‘আমার নাম মুজিব ইরম আমি একটি কবিতা বলবো’

 প্রকাশিত: ২০১৮-০১-২৪ ১৬:৪০:১৯

 আপডেট: ২০১৮-০১-২৪ ১৭:১০:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮-তে প্রকাশ হচ্ছে কবি মুজিব ইরমের কবিতার বই ‘আমার নাম মুজিব ইরম আমি একটি কবিতা বলবো’।

বইটি প্রকাশ করছে চৈতন্য প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন সমর মজুমদার। এটা মুজিব ইরমের ১৪তম বই।

‘আমার নাম মুজিব ইরম আমি একটি কবিতা বলবো’ বইটি পাওয়া যাবে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চৈতন্য প্রকাশনের ৬০৪-৬০৫ নং স্টলে। বইটির মূল্য ১৫০ টাকা।

সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারের সন্তান মুজিব ইরম। মৌলভীবাজার জেলার নালিহুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক সূত্র মতে জন্মসাল ১৯৬৯, সনদপত্রে ১৯৭১

তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে- মুজিব ইরম ভনে শোনে কাব্যবান ১৯৯৬, ইরমকথা ১৯৯৯, ইরমকথার পরের কথা ২০০১, ইতা আমি লিখে রাখি ২০০৫, উত্তরবিরহচরিত ২০০৬, সাং নালিহুরী ২০০৭, শ্রী ২০০৮, আদিপুস্তক ২০১০, লালবই ২০১১, নির্ণয় ন জানি ২০১২, কবিবংশ ২০১৪, শ্রীহট্টকীর্তন ২০১৬, চম্পূকাব্য ২০১৭।

উপন্যাস/আউটবই: বারকি ২০১১, মায়াপীর ২০০৯, বাগিচাবাজার ২০১৫।

গল্পগ্রন্থ: বাওফোটা ২০১৫। শিশুসাহিত্য: এক যে ছিলো শীত ও অন্যান্য গপ ২০১৬।

এছাড়া প্রকাশিত হয়েছে ধ্রুবপদ থেকে মুজিব ইরম প্রণীত কবিতাসংগ্রহ: ইরমসংহিতা ২০১৩, বাংলা একাডেমি থেকে নির্বাচিত কবিতার বই: ভাইবে মুজিব ইরম বলে ২০১৩, Antivirus Publications, Liverpool, England থেকে নির্বাচিত কবিতার অনুবাদ গ্রন্থ: Poems of Mujib Erom 2014, ধ্রুবপদ থেকে উপন্যাসসমগ্র: মুজিব ইরম প্রণীত আউটবই সংগ্রহ ২০১৬।

মুজিব ইরম তার ভনে শোনে কাব্যবান-এর জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি তরুণ লেখক প্রকল্প পুরস্কার ১৯৯৬। বাংলা কবিতায় সার্বিক অবদানের জন্য পেয়েছেন সংহতি সাহিত্য পদক ২০০৯, কবি দিলওয়ার সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪। কবিবংশ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪। শ্রীহট্টকীর্তন কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬

নিজের ১৪তম বইকে ১ম বই বলছেন মুজিব ইরম। এসম্পর্কে তিনি বলেন, পাঠককে এবং নিজেকেও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আমি তো আসলে একটা বইই রচনা করতে চাই জীবনভর। বইটির কবিতাগুলো নিয়ে শুধু এইটুকু বলতে পারি: এই কবিতাগুলো মনে হয় সর্বপাঠকের জন্য লিখতে চেয়েছি। লিখতে চেয়েছি ‘আউট বই’য়ের কবিতা নয় ‘পাঠ্যবই’য়ের কবিতা। তথাকথিত ‘আধুনিক কবিতা’, ‘কঠিন কঠিন কবিতা’ লিখতে লিখতে আর পড়তে পড়তে বড়ো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। শব্দের কোস্তাকুস্তি আর ভালো লাগছিলো না। তাই হয়তো ‘পুরান কবিতা’ই লিখতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি কবিতা ও পদ্যের ভেদ রেখা তুলে দিতে।

আপনার মন্তব্য