বিনোদন ডেস্ক

১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০১:৪৬

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর, নায়ক হেলাল খানের বিরুদ্ধে মামলা

চিত্রনায়ক হেলাল খানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী উমা খান ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি যৌতুকের মামলা করেছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার দে’র আদালতে হেলাল খানের স্ত্রী উমা খান আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক বাদীনির জবানবন্দী গ্রহন করে আসামিকে আগামি ৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে যে, ৬০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করায় যৌতুক আইনের ৪ ধারায় হেলাল খানের স্ত্রী উমা খান এই মামলাটি করেছেন। ১৯৮৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী হেলাল খানের সঙ্গে উমা খানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার পরিবার ১০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং আসবারপত্রসহ মোট ১০ লাখ টাকার জিনিসপত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাদের দুইটি পুত্র সন্তান ফয়সাল খান হেলাল (২৯) ও শৈবাল খান হেলাল (২৩) জন্ম গ্রহণ করে। যারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

বিবাহের পর কিছুদিন তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক ভাল থাকলেও পরবর্তীতে পরনারী আশক্ত হেলাল খান বাদিনীর কাছে ৬০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদিনী তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে বাদিনীকে মারধর করে। এতে বাদিনী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ওই সময় বাদিনী হেলার খানের বিরুদ্ধে মামলার করার প্রস্তুতি নিলে হেলাল খান বাদিনীর কাছে মাফ চাইলে বাদিনী মামলা করা থকে বিরত থাকেন। এরপর কিছুদিন ভাল থাকার পর পুনরায় আসামি হেলাল খান প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

সর্বশেষ গত ৭ ডিসেম্বর সে রোড নং-১১, বাড়ী নং- ১৫, এ্যাপার্টমেন্ট নং-৪/সি বারিধারার বাসায় বাদিনীর কাছে ৬০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। বাদিনী টাকা না দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে বাদিনীকে মারধোর করে বাসা থেকে বের করে দেন। একই সঙ্গে হুমকি প্রদান করেন যে, ৬০ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে বাদিনীকে তালাক দিবে, প্রয়োজনে যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করবে।

উল্লেখ্য, বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থারও (জাসাস) নেতা হেলাল খানকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নাশকতার দুই মামলায় গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে ৩ মাসের অধিক সময় তিনি মামলাগুলোয় তিনি কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত