জুড়েই খানিক পরপর এটি ঝোলানো। কোথাও লেখা আদেশক্রমে ‘এলাকাবাসী’, কোথাও ‘কর্তৃপক্ষ’। ব্যাপারটা এমন, এখানে ঢোকার পর সাইনবোর্ডটি চোখ এড়ানো একেবারেই অসম্ভব। আমরা দুইজন ঘুরে ঘুরে সাইনবোর্ডগুলো দেখছি এবং কী কী বানান ভুল করেছে তা খুঁজে বের করছি। এক পর্যায়ে একটা গাছের বেদিতে বসা মাত্র এক যুবক আমাদের দু’জনের দিকে তেড়ে এল। সে এসেই আমাদেরকে সাইনবোর্ডটি দেখিয়ে দিল, কেননা আমাদের দু’জনের একজন হল ‘মহিলা’। আমরা এর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। তাই আগন্তুক যুবককে আমাদের পাশে বসার অনুরোধ করলাম। জিজ্ঞেস করলাম সাইনবোর্ডগুলো কারা লাগিয়েছে, কেন লাগিয়েছে ইত্যাদি। বলা বাহুল্য, যুবক আমাদের পাশে বসলেন না। দাঁড়িয়ে থেকেই তর্ক জুড়ে দিলেন এবং অন্যদের ফোন করে ডাকতে লাগলেন। দু-চার মিনিটের মধ্যে চার-পাঁচজন জড়ো হয়ে গেল। তাদের এক কথা। মহিলাদের এই ঈদগাহ প্রাঙ্গণে আসা যাবে না। যদি বলি কেন আসা যাবে না, তখন তারা বলে মহিলাদের ঢোকার অনুমতি দিলে এখানে ‘অসামাজিক কাজ’ হয়। আমার বন্ধুটি আবার এক কাঠি সরেস! সে বলল, “আচ্ছা, তাহলে আপনারা যেটাকে ‘অসামাজিক কাজ’ বলছেন, তা করতে তো অন্তত দুইজন লাগে। তার মানে তো দাঁড়াল একা একজন মহিলা ঢুকতে পারবে এখানে। যেহেতু একা একা সে আর ‘অসামাজিক কাজ’ করতে পারবে না”।

এইসমস্ত কথায়-বার্তায় মিনিট দশেক পরে হঠাৎ খেয়াল করলাম আমাদের ঘিরে ৬০-৭০ জনের একটা ভিড় তৈরি হয়ে গেছে। এর মধ্যে উৎসুক জনতা যেমন ছিল, তেমনি ছিল ‘এলাকাবাসী’ কমবয়সী যুবকেরা এবং ঈদগাহের রক্ষণাবেক্ষণকারী শুভ্র দাড়ি-পাঞ্জাবির বৃদ্ধ। ভিড়ের মধ্য থেকে একেকজন আমাদের একেক কথা শোনাচ্ছে। আমরা কিছুক্ষণ তাঁদের কথাগুলো শুনলাম। এরপর দাঁড়িয়ে বললাম, “আপনারা তো বললেন। এবার আমাদের কথা একটু শুনুন”। শুরুতে বললাম ধর্মীয় বিধিনিষেধের কথা। সামনে উপস্থিত শুভ্র দাড়ি-পাঞ্জাবির বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করলাম, “আপনি বলুন, ইসলাম অনুসারে ঈদগাহে মহিলাদের প্রবেশে কোথাও নিষেধ করা আছে কিনা”। বৃদ্ধকে নিরুত্তর দেখে শেষে নিজেই বললাম, “ইসলাম ধর্মে কোথাও ঈদগাহে মহিলা প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় নি। বরং ঈদের সময় তাঁদের উৎসাহিত করা হয়েছে ঈদগাহে যাওয়ার জন্য”।

তাঁদের জানালাম এই ঈদগাহ প্রাঙ্গণের বিশেষত্ব, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব। বললাম, “যেহেতু এটা একটা ঐতিহাসিক নিদর্শন, সুতরাং, হিন্দু-মুসলমান-নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকের অধিকার আছে এটা দেখার”। এই পর্যায়ে মনে হল আমাদেরকে ঘিরে যে জনতা তারা কিছুটা বুঝেছে। আরেকটু অগ্রসর হয়ে বললাম, “কাজেই একদিকে ধর্মীয়ভাবে আপনারা যেমন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন না, তেমনি দেশের আইন অনুসারে, সংবিধান অনুসারেও পারেন না। দুই দিক থেকেই আপনাদের সাইনবোর্ড ভুল”।

এটা বলার পর তাঁরা আবার উত্তেজিত গলায় কথা বলতে শুরু করলেন। তাঁদের এক কথা, এখানে কী ধরণের ‘অসামাজিক কাজ’ হয় তা আমরা জানি না! এসব বন্ধের জন্য মহিলা প্রবেশ বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই। আমার বন্ধুটি বলল, “মহিলাদের প্রবেশ বন্ধে আপনারা পাহারা বসাতে পারলে ‘অসামাজিক কাজ’ বন্ধেও তো তা পারেন। প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ময়দান ফাঁকা করে না ফেলে বরং জনসমাগম বাড়ালেই তো ‘অসামাজিক কাজ’ বন্ধ হয়ে যায়”।

কিন্তু ‘এলাকাবাসী’ যুবকেরা তা মানতে নারাজ। তাঁদের কথা, সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। সুতরাং, আমাদের বের হতে হবে। এই পর্যায়ে ভিড়ের মধ্য থেকেই এক পরিচিত বড়ভাই বের হয়ে এলেন। আমাদের দুইজনকে প্রায় জোর করেই বের করে নিয়ে আসলেন ঈদগাহ প্রাঙ্গণের ওই ভিড়ের মধ্য থেকে। বললেন, “এদের সাথে কথা বলে কী হবে, এদেরকে তোমরা কী বুঝাচ্ছ, এদেরকে এসব বলে কোনো লাভ নেই। এর চেয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করো, সাইনবোর্ড উঠে যাবে”।

ভাইয়ের কথা শুনে আমি হতাশ হয়ে পড়লাম। ঈদগাহের ওই মানুষগুলোকে নিয়ে না, নিজেকে নিয়ে এবং পরিচিত সেই ভাইকে নিয়ে। শুধু তো ইনি না, এনার মতো করেই তো ভাবছে সবাই, যারা নিজেদেরকে আমরা শিক্ষিত, প্রগতিশীল, অগ্রসর বলে দাবি করি।

সাইনবোর্ড সরানো কখনই আসল কাজ না। সাইনবোর্ড চাইলেই সরানো যায়। প্রভাব খাটিয়ে কিংবা আইন প্রয়োগ করে। কিন্তু সমস্যা তো সাইনবোর্ডে না। সমস্যা মানুষের মগজের ভিতরে। এখানে আমি না খাটাতে পারব প্রভাব, না প্রয়োগ করতে পারব সংবিধান। এই মগজগুলো সংখ্যায় কিন্তু অনেক অনেক বেশি। তাঁদের মগজ থেকে যে চিন্তা, যে সিদ্ধান্ত বের হয় আমরা তার নাম দিয়েছি কুসংস্কার, নাম দিয়েছি অশিক্ষা, নাম দিয়েছি মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, পুরুষতান্ত্রিকতা এবং আরও অনেক অনেক ঋণাত্মক শব্দাবলী। কিন্তু আমরা কখনও কি মগজগুলোর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছি? স্পর্শ করার চেষ্টা করেছি তাঁদের চিন্তা? তাঁদের হৃদয়?

আমরা এদেশের তথাকথিত শিক্ষিত প্রগতিশীলেরা প্রগতির চর্চা শুধু নিজেদের মধ্যেই করে গেছি। তাও ঠিকঠাকভাবে করেছি কিনা সন্দেহ। কখনও গণমানুষের দিকে তাকানোর, তাঁদের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলাপ করার প্রয়োজনটাও বোধ করি নি। ঈদগাহের ওই ঘটনার পর আমি ঘরে এসে ভেবে দেখেছি, আমি অমুক নামধারী প্রগতিশীল, কখনও এলাকাবাসীর কোনো সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে তাঁদের সাথে কথা বললাম না, তাঁদের অশিক্ষা, দারিদ্র্য নিয়ে তাঁদের সচেতন করে তুললাম না, বরং তাঁদের সাথে আমার মিথষ্ক্রিয়াকে যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করে গেলাম, আর যখন তারা ‘মহিলা নিষিদ্ধ’ সাইনবোর্ড টানালো তখন তাঁদের আমি সংবিধান আর নারীবাদ শোনাতে গেলাম। এর চেয়ে বড় শঠতা আর কী হতে পারে। এই শঠতাকে ঢাকতেই আমরা গালিগালাজ করে এসেছি কাঠমোল্লাদের, মৌলবাদীদের, এমনকি কখনও কখনও স্থূল অর্থে সিলেটিদেরকেও।

মনে পড়ে জাফর ইকবাল স্যারের উপর হামলার কথা। তাঁকে খুন করতে এসেছিল যে ছেলেটা তার বাড়ি ছিল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছেই। বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে আমরা বলছি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, যেখানে আমরা শিক্ষা, সংস্কৃতি আর প্রগতির কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছি, সেখানেই স্থানীয়দের চাপে স্থাপন করা যায়নি একটা মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য। স্থানীয় রাজনীতিকদের রাজনীতি তো আছেই। কিন্তু তাঁদের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে তো এলাকাবাসীই। যারা সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করতে এসেছিল তাঁরা সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই আশেপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ। সেইসব সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের জায়গায়, যাদের টাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু এই এক বিশ্ববিদ্যালয়ই না, পুরো দেশ। তাঁদের এত কাছে অবস্থান করেও তাঁদের প্রতি শাবির দায়হীনভাবে এড়িয়ে যাওয়া তাই শাবিকে রক্ষা করতে পারে না একজন আততায়ীর কাছ থেকে, ভাষ্কর্যবিরোধী এলাকাবাসীর কাছ থেকে।

এই পোড়া দেশে, যেখানে রাজনৈতিকভাবে প্রতিক্রিয়াশীলতাকে উৎসাহ দেয়া হয়, সেখানে প্রগতিশীল শিক্ষিত অংশের আত্মকেন্দ্রিক জনবিচ্ছিন্নতা এবং স্বার্থকেন্দ্রিক নীরবতাই ‘পবিত্রতা রক্ষার্থে মহিলা প্রবেশ নিষিদ্ধ’ জাতীয় সাইনবোর্ডের জন্ম বারবার দেবে, অভিজিৎ, জাফর ইকবালদেরও একে একে হত্যা করতে থাকবে।

পুনশ্চ: সাধারণ মানুষদের পাক-পবিত্রতার ধারণা কতটা অশিক্ষা এবং অজ্ঞতা দ্বারা আচ্ছন্ন তার একটা উদাহরণ দিতে চাই। পরিচিত সেই ঈদগাহ এলাকার ভাইটিই জানালেন, ঈদগাহের রক্ষণাবেক্ষণকারী যে শুভ্র দাড়ি-পাঞ্জাবির বৃদ্ধ আছেন তিনি ‘পবিত্র’ ঈদগাহ প্রাঙ্গণেরই এক কোণায় নিয়মিত মূত্রত্যাগ করেন। এবং এই তথ্য ‘এলাকাবাসী’ সকলেরই নাকি জানা।

  • [প্রকাশিত লেখায় মন্তব্য, মন্তব্য ও দায় লেখকের নিজস্ব]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত