ইচ্ছে থাকলেও প্রাণখোলে মেলায় আসতে পারি না: বইমেলার উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

 প্রকাশিত: ২০১৬-০২-০১ ১৬:৫৯:৫৯

 আপডেট: ২০১৬-০২-০২ ০০:১১:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে এই বাংলা একাডেমীর লাইব্রেরিতে অনেকটা সময় কাটাতাম আমি আর আমার বান্ধবী বেবি মওদুদ। এখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করায় জীবন যাপন অনেকটা সীমাবদ্ধ। চাইলে সবার মত সবখানে যেতে পারিনা। সরকারি কাজে অনেকটা বন্দি থাকায় প্রাণখোলে আসা হয় না বইমেলায়।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি চত্বরে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তোলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এই মাস আমাদের চেতনার স্পন্দন, একুশের চেতনাকে ঘিরেই বাঙালী মুক্তির পথ খুঁজেছে"। তিনি বঙ্গবন্ধুসহ ভাষা আন্দোলনের তৎকালীন নেতাদের স্মরণ করেন।  

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পাবার পেছনে তাঁর সরকারের ভূমিকা তোলে ধরে বলেন, "দেশের সীমা ছাড়িয়ে আমাদের গর্বের দিন আজ বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত"।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে সদ্য প্রয়াত ভাস্কর নভেরাকে স্মরণ করে তাঁর শিল্পকর্ম সংরক্ষণের কথা বলেন। মেলা উদ্বোধনের আগে এ বছর বাংলা একাডেমির পুরষ্কারপ্রাপ্ত ১১জনের হাতে সম্মাননা তোলে দেয়া হয়।


এমিরেটস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতিসচিব বেগম আখতারি। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কবি ও জীবনানন্দ অনুবাদক জো উইন্টার, চেক প্রজাতন্ত্রের লেখক-গবেষক রিবেক মার্টিন, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সমিতির (আইপিএ)-এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রিচার্ড ডেনিস পল শার্কিন এবং জোসেফ ফেলিক্স বুরঘিনো।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

জাতীয় সঙ্গীত, একুশের গান ও চার ধর্মের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও জাতীয় কবির নজরুল ইসলামের নাতনী অনিন্দিতা কাজীর দুটি গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। 

আপনার মন্তব্য