সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ মার্চ, ২০১৯ ২১:০১

ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, টাকা ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ

আহত ব্যবসায়ী হোসেন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, নগদ টাকা ও গোডাউনের মালামাল লুটপাট এবং মালামাল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে বড়লেখা বাজারের মেসার্স জমির এন্ড সন্সের গোডাউনে দোকান মালিকের ওপর হামলা, লুটপাট এবং পরবর্তীতে মালামাল পুড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।

হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন মেসার্স জমির এন্ড সন্সের পরিচালক হোসেন আহমদ। তাকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত ব্যবসায়ী হোসেন আহমদ উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের গ্রামতলা জমির উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী হোসেন আহমদের বাবা বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে মামলা করেছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়লেখা থানার ওসি ইয়াছিনুল হক। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা জানা গেছে, গত ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে মেসার্স জমির এন্ড সন্সের পরিচালক হোসেন আহমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে যান তার চাচা সোয়েব আহমদসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী। তিনি সেখানে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা (সন্ত্রাসীরা) ব্যবসায়ী হোসেন আহমদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হোসেন আহমদের ডান পায়ের উরুতে ও বাম হাতের কব্জিতে গুরুতর জখম হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সুযোগে সন্ত্রাসীরা হোসেন আহমদের প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ থেকে নগদ টাকা এবং একটি গাড়িতে করে গোডাউন থেকে নগদ ১০ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা, স্টকে থাকা ৫০ লক্ষ ৭০ হাজার ৫২০ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা মেসার্স জমির এন্ড সন্সের গোডাউন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ওই রাতে এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী হোসেন আহমদের বাবা বাদী হয়ে সোয়েব আহমদ, এমরান আহমদ, শাওন আহমদ, ফরহাদ আহমদ, সুমন আহমদকে আসামি করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনাম করে থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা করেন।

আহত ব্যবসায়ী হোসেন আহমদের বাবা জমির উদ্দিন বলেন, আমার চাচাতো ভাই (সোয়েব) উপজেলা নির্বাচনের আগে আমাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চায়। তখন না দেওয়ায় ছেলের উপর হামলা, মালামাল, নগদ টাকা লুটপাট ও গোদামের মালামাল পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার ছেলের অবস্থাও বেশি ভালো না। মামলা দিয়েছিলাম, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত