গায়ক ও সংগীত পরিচালক হৃদয় খান ও মডেল সুজানার বিয়ে ভেঙে গেছে। তাদের কাছের মানুষরা বলছিলেন আলাদা থাকছেন। প্রায় চারবছর প্রেম করার পর গত বছরের ১ আগস্ট মডেল সুজানাকে বিয়ে করেন হৃদয়।

জানা যায়, মাস তিনেক যেতে না যেতেই তাঁদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন শুরু হয়। একটা পর্যায়ে তা চরম আকার ধারণ করে। বনিবনা না হওয়ায় গত চার মাস থেকে থেকে আলাদা থাকছেন হৃদয় খান ও সুজানা।

অবশেষে সেই সম্পর্কে ছেদ টেনে হৃদয় খান আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে ঢাকার মনিপুরিপাড়ায় একটি কাজি অফিসে গিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন। আজকের মধ্যেই সুজানাও তালাকনামায় স্বাক্ষর করবেন।

এটি হৃদয় খান ও সুজানার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। ২০১০ সালের শুরুর দিকে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন হৃদয় খান। ছয় মাসের মাথায় হৃদয় খানের সেই সংসার ভেঙে যায়। এর আগে সাত বছর প্রেম করেন নওরীন নামের আরেকজন মেয়ের সঙ্গে। সুজানা, ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদেকে প্রথম বিয়ে করে। সেই বিয়ে টিকেছিল মাত্র চার মাস।

হৃদয়ের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিচ্ছেদের ব্যাপারটি নিয়ে হৃদয় নাকি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলতে চান না। এমনকি সুজানাকে এই ব্যাপারে কথা বলতে নিষেধ করেছেন হৃদয়।

সুজানা জানান, বিয়ের পরই হৃদয় খানের মধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তিনি বলেন, আমার কাজ ও পরিবারকে শ্রদ্ধার কথা বললেও অসম্মান করতে শুরু করে। হৃদয় তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে, ফ্যান পেজে, পত্রিকা ও টেলিভিশনে দেওয়া বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে বলে দাবি করেছে। কিন্তু তাঁর কথা আর কাজের সঙ্গে আমি ও আমার পরিবার কোনো ধরনের মিল খুঁজে পাইনি। এটা আমার সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। তিনি বলেন আমি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও পারি নি।