ডেস্ক রিপোর্ট

১৩ আগস্ট, ২০১৫ ০০:৫৬

তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

২০১১ সালের এই দিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারেক মাসুদ এবং মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন। দেশে এবং দেশের বাইরে নিজেদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছিলেন এই দুই গুনী ব্যক্তি।

এদিকে মর্মান্তিক ওই সড়ক দূর্ঘটনার চার বছর পেরিয়ে গেলেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। জামিন পেয়ে সেই বাস চালক ফিরে গেছেন মহাসড়কে। দীর্ঘদিনেও মামলার আসামী বাস চালক জামির হোসেনের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও। 

মামলাটি ছিল দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় আলোচিত একটি মামলা। ২০১২ সালের ২১ মার্চ মামলাটির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বাসের চালক  জামির হোসেনকে  দুর্ঘটনার পরে দিন চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পরে ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর চালক জামির হোসেন আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান। এই মামলায় মোট ৩৯ জন স্বাক্ষীর মধ্যে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল-মামুন ও তাঁর স্ত্রী দিলারা বেগম জলিসহ ১১ জন স্বাক্ষী দিয়েছেন।

এদের মধ্যে দূর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী ব্যোমকেশ সরকার, তারেক মাসুদের সহকারী ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী সাথী সরকার মারা গেছেন। 

এ বিষয়ে মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী আফসারুল ইসলাম মনি বলেন, ‘মামলাটির শুনানির দিন স্বাক্ষীরা উপস্থিত না হওয়ায় সব স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনে বিলম্ব হচ্ছে। আর সে কারণে মামলাটিও বিলম্বিত হচ্ছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন স্বাক্ষীরা হাজির হলে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে যেতে পারে’।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার সালজানা গ্রামে ‘কাগজের ফুল’ ছবির লোকেশন দেখে ঢাকা ফেরার পথে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে তারেক মাসুদ- মিশুক মুনীরদের বহনকারী মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-০৩০২) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪২৮৮) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। 

এতে ঘটনাস্থলেই চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর, মাইক্রোবাসের চালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী মোতাহার হোসেন ওয়াসিম ও জামাল হোসেন নিহত হন।

এ দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল-মামুন ও তাঁর স্ত্রী দিলারা বেগম জলি এবং তারেক মাসুদের সহকারী মনীশ রফিক আহত হন। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত