বিনোদন ডেস্ক

০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৩:২৬

‘এখনো অপ্রতিদ্বন্দ্বি সালমান শাহ’

‘তোমাকে চাই’ থেকে শুরু করে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘সুজন সখী’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে সালমান শাহর সঙ্গে অভিনয় করেছেন শাবনূর।

১৯৯৬ সালের এই দিনে জনপ্রিয় এ চিত্রনায়কের অকাল প্রয়াণে থমকে যায় চলচ্চিত্র অঙ্গন।

প্রিয় সহশিল্পীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করলেন চিত্রনায়িকা শাবনূর:

১৯৯৪ সাল। আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগের সেই সময়ে অভিনেত্রী হিসেবে আমি তখন একেবারেই নবীন। সেসময় তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া নায়ক সালমান শাহর সঙ্গে অভিনয় শুরু করি। দর্শকও বেশ ভালোভাবে আমাদের দুজনকে নেয়। ধীরে ধীরে কাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেসঙ্গে সহকর্মী হিসেবেও তার সঙ্গে আমার সখ্য দারুণ হয়ে ওঠে।

শুধু আমি নই, শুটিং ইউনিটের সবার সঙ্গেই সালমান অসাধারণভাবে নিজেকে মানিয়ে নিত। হাসি-আনন্দে পুরো শুটিং ইউনিটকে মাতিয়ে রাখত। ও এতই মজা করে কথা বলতে পারত যে, তা শুনে সারা দিনের পরিশ্রমকে কারো কাছেই পরিশ্রম মনে হতো না।

অভিনেতা সালমান আর ব্যক্তি সালমান অসাধারণ একজন মানুষ। তার চলে যাওয়ার এত বছর পরও আমরা সবাই তার শূন্যতা অনুভব করি। এখনো ভাবি, ও যদি আবার ফিরে আসত, আবার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সবার মন মাতাত।

অনেক নায়কের সঙ্গে অভিনয় করেছি, অনেক নতুন নায়ক বাংলা চলচ্চিত্রে এসেছে, কিন্তু সালমানের মতো কেউ এতটা প্রভাব রেখে যেতে পারেনি। যে প্রজন্ম ওকে দেখেনি, তারাও সালমানকে চেনে, তাকে নিয়ে আলোচনা করে। একজন শিল্পীর বেঁচে থাকার জন্য এর চেয়ে আর গর্বের কী হতে পারে। সময়কে ছাড়িয়েছে সালমান।

আমি বিশ্বাস করি, সালমানের জায়গা কেউ নিতে পারবে না। এর পরও কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে তাহলে বলব, সালমান, সালমান, সালমান। প্রয়োজনে হাজারবার বলব সালমান। আসলে ওর জায়গাই ওই সেরা। সালমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া কারো পক্ষে সম্ভবও না। সিনেমার শুটিংয়ের সময় সালমান কীভাবে অভিনয় করবে, তা আমি বুঝতে পারতাম।

একইভাবে আমি কী করব, তাও সে বুঝতে পারত। সহশিল্পীর মন বোঝার ক্ষমতা ওর অনেক বেশি। আসলে সালমান একজন ভালো মানুষ। ওর মৃত্যু আমাদের গোটা চলচ্চিত্র জগত্টাকেই নাড়া দিয়েছে, পেছনে ফেলে দিয়েছে। আমাদের এই দুঃসময়ে সালমানের উপস্থিতি খুব জরুরি।

সালমান, যেখানেই থাকো, ভালো থেকো। বাংলা চলচ্চিত্র কখনো তোমাকে ভুলবে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত