বিনোদন ডেস্ক

১৬ আগস্ট, ২০১৯ ১২:৩৪

চলে যাওয়ার পর আজ আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জন্মদিন

ব্যান্ড তারকা ও গীটার লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন আজ। ১৯৬২ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ‘গিটারের জাদুকর’র ৫৭ জন্মদিন। তাকে ছাড়াও এবারই প্রথম তার জন্মদিন উদযাপন করবে পরিবার ও ভক্ত-অনুসারীরা।

ব্যান্ড এলআরবির মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতকে এগিয়ে নিতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। অসংখ্য জনপ্রিয় গান এ ব্যান্ডের মাধ্যমে উপহার দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি একক ক্যারিয়ারেও পেয়েছেন আঁকাশছোঁয়া সফলতা।

গান গাওয়ার পাশাপাশি সুরকার হিসেবেও সফল ছিলেন তিনি। তবে উপমহাদেশের কিংবদন্তি গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চু হঠাৎ করেই চিরতরে চলে যান তার অগণিত ভক্ত-শ্রোতাদের কাঁদিয়ে। দিনটি ছিল গত বছরের ১৮ই অক্টোবর।

গান নিয়ে আরও অনেক স্বপ্ন ও পরিকল্পনা ছিল আইয়ুব বাচ্চুর। কিন্তু তা আর বাস্তবে রূপ পেলো না। ১৯৮৩ সালে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।

এরপর বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম শীর্ষ তারকা হয়ে উঠলেন প্রতিভা আর কঠোর পরিশ্রমে। গিটার হাতে মঞ্চে গাইলে দর্শক কণ্ঠ মেলাতেন তার সঙ্গে। ভক্তরা তাকে নাম দিয়েছিলো ‘বস’। মূলত রক ঘরানার গান করতেন। ব্যান্ড সংগীতের প্রতি তারুণ্যের জোয়ারের ধারা ধরে রেখেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তবে শুধু রক বা ব্যান্ডের গানে সীমাবদ্ধ ছিলেন না তিনি।

আধুনিক গান, লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। খুব অল্প গান করেছিলেন চলচ্চিত্রে। কিন্তু সেই অল্প কটি গানই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক এবং গায়ক। তার প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’।

তবে তার সফলতা শুর হয় দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’র মাধ্যমে। এদিকে আইয়ুব বাচ্চুর এলআরবি ১৯৯২ সালে ‘এলআরবি ১’ এবং ‘এলআরবি ২’, বাংলাদেশের প্রথম ডবল অ্যালবাম প্রকাশ করেছিল। তাদের তৃতীয় অ্যালবাম ‘সুখ’ (১৯৯৩) ছিল অন্যতম ব্যবসা সফল অ্যালবাম। এরপর ধারাবাহিকভাবে অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে কেবল সফলতাই পেয়েছে এলআরবি।

ব্যান্ডের বাইরেও আইয়ুব বাচ্চুর অসংখ্য গান পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে, রূপালি গিটার, রাত জাগা পাখি হয়ে, কষ্ট পেতে ভালোবাসি, ফেরারি মন, মাধবী, এখন অনেক রাত, ঘুমন্ত শহরে, বারো মাস, হাসতে দেখো, এক আকাশের তারা, উড়াল দেব আকাশেসহ অসংখ্য গান।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিনের হৃদযন্ত্রের ব্যথাটা আর সহ্য করতে না পেরে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সকালে অগণিত ভক্তদের কাঁদিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন এবি। সবার পছন্দের এই মানুষটিকে হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সঙ্গীতাঙ্গন।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম আইয়ুব বাচ্চুর। মৃত্যুর পর সেই চট্টগ্রামেই তাকে চিরশায়িত করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত