মো. নাজমুল হাসান

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৩:৫০

ভারতে সমকাম: বেল পাকলে কাকের কী?

মানুষের মিলনকেন্দ্রিক বিহেভিয়ারের জেনেসিস খুঁজে বের করাটা দরকার। ধর্মবিশ্বাসীরা আদম-হাওয়া থেকেই দুনিয়ার শুরু বলে বিশ্বাস করে থাকেন। আর ধর্মের প্রতি আস্থাহীনেরা মনে করেন যে, বিবর্তন-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবজাতির উদ্ভব ও বিকাশ সাধিত হয়েছে।

যেটাই সত্য হোক না কেন, আমরা সতর্কভাবে আজ সেই বিতর্ক এড়িয়ে যাবো। নতুবা আলোচনা ভিন্নদিকে টার্ন নেবে। হাইপোথিসিস হিসেবে দু’টোকে ভ্যালিড ধরে আগানোটাই সবদিক থেকে মঙ্গলজনক।

অনেকেই দাবি করেন, আদম এবং হাওয়া থেকে যদি মানবজাতির উদ্ভব হয়, তবে তাঁদের সন্তানদের পরস্পরের মধ্যে মিলনক্রিয়া চালু ছিল, নতুবা মানবজাতির বিকাশ সম্ভব হতো না। এ যুগে ভাই-বোনের মাঝে যেই মিলনটাকে বলা হয় ‘ইনসেস্ট’ বা ‘অজাচার’।

পাশাপাশি স্টোন-এইজের কথা যদি চিন্তা করি, তবে দেখা যাবে যে মানুষ গুহাবাসী থাকাকালীন দলবদ্ধ রতিক্রিয়ায় বিশ্বাসী ছিল, ওখানে কে যে কার, সেই বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশক ছিল না। শক্তিমান পুরুষদের কন্ট্রোলেই ছিল মিলনকেন্দ্রিক নেতৃত্ব।

মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, তাঁর জীবনযাত্রার গাইডলাইন দেয়ার জন্যেই ধর্মের উৎপত্তি। এ বিষয়ে আস্তিক এবং নাস্তিকদের মাঝে কোন বিতর্ক নাই। আস্তিকদের মতে, মানুষের জীবনযাত্রা কীরূপ হবে, ঈশ্বর তা নির্ধারণ করতে এই স্বর্গীয় গাইডলাইন পাঠিয়েছেন, নাস্তিকদের মতে সমাজের প্রভাবশালী লোকজন অপেক্ষাকৃত দুর্বলদের কন্ট্রোল করার জন্য এই গাইডলাইন টিকিয়ে রেখেছেন। তবে উভয়পক্ষ এই ব্যাপারে একমত যে, ধর্ম মূলত একটা জীবনপ্রণালীর গাইডলাইন, তা যে-ই সৃষ্টি করে থাকুক না কেন।

পৃথিবীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত সুমেরীয় সভ্যতার গিলগামিশ কাব্যে সমকামিতা ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ সালের কাছাকাছি সময়ে প্রাচীন গ্রিসের লেসবস নামক দ্বীপে স্যাফফো নামক এক আপু কবিতা লিখতেন। তাঁর লেখাতেও লেসবিয়ানিজম রিলেটেড সাহিত্যতত্ত্ব উঠে আসে। অর্থাৎ সেই সমাজে ব্যাপারটা বাস্তব ছিল।

এর পরের যুগটা, অর্থাৎ উপমহাদেশে আর্য-মৌর্য যুগে এবং তৎকালীন বহির্বিশ্বেও গণকাম, বহুকাম জায়েজ ছিল। আপনারা নওগাঁর পাহাড়পুরের দিকে তাকান। ওখানের টেরাকোটায় মিলনচিত্রের আধিক্য দেখতে পাবেন।

বর্তমান বিশ্বে যে সকল ধর্ম মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে, তারা প্রধানত মধ্যযুগের। ‘মধ্যযুগ’ শব্দটা শুনলেই সমাজের একটা বড় অংশ নাক কুঁচকান। মনে করেন, এটি অন্ধত্বের যুগ। সত্যিকার অর্থে সেই যুগ জ্ঞান-বিজ্ঞানে বর্তমান যুগের মতো অগ্রসর না হলেও, সেই যুগে যে মানুষের জীবনে যে শুধু অশান্তিই ছিল একমাত্র উপকরণ, তা বলা যাবে না।

বর্তমান যুগে ব্যক্তিজীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা পণ্যাশক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট অশান্তি। আজকে আপনার বন্ধুর হাতে আইফোন টেন দেখলে আপনার মনটাও অপ্রাপ্তির বেদনায় কিছুটা ছোট হয়ে আসে। মধ্যযুগেও চাহিদা আর যোগানের মাঝে অসামঞ্জস্য ছিল। তবে তা ডেইলি লাইফে রেগুলার চাহিদার চেঞ্জের মাধ্যমে এতটা প্রকট ছিল না। আজ আমরা সবাই নক্ষত্র হতে চাই।

মধ্যযুগে মানবজাতির মিলনক্রিয়া একটা স্পেসিফিক ফরম্যাটের আন্ডারে আসে। ‘বিবাহ’ নামক প্রথাটি সুনির্দিষ্টভাবে চালু হয়। উল্লেখ্য, ইসলাম, ক্রিশ্চিয়ানিটি -জাতীয় আব্রাহামিক ধর্মসমূহে বিবাহ একটি ‘সিভিল কন্ট্রাক্ট’ কিন্তু হিন্দু ধর্মে এটি দশবিধ সংস্কারের একটি। ধরা হয় যে হিন্দু ধর্মের বিবাহের যোগসূত্র পরের জীবনেও থাকবে। মিথোলজিকাল ব্যাপার-স্যাপার। এটির সত্য-মিথ্যা আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় নয়।

মধ্যযুগের প্রথমভাগে ফেরাউনদের মধ্যে পিওর ব্লাডলাইন রক্ষার্থে ভাই-বোনের মাঝে বিবাহ জায়েজ ছিল। পরবর্তীতে দু’টি ভিন্ন রাজ্যের রাজপুত্র-রাজকন্যার বিবাহ দেয়া শুরু হয়। উদ্দেশ্য: পলিটিকাল রাজ্যবিস্তার। সম্ভাব্য ১৬৫০ সালের দিকে স্পেনের রাজকন্যার সাথে ব্রিটিশ রাজকুমারের বিয়ে হয়, তারপর ব্রিটিশরা ইনহেরেন্টভাবে আমাদের উপমহাদেশে বাণিজ্য চালানো শুরু করেন।

মজার ব্যাপার হলো, তখনো ‘ভালোবাসা’-কে বর্তমান যুগের মতো ব্র্যান্ডিং করা শুরু হয় নাই। তখন রাজাদের একাধিক পত্নী থাকতেন, রাজারা শীশমহল চালাতেন, ভালোই ছিলেন। পুরনো বোতলে নতুন মদ, খারাপ কী?

মধ্যযুগে আব্রাহামিক ধর্মসমূহের প্রভাবে চার্চের ক্যাথলিক সম্প্রদায় সমকামীদের বাধা প্রদান করা শুরু করে। তবে সমকামের প্রোগ্রেস থেমে যায় নাই। আড়ালে-আবডালে চলেছে।

এই মধ্যযুগেই পুঁজিবাদের জন্ম। মিশেল ফুকোর ‘হিস্ট্রি অব সেক্সুয়ালিটি’ বইতে দাবি করা হয়েছে যে, ১৮-১৯ শ’ খ্রিস্টাব্দের দিকে পশ্চিমা সরকারসমূহ বার্থরেট কন্ট্রোল করার জন্য ‘হোমোসেক্সুয়াল’-দের একটা সোশ্যাল ক্যাটেগরি হিসেবে চিহ্নিত করে। এর আগে একে এভাবে কখনোই অফিসিয়ালি স্বীকৃতি দেয়া হয় নাই। সেই সাথে নর-নারীর মাঝে ‘ভালোবাসা’ নামক জিনিসটাকে ব্র্যান্ডিং করা শুরু হয়েছিল। সম্পত্তির নির্দিষ্ট উত্তরাধিকারী চিহ্নিত করার জন্য একজনের সাথে প্রেম, একক বিবাহ এবং নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিকে উৎসাহিত করা হয়েছিল।

’৯০ সালে রাশিয়ার পতনের ফলে আজ বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদ রাজত্ব করছে। ফলে আজ ভ্যালেন্টাইনে আমরা কার্ড, ফুল, গিফট নিয়ে ঘুরতে গিয়ে সারা বছর কোটি টাকার মার্কেট টিকিয়ে রাখছি। ‘সমলৈঙ্গিক ভালোবাসা’ আর ‘বিপরীত লৈঙ্গিক’ ভালোবাসা এভাবেই পরস্পরের হাত ধরে পশ্চিমা বিশ্বে পাশাপাশি হাঁটছে।

ভারতে আজ রংধনু উৎসব চলছে। সচলায়তনে ইশতিয়াক রউফের লেখা থেকে আমেরিকার বাস্তবতা বুঝাতে কিছু অংশ কোট করছি:

“অ্যামেরিকার অনেক অঙ্গরাজ্যেই সমকামীদের অধিকার জায়েজ ছিল। তবে কিছু রাজ্যে সমকামীরা বিবাহ করতে পারলেও, অন্যান্য রাজ্যে গেলে তাঁদের সেই বিয়ে অবৈধ হিসেবে পরিগণিত হতো। এখন তাঁরা ‘ম্যারিড’ মর্যাদা পাওয়ার কারণে বিমা, উত্তরাধিকারসহ আরও কিছু অধিকার লাভ পাবেন। আমেরিকান রক্ষণশীলদের দাবি অনুযায়ী, এর ফলে বহুবিবাহ এবং নিকটাত্মীয়ের মাঝে বিবাহ করার দাবি উঠবে। উল্লেখ্য যে, আমেরিকায় ‘অজাচার’ তথা ‘ইনসেস্ট’ তথা ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহ এবং বহুবিবাহ নাজায়েজ, যা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে কিছুটা জায়েজ (খালাতো-মামাতো ভাই-বোনের বিয়ে)“

আমেরিকান রায়ের পর জার্মান ইথিক্স কাউন্সিল অলরেডি ভাই-বোনের মাঝে ইনসেন্সটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে দাবি করেছে।

ফ্যান্টাসির জন্ম কিভাবে হয়?

অপ্রাপ্তি থেকে। মানুষ অবচেতন মনে স্বপ্ন দেখে কামনার-বাসনার। গেইম অব থ্রোনস-জাতীয় টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে মানুষের এই অবচেতন কামনা-বাসনাকে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সেই সিরিয়ালের প্রয়াত প্রিন্স ওবেরিন বিছানায় থাকাকালীন একবার বলেছিলেন, যারা সমলিঙ্গের প্রতি এগিয়ে যাচ্ছেন না, তাঁরা জীবনের ৫০ ভাগ সুখ মিস করছেন। আমাদের দেশের কওমি মাদ্রাসা ও ক্যাডেটেও সমকাম নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। এর মূল কারণ, ওখানে মেয়েদের সাথে ছেলেদের ইন্টার‍্যাকশন হয় না। ছেলেরা-ছেলেরাই সর্বেসর্বা। কিন্তু শরীর তো চায়, কিছু চায়।

ফ্যান্টাসির জন্ম কিভাবে হয়? এক সাইডের অতিপ্রাপ্তির ফলে এবং অন্য সাইডের অপ্রাপ্তি থেকেও। আমেরিকান ও অন্যান্য দেশের সমলৈংগিক মানুষের দিকে তাকালে দেখবেন, এদের একটা বড় অংশ শুরুতে সমকামী ছিলেন না। ছেলেরা প্রচুর মেয়েদের সাথে মিলনে গিয়েছেন, মেয়েরা প্রচুর ছেলের সাথে মিলনে গিয়েছেন। তারপর টায়ার্ড হয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি সামাজিক জীবনে বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও তাঁদের মাঝে টানাপড়েন চালু ছিল। এটা একটা বৈশ্বিক চিত্র। আমাদের সমাজের দিকে তাকালেও এটি দেখা যায়। ছেলেরা-ছেলেরা যত দ্রুত বন্ধুতে পরিণত হন, মেয়েদের সাথে ছেলেরা তত দ্রুত বন্ধুতে পরিণত হন না। আবার মেয়েরা-মেয়েরা যেভাবে একই সাথে শপিঙে যেতে আগ্রহী, ছেলেরা ততটা যেতে চান না। অর্থাৎ লিঙ্গভেদে মানসিকতা চেঞ্জ হয়ে যায়। তাই সমলৈঙ্গিক ফ্যান্টাসি জন্ম নেয়। কিন্তু ইউরোপিয়ান কালচার সেই বিষয়টাতে যতটা ওয়েলকামিং, আমাদের সাব-কন্টিনেন্টে বিষয়টা এতদিন ঠিক ততোটা জনপ্রিয় ছিল না। ভারতে বৈধতার পর বিষয়টা নিয়ে নতুনভাবে চিন্তার সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে।

লেইনের সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন থিওরি অনুযায়ী, মানুষ মাত্রই কিছুটা সমলৈঙ্গিক। তবে তার মাত্রাটা বিবেচনা করতে হবে গত ১২ মাসের আচরণকে ‘বর্তমান’ হিসেবে ধরে, তার আগের সময়টাকে ‘অতীত’ হিসেবে ধরে এবং আগামী দিনগুলোকে ‘ভবিষ্যৎ’ হিসেবে ধরে ৭টি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার মাধ্যমে:

১) আপনি কার প্রতি এট্রাক্টেড? অতীতে? বর্তমানে? ভবিষ্যতে?

২) আপনি কার সাথে মিলনে লিপ্ত হয়েছেন? অতীতে? বর্তমানে? ভবিষ্যতে?

৩) কাকে নিয়ে আপনার ফ্যান্টাসি আছে? অতীতে? বর্তমানে? ভবিষ্যতে?

৪) কার প্রতি আপনি ইমোশনালি দুর্বল? অতীতে? বর্তমানে? ভবিষ্যতে?

৫) কোন জেন্ডারের সাথে আপনি সোশ্যালাইজড বেশি? অতীতে? বর্তমানে? ভবিষ্যতে?

৬) কাদের সাথে আপনার বেশি সময় কাটাতে ভালো লাগে? অতীতে? বর্তমানে? ভবিষ্যতে?

৭) নিজেকে আপনি কিভাবে চিহ্নিত করবেন? অতীতে? বর্তমানে? ভবিষ্যতে?

এই প্রশ্ন ৭টির উত্তর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পার্স্পেক্টিভে নিয়ে মার্কস যোগ করে নিজেকে জাজ করুন। জেনে নিন আপনি কতটা সমলৈঙ্গিক। নিজেকে জানা দরকার। নো দাইসেলফ, বলেছিলেন সক্রেটিস।
.
মানসিক রোগী ফ্রয়েড ‘ইদিপাস কমপ্লেক্স’ থিওরিতে দাবি করেছিলেন, ছেলে সন্তান ছেলেবেলা থেকেই তাঁর মায়ের প্রতি শারীরিকভাবে এট্রাক্টেড, মেয়ে সন্তান তাঁর পিতার প্রতি। সত্য হোক আর মিথ্যা, বর্তমান ধারায় চলতে থাকলে সমকামের মতো এগুলোও ধীরে ধীরে আলাদা ‘সোশ্যাল ক্যাটেগরি’ হিসেবে ভবিষ্যতে চিহ্নিত হওয়ার চান্স বেড়ে যায়। তবে তা করার পিছে কোন একটা অর্থনৈতিক ফিলসফি থাকতে হবে। নতুবা ব্র্যান্ডিং করে লাভ হবে না। অবশ্য সকল বিবেচনায় ব্র্যান্ডিং না করলেও চলে। কারণ ফ্যান্টাসির জন্ম অপ্রাপ্তি থেকে, আবার নতুন প্রাপ্তির সম্ভাবনা থেকেও।

অর্থাৎ ইনসেস্ট বা ভাই-বোনের মিলন মানবসৃষ্টির আদিকাল থেকেই চালু ছিল। সমকামও ধীরে ধীরে এসেছে। তবে সৃষ্টির ইতিহাসে মায়ের সাথে ছেলের মিলন গণহারে ছিল কি-না, তা জানা নাই। তবে তাতে ফ্রয়েডের ‘ইদিপাস’ থিওরি ইনভ্যালিড হয়ে যায় না। আপনি কেন আপনার প্রেমিক/প্রেমিকাকে বেবি বলে ডাকতে ভালোবাসেন? থিংক ডিপার মাই ফ্রেন্ডস।

এই ট্রেন্ডগুলো আটকানোর একমাত্র উপায় ধর্ম। কিন্তু এগুলো আটকাতে যদি আপনি কট্টরভাবে ধর্মের আশ্রয় নেন, তবে কিছু সমস্যার উদ্ভব হবে।

প্রাচীনযুগে যুদ্ধ হতো খাদ্য নিয়ে অর্থাৎ ব্যক্তির/গোত্রের অধিকার নিয়ে। তারপর মধ্যযুগে যুদ্ধ শুরু হলো ধর্ম নিয়ে, তারপর মতাদর্শ নিয়ে, তারপর প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নিয়ে। সমকামের ভ্যালিডিটি নিয়ে আলোচনা একটা পক্ষকে ‘ব্যক্তি-অধিকার’-কে ডিফেন্স হিসেবে ইউজ করার দিকে ধাবিত করছে, আরেকটা পক্ষকে ‘ধর্ম’-কে ডিফেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে ধাবিত করছে। অবস্থানদ্বয় সাংঘর্ষিক।

আমরা কি তবে অতীতের মতো ধর্ম এবং মতাদর্শের যুদ্ধে উপনীত হচ্ছি?

আমরা কি তবে সকল বিবেচনায় অবচেতনভাবে অতীতের দিকেই ফিরে যাচ্ছি?

কে জানে!

  • মো. নাজমুল হাসান: ব্লগার।
  • [প্রকাশিত লেখায় মতামত, মন্তব্য ও দায় লেখকের নিজস্ব]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত