সালেহ আহমদ খসরু

৩০ অক্টোবর, ২০১৮ ২৩:২৯

শমসের মবিনের ষড়যন্ত্রের কথা আগেও বলেছি

আমি একজন বিএনপি কর্মী হিসেবে শুরু হতেই বলে আসছিলাম শমসের মবিন চৌধুরী আমাদের দল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তখন অধিকাংশ নেতাকর্মী আমাকে নানানভাবে টিপ্পনি কেটেছেন ও কেউ কেউ সীমা লঙ্ঘন করছি বলে মন্তব্য করেছেন।

এমনকি যেদিন জনাব চৌধুরী ফোনে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ভাষায় আমাকে শাসানোর চেষ্টা করেন তখন তাঁকে বলেছিলাম- একদিন আপনি দল ছেড়ে চলে যাবেন কিন্তু আমার মত লক্ষ কর্মী এ দল ছেড়ে কোথাও যাবেনা। তাই দয়া করে আপনি আমাকে ধমকাবেন না।

সেদিন এও বলেছিলাম, আমাদের জন্যেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এ দেশের মানুষের ভালবাসায় বেঁচে থাকবে। যা সেদিনকার বাংলাদেশ প্রতিদিন, যুগান্তর, সমকাল, সবুজ সিলেট সহ আরও কিছু পত্রিকা অল্পবিস্তর প্রকাশ করেছিল।

মাত্র ৭ বছরের রাজনৈতিক জীবন এতেই আজ তিনি ৭১ টিভিতে বলেছেন, যারা দলে কাজ করতে পারছেনা তারা যেন বের হয়ে আসে”। অথচ অনেক ছাত্রদল কর্মী আছে যাদের রাজনৈতিক জীবন জনাব চৌধুরীর চেয়ে দীর্ঘ তাই তাঁকে অনুরোধ করবো- ছোট হয়েছেন, কিন্তু কলঙ্কিত হবেন না।

সেদিন যখন ধমক দিয়েছেন ৩টি কারণে পাল্টা সুরে বলিনি- ১. পারিবারিক শিক্ষা, ২. বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ৩. আমার দল ও নেত্রীর শিক্ষা।

কিন্তু আজ আপনি দলেও নেই। পরিবারও কোন নীতিহীন মানুষের সাথে আপোষ করতে শেখায়নি, শুধু বাকি রইলো বীর মুক্তিযোদ্ধা আর কেবল এ জন্যেই বলছি- সংযত হওন আমরা আপনাকে ক্ষমা করে দিব।

না হলে বলি- আমার পরিবার শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমার রক্তে মুক্তিযুদ্ধ এবং নিজে কিশোর বয়সটি বীর মুক্তিবাহিনীর অতিঅল্প নগণ্য কিছু কাজে সচেষ্ট ছিলাম, তাই তাদের উত্তরসূরি হিসেবে আপনার রাজনৈতিক অপকর্মের জবাব দেওয়ার অধিকার আমার আছে।

সহযোদ্ধা নেতা কর্মীদের বলছি- আমরা তৃণমূল, আমরাই বিএনপি’র শক্তি। মানুষের ভালবাসা আমাদের শক্তির উৎস, তাই ভয় নাই। পথ চলুন সাহস বুদ্ধি ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে।

সালেহ আহমদ খসরু: সহ-সভাপতি, সিলেট মহানগর বিএনপি।

[প্রকাশিত লেখায় মতামত, মন্তব্য ও দায় লেখকের নিজস্ব]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত