বিনোদন ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ২৩:৫৪

নায়িকাদের বইমেলা

সামনে মানুষ। পেছনে মানুষ। হাজারো মানুষ। পায়ে পায়ে মানুষের এগিয়ে চলা। সবারই গন্তব্য একটাই। প্রাণের মেলা, অমর একুশে গ্রন্থমেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস এলেই শাহবাগ থেকে টিএসসি ঘেঁষা বাংলা একাডেমি চত্বরে যেতে এমন দৃশ্যই ধরা দেয়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শোবিজের তারকারাও প্রতিবছর ঢুঁ মারেন বইমেলাতে। আসেন গ্ল্যামার দিয়ে শোবিজ মাতানো নাটক-চলচ্চিত্রের নায়িকারাও।

মাহি
বছর কয়েক আগেও বই মেলায় যেতাম। বন্ধু-বান্ধব সঙ্গে নিয়ে টোটো করে সমস্ত মেলা চত্বর ঘুরে বেড়াতাম, ফুচকা খেতাম। পছন্দের লেখকদের বই কিনতাম। আমি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই বেশি কিনতাম। তাছাড়া ভৌতিক কাহিনী নির্ভর বই পড়তেও ভালো লাগতো। শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় আজকাল আর মেলায় যাওয়া হয়না। তবে এবার ইচ্ছে আছে মাসের শেষে যেকোনো একদিন মেলায় যাবো। মেলায় হুমায়ূন স্যারের নতুন বই তো আর পাবো না, সেজন্য পড়া হয়নি তেমন কোনো বই খুঁজে বের করবো। আর ভৌতিক কিছু বইও সংগ্রহ করার কথা ভাবছি।

নওশাবা
ঢাবির চারুকলার ছাত্রী থাকাকালীন বইমেলাতেই সময় কেটে যেত ফেব্রুয়ারি মাসে। ঘুরতাম, আড্ডা দিতাম- আরো কতো কি! এখন আর সেভাবে মেলার সঙ্গে মিশে থাকতে পারি না। তবে প্রতিবছরই মেলাই যাই। আমার পছন্দের লেখক লেবাননের রাইটার কাহলিল জেবরান। তার লেখা অনেক বই আমি পড়েছি। এবারও ইচ্ছে আছে তার লেখা বাংলা অনুবাদের কিছু নতুন বই সংগ্রহে রাখবো। তাছাড়া শিশুতোষ বইগুলো আমাকে বেশি টানে। কারণ বাচ্চাদের বই পড়লে আমার নিজের কাছে একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। এছাড়া আমার মেয়ের বয়স সবে মাত্র তিন বছর। সে নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছে। তার জন্যেও কিছু বই কিনবো।

শবনম ফারিয়া
বাবার সরকারি চাকরির কারণে আমার ছোটবেলা কেটেছে ঢাকার বাইরে। তবে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই আমরা সবাই মিলে ঢাকায় চলে আসতাম শুধুমাত্র মেলার জন্য। আমি ছিলাম হুমায়ূন আহমেদের অন্ধ ভক্ত। স্যারের নতুন যে বইগুলো মেলায় আসতো প্রায় সব বই আমি কিনে নিতাম। তারপর ’১২ সালে হুমায়ুন স্যার মারা যাওয়ার পর থেকে আর মেলায় যাওয়া হয়না। মেলায় গেলে হুমায়ূন আহমেদের নতুন বই পাবনা- এই বিষয়টি কষ্ট দেয়। তাই যাই না। বাবা যান। তিনিই মেলা থেকে জাফর ইকবাল, বুদ্ধদেব, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ইমদাদুল হক মিলনসহ আরো অনেক লেখকের বই নিয়ে আসেন। আমি বাসায় বসে সেগুলোই পড়ি।

মৌসুমি হামিদ
গতবছর প্রথম বইমেলায় গিয়েছিলাম। অনেক মজা হয়েছিল। হুমায়ূন স্যারের কয়েকটি বই কিনেছিলাম। তাছাড়া এবারো যাওয়ার ইচ্ছে আছে। শুটিংয়ের চাপে আছি। হয়তো শেষের যে কোনদিন মেলায় হাজির হবো।

অধরা
আমি বইমেলাতেই আছি। কাছের এক বড় ভাইয়ের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে সেজন্য অপেক্ষা করছি। আমি ছোটবেলা থেকেই বইমেলায় আসি। মাঝে কয়েক বছর পড়ালেখার জন্য দেশের বাইরে ছিলাম সেজন্য আসতে পারিনি। অনেকগুলো বই কিনবো আজকে (সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি)। হুমায়ূন স্যারের কিছু বই, জাফর ইকবাল স্যারের বই এবং শীর্ষেন্দু মজুমদার ও সমরেশ মজুমদারের বই। এই লেখকদের বই আমার ভিষণ প্রিয়।

তানহা তাসনিয়া
ছোটবেলা থেকে প্রতিবছরই মেলায় যাই। বাবা-মা পরিবারের সবার সাথে মেলায় যেতাম। তবে এখন বন্ধুরা মিলে যাই। এবছর পহেলা ফাল্গুনের দিন মেলায় যাবো। হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, জাফর ইকবালের বই কিনব। এছাড়াও ঘুরে ফিরে দেখতে গিয়ে যদি কোনো বই ভালো লাগে তবে কিনে নিব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত