প্রকাশকরা নিতে চান বইমেলা আয়োজনের দায়িত্ব

 প্রকাশিত: ২০১৬-০২-২৮ ০১:১৬:১১

সিলেটটুডে ডেস্ক:

বাংলাদেশে প্রকাশকদের একটি সংগঠন একুশের বইমেলা আয়োজনের দায়িত্ব তাদের হাতে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে।

বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেছেন, প্রকাশকেরা এখন মেলা করতে সক্ষম। বাংলা একাডেমির উচিত মেলা তাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে গবেষণার কাজে মনোযোগ দেয়া।

তিনি বলেন, “ বাংলা একাডেমি প্রতিবছরই গবেষণা কাজে ব্যস্ত থাকে। এর কারণে তারা হয়তো মেলাটাকে বেশি গুরুত্ব দিতে পারে না। প্রকাশনা সম্পর্কে জানা থাকে না। গবেষণায় তারা ভালো। কিন্তু মেলা আয়োজনে বারবার সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা চাই আমাদের হাতে মেলা ছেড়ে দেয়া হোক।”

এদিকে বইমেলা আয়োজনে বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছেন, “ বাংলাদেশের এই বইমেলাটি একটি ঐতিহাসিক বইমেলায় পরিণত হয়েছে। অসাধারণ বড় মাপের মেলা। এমন উল্লেখযোগ্য, নান্দনিক মেলা আর হয়নি। এটা তো বাংলা একাডেমিই করেছে। প্রকাশদের কোনো অবদান এখানে নেই। তারা কিছুই করেনি। শুধু সমালোচনা করেছেন। তারা বই বিক্রি করে পয়সা আদায় করতে চান। এটা তো হতে পারে না। এখানে তাদের জাতীয় দায়িত্ব কোথায়”।

তবে প্রকাশক ওসমান গনি মনে করেন, বাংলা একাডেমি ও সরকারের সহায়তায় প্রকাশকরাই একটি সুষ্ঠু মেলা আয়োজন করতে পারে।

তিনি বলেন, “কলকাতা বইমেলা প্রকাশকরাই আয়োজন করে থাকেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রকাশকরাও অংশ নিচ্ছে। দেশের ভেতরেও অনেক মেলা আমরাই আয়োজন করছি। একুশে বইমেলা শুরু করেছিলেন একজন প্রকাশকই”।

প্রকাশকদের সমিতি, এর আগে বিভিন্ন স্টলে পাইরেটেড বই বিক্রি, ভারতীয় লেখকদের বই বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অপ্রকাশক বিভিন্ন এনজিওকে বরাদ্দ দেওয়াসহ বেশকিছু অভিযোগ তুলে ধরে।

তবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, “আমরা আনন্দের সাথে এই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে রাজী আছি। কিন্তু পাইরেটেড বই বিক্রির সাথে প্রকাশকরাই জড়িত। প্রকাশক সমিতি ওই সমস্ত প্রকাশকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ না নিয়ে একাডেমির সমালোচনা করছেন।”

এদিকে প্রকাশকদের আরেকটি সমিতি বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আলমগির শিকদার লোটন বলেন, বইমেলা এখন একটি জাতীয় আয়োজনে রূপ নিয়ছে। তাই ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে বরেন বাংলা একাডেমি ও প্রকাশকরা একত্রে মিলেই একটি সুষ্ঠু মেলার আয়োজন করতে পারে। বিবিসি বাংলা।

আপনার মন্তব্য