সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ মে, ২০১৮ ০০:০০

হারিয়ে যাওয়া একটি প্রজন্মে পরিণত হবে রোহিঙ্গা শিশুরা: প্রিয়াঙ্কা

রোহিঙ্গা বাবা-মায়েদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের একটি হচ্ছে সন্তানদের পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনা। শিক্ষা ও শেখার সুযোগ না পেলে রোহিঙ্গা শিশুরা হারিয়ে যাওয়া একটি প্রজন্মে পরিণত হবে। শিক্ষা কোনো পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করতে পারে না। বললেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত এবং বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির ঘুরে এসে বৃহস্পতিবার ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেন, রোহিঙ্গা শিশুরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দাবিদার। আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীর প্রতিটি শিশুরই একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রাপ্য। যাতে তারা মানবতার যাত্রায় কন্ট্রিবিউট করতে পারে।

তিনি বলেন, প্রতিটি শিশুর প্রতি বিশ্বের একটি দায়িত্ব আছে। ভবিষ্যৎ কিন্তু আমরা তাদের (শিশু) চোখ দিয়েই দেখি।

তিনি আরোও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু সমস্যা আছে, এগুলো কমানোর জন্য দিন রাত ইউনিসেফ কাজ করছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি আশ্রয়, কেননা বৃষ্টির দিন অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছে। তাদের নিরাপদ পানি দরকার যাতে ডায়রিয়া কিংবা কলেরার মতো রোগ না ছড়ায়। তারা যেন অপুষ্টিতে না ভোগে সেজন্য পুষ্টিকর খাবারেরও প্রয়োজন আছে।

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমাকে অনেক ভালবাসা দিয়েছে। আমি চাই তারা এই শিশুদেরকেও ভালবাসুক।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেন, মানবিকতার কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ। এই মানবিকতা সারা বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

সাবেক বিশ্ব সুন্দরী বলেন, আমি রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে মিশেছি। তাদের সঙ্গে খেলেছি। ৫-৬ বছরের শিশুদের চিত্রকর্ম দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তারা দেখেছে মাথার উপরে রকেট লঞ্চার, পায়ের তলায় মাইন। তারা সেটা মনে রেখেছে এবং এঁকেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সীমা সেন গুপ্ত, ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস চিফ জ্যঁ জ্যাক সিমনসহ অনেকে।

জাতিসংঘ সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে সোমবার বাংলাদেশে আসেন প্রিয়াঙ্কা। গত ৪ দিন তিনি উখিয়া ও টেকনাফের ১০টি শরণার্থী শিবির এবং সীমান্তের কাছের রোহিঙ্গা আগমনের ট্রানজিট পয়েন্ট ঘুরে দেখেন। রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন তাদের বাস্তবতা ও সঙ্কট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত