বিনোদন ডেস্ক

০২ এপ্রিল, ২০১৮ ২১:৩২

চেক প্রতারণার অভিযোগে আহমেদ শরীফের তিন মাসের কারাদণ্ড

চেক জালিয়াতির একটি মামলায় অভিনেতা আহমেদ শরীফকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তাকে এক লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

সোমবার (২ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. ইমান আলী শেখ এ রায় দেন।

২০১৫ সালের ৫ মার্চ মোশারফ হোসেন সুমন নামে এক ব্যবসায়ী আহমেদ শরীফের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাদী মোশারফ হোসেন সুমন জানান, প্রায় এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা চেক প্রতারণার অভিযোগে ২০১৫ সালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় আহমেদ শরীফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন তৎকালীন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত। পরে আহমেদ শরীফ জামিন নিলে মামলাটি ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়ে আসে।

তিনি আরো জানান, এ মামলায় আহমেদ শরীফের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলে বিচারক আজ মামলাটিতে রায় দিয়ে আহমেদ শরীফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, আহমেদ শরীফের কাছে বাদীর ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা পাওনা ছিল। সেই টাকা পরিশোধের জন্য আহমেদ শরীফ তাকে ইস্টার্ন ব্যাংকের একটি চেক দেন। ২০১৪ সালের ২২ মে বাদী মোশারফ চেকটি উত্তরার একটি ব্যাংকে জমা দিলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। ওই টাকা তোলার জন্য দ্বিতীয় বারের মতো মোশারফ একই বছরের ১১ ডিসেম্বর চেকটি জমা দিলে তা আবারো প্রত্যাখ্যাত হয়।

এরপর বাদী উকিল নোটিশ পাঠালেও আহমেদ শরীফ পাওনা টাকা ফেরত দেননি।

এ বিষয়ে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে তা বানোয়াট। একটা গ্রুপ আমাকে ছোট করতেই এসব করছে। আজকে আমার হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলে আমাকে আমার উকিল নিশ্চয়ই জানাতেন। আজ আমার কোর্টে কোনো হাজিরা ছিল না। আমার হাজিরা থাকেলে আমি দেই। এই দেশে খালেদা জিয়াও হাজিরা দেন। আমার মতো নাগরিকের দিতে সমস্যা ছিল না।’

দেশের চলচ্চিত্র ও নাটকে কয়েক দশক ধরে অভিনয় করছেন আহমেদ শরীফ। সেই সাথে বিএনপির রাজনীতির সাথেও জড়িত আছেন আহমেদ শরীফ। জাসাস সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন এই অভিনেতা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত