০১ মে, ২০১৮ ০৩:১৩
আইনি লড়াই শেষে একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব পেলেন লাক্স তারকা ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
সোমবার ঢাকার ১২তম সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান মেয়েকে বাঁধনের অভিভাবকত্বে দেয়ার আদেশ দেন।
বিচারক আদেশে বলেন, ‘কন্যাশিশুর অভিভাবক হচ্ছেন মা। মায়ের জিম্মায়ই মেয়ে থাকবে। কন্যার সর্বোত্তম মঙ্গলের জন্য মায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
এই রায়ে তিনি আরও বলেন, ‘কন্যাশিশুকে নিয়ে মা দেশের ভেতরে এবং বাইরে যেতে পারবেন, যেহেতু মা-ই কন্যাশিশুর অভিভাবক।’
রায়ের পর আদালত থেকে বের হয়ে বাঁধন সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ের অভিভাবকত্ব পাওয়ার জন্য গত নয় মাস আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। মেয়েকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি। কিন্তু আজ আমি নিশ্চিন্ত। আদালত মেয়ের সম্পূর্ণ গার্ডিয়ানশিপ আমাকে দিয়েছেন।
বাঁধনের আইনজীবী দিলরুবা শরমিন বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশ এই রায় উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমরা মামলাটি কেবল আইন দিয়ে নয়, মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিচালনা করেছি। আমরা আইন ও মানবিক—দুই দিক থেকেই মামলাটি উপস্থাপন করেছি।’
বাঁধন আরও বলেছেন, ‘আমাদের বিয়ের দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ৫ লাখ টাকা। আমি তা দাবি করিনি। মেয়ের কোনো ভরণপোষণের খরচ বাবা এত দিন দেননি। কোনো খোরপোষ দেননি। আমিও চাইনি। এসব কথা আজ আমি আদালতে বলেছি। বাবার কাছে ভরণপোষণ, এটা প্রত্যেক মেয়ের অধিকার, মেয়ের দেখাশোনা করা প্রত্যেক বাবার দায়িত্ব। এই কাজটা এত দিন আমিই করে এসেছি।’
২০১৭ সালের আগস্টে বাঁধন আদালতে অভিযোগ করেন, মেয়ে সায়রাকে তার প্রাক্তন স্বামী জোর করে নিয়ে যান। এরপর একরকম জোর করে তাকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
মা হিসেবে মেয়ের অভিভাবকত্ব চেয়ে গত বছরের ৩ আগস্ট মামলা করেছিলেন বাঁধন। সোমবার আদালত সেই মামলার রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে বিয়ে হয় আজমেরী হক বাঁধনের। তাদের একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর তাদের বিয়েবিচ্ছেদ হয়।
আপনার মন্তব্য