বিনোদন ডেস্ক

২৬ জুলাই, ২০১৫ ০১:০৯

লিনকিন পার্কের স্টুডিওতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি জায়েদ

‘স্টেজলাইট মান্থলি মিউজিক কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার পুরস্কার হিসেবে গানের দল লিনকিন পার্কের স্টুডিওতে যাচ্ছেন জায়েদ। এ প্রতিযোগিতার যৌথ আয়োজক ছিল লিনকিন পার্ক, গিটার সেন্টার ও ওপেন ল্যাব।

সংগীত পরিচালনায় মাস্টারিং, আরও সূক্ষ্মভাবে শব্দধারণ ও সংশ্লিষ্ট কাজগুলো তাঁকে হাতে–কলমে দেখিয়ে দেবেন লিনকিন পার্কের শব্দ প্রকৌশলী ও দলের সদস্যরা। লিনকিন পার্কের স্টুডিওতে জায়েদ যাবেন এক দিনের এক কর্মশালায় অংশ নিতে।

গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সুর তৈরি করে সাউন্ডক্লাউডে আপলোড করেছিলেন প্রতিযোগীরা। লিনকিন পার্ক আন্ডারগ্রাউন্ড নামের একটি গ্রুপ সেগুলো থেকে বাছাই করেছে সেরা গান।

এভাবে প্রতি মাসে শত শত প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল একজন করে প্রতিযোগীকে। পুরস্কার হিসেবে সেই ১২ জনকে দেওয়া হয়েছে তিন হাজার ডলার সমমানের গানের যন্ত্রপাতি। আর ১২ মাসে বিজয়ী ১২ জনের মধ্য থেকে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ। পুরস্কার হিসেবে গান কম্পোজের জন্য তিনি পাচ্ছেন একটি হাইব্রিড কম্পিউটার।

আর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে প্রিয় ব্যান্ডের স্টুডিওতে গিয়ে কাজ শেখার সুযোগ। আয়োজকেরাই বহন করবেন সব খরচ।

অনেকদিন ধরে সংগীত পরিচালনা করছেন জায়েদ হাসান। তাঁর সব কাজই অবাণিজ্যিক। সেসব বিনা মূল্যে অনলাইনে শোনার জন্য করা। শব্দ প্রকৌশলী জায়েদ হাসান সংগীত পরিচালনা করেন মূলত ভিন ভাষার গায়কদের জন্য।

‘স্টেজলাইট মান্থলি মিউজিক কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতার জন্য তাঁর সুর ও সংগীতায়োজনে ‘দ্য ওয়ে আই লাভ’ গানটি গেয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার শিল্পী হানা।

জায়েদ বলেন, ‘শ্রোতার কাছে গানটা পৌঁছালেই আমি খুশি। যাঁদের গান শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কাজ শেখার একদিনের সুযোগ পাওয়া আমার জন্য অবিশ্বাস্য ব্যাপার।’

তাঁর মতে, এটি একটি বিরল সুযোগ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তো বটেই, ভারত-পাকিস্তান থেকেও বহু তরুণ সংগীত পরিচালক এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।

জায়েদকে অভিনন্দন জানিয়ে লিনকিন পার্ক তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, লিংকড ইন এবং ইনস্টাগ্রামে প্রতিযোগিতার ফল আপলোড করেছে।

শিগগিরই জার্মান রেডিও অপোতে (AUPEU) প্রচারিত হবে জায়েদের সুর ও সংগীতায়োজনে করা গানগুলো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত