বিনোদন ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:৫১

ব্রিটনির কিছু কথা

নব্বইয়ের দশকের পপসংগীতের দিকে তাকালে যাদের কথা প্রথমেই চলে আসে, ব্রিটনি স্পিয়ার্স তাদের মধ্যে অন্যতম। ক্যারিয়ারের শুরুতেই নিজস্ব এক স্টাইল দিয়ে টিন আইকনে পরিণত হয়েছিলেন। বর্তমান প্রজন্মের অনেক জনপ্রিয় নারী শিল্পীরই অনুপ্রেরণার প্রথম নাম ব্রিটনি। বুধবার ৩৪ বছরে পা রেখেছেন এ পপ কুইন। ব্রিটনি সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য—

ছোটবেলা থেকেই শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা ব্রিটনি মাত্র তিন বছর বয়সে নাচ ও গানের চর্চা শুরু করেন। ১১ বছর বয়সে ‘মিকি মাউস ক্লাবে’ পারফর্ম করা শুরু করেন। এখানে তার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন ক্রিস্টিনা অ্যাগুয়েলেরা, জাস্টিন টিম্বারলেক ও রিয়েন জোসলিংয়ের মতো তারকারা।
১৯৯৯ সালে প্রথম একক ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ দিয়ে পুরো বিশ্ব বাজিমাত করেন তিনি। ইউএসএসহ মোট ১৫টি দেশে টপচার্টে উঠে আসে এ অ্যালবাম। এটি ১০ মিলিয়ন কপির ওপর বিক্রি হয়।

১৯৯৯-০৪ ব্রিটনির স্বর্ণযুগ বললে ভুল হবে না। পুরো বিশ্ব যেন ব্রিটনির ড্যান্স পপ গানে মগ্ন ছিল। এ সময় মিকি মাউস ক্লাবের সহশিল্পী আরেক তারকা জাস্টিন টিম্বারলেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। অনেকেই এ জুটিকে বেস্ট কাপল আখ্যা দিলেও তিন বছরের মাথায় তা ভেঙে যায়।
ব্রিটনির প্রিয় শিল্পীর মধ্যে রয়েছেন ম্যাডোনা, হুইটনি স্টোন, মাইকেল জ্যাকসন ও শ্যারল ক্রো। ছোটবেলা থেকেই ব্রিটনি মাইকেলের মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন এবং পরবর্তীতে মাইকেল ও ম্যাডোনা দুজনের সঙ্গেই পারফর্ম করেন এ সুপারস্টার।

বিভিন্ন সময়ই খামখেয়ালি ও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জন্য পত্রিকার খবর হয়েছেন। এজন্য অবশ্য ব্রিটনি নিজেই বলেছেন, নিজেকে ব্যাখ্যা করতে পছন্দ করি না, আমি শুধু আমিই। ২০০৪ সালে ছোটবেলার বন্ধু জ্যাসন আলেক্সজেন্ডারকে হুট করেই বিয়ে করেছিলেন অনেকটা মজা করে, যার অবসান ঘটে মাত্র ৫২ ঘণ্টায়।

২০০৭ সালে কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এ শিল্পীকে। এ সময় নিয়মিত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ থেকে থেরাপি নিতেন তিনি। মানসিক হতাশার জন্য এ সময় গাড়ি ভাংচুর থেকে শুরু করে নিজের চুলও কেটে ফেলেছিলেন। পরবর্তীতে আবারো সংগীতে ফিরে আসেন। বর্তমানে লাস ভেগাসে ‘পিস অব মি’ কনসার্টে ব্যস্ত আছেন তিনি।

তার পছন্দের রঙ নীল। মায়ের হাতের সব খাবার পছন্দ হলেও চকোলেটের ভীষণ ভক্ত তিনি। শত পুরুষের কাঙ্ক্ষিত ব্রিটনি প্রিন্স উইলিয়ামসের পাগল ছিলেন। ২০০২ সালে দুজনের নিয়মিত ই-মেইলে যোগাযোগ হলেও শেষ পর্যন্ত আর কিছুই এগোয়নি।

২০০২ সালে ব্রিটনি রিয়েলিটি শো ‘এক্স ফ্যাক্টর’ অনুষ্ঠানের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে রেকর্ড করেন যেকোনো রিয়েলিটি শো-এর সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেয়া বিচারক হিসেবে। ব্রিটনির মোট অর্থ রয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলার।

গ্র্যামি, এমটিভি আজীবন সম্মাননাসহ ছয়বার এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, নয়বার বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, টিন চয়েজ অ্যাওয়ার্ড এবং হলিউড ওয়াক অব ফেমসহ অসংখ্য পুরস্কার জয়ী এ শিল্পী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত