সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৯:২৮

সিলেট আসছে মণিপুরের ব্যান্ড ‘ইম্ফাল টকিজ'

এপ্রিল, ২০১৯ আসাম ট্যুরে ইম্ফাল টকিজ। বাম থেকে ডানে: আখু চিঙাংবাম, চাওবা থিয়াম ও ইরোম শিংথোই

এ বছরের মার্চে প্রকাশিত তাদের সর্বশেষ অ্যালবাম ‘ইমাগী ওয়ারী’ নিয়ে বাংলাদেশে গাইতে আসছে ‘ইম্ফাল টকিজ’। ‘ইম্ফাল টকিজ বাংলাদেশ ট্যুর ২০১৯’ শীর্ষক এই সফরে ভানুগাছ ও সিলেটে মোট ৪টি আয়োজনে বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য গাইবে তারা।

কমলগঞ্জের তেতইগাঁও, আদমপুর বাজারে অবস্থিত মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্সে সফরের প্রথম শো অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ।

২০ ডিসেম্বর সিলেটের আম্বরখানা মণিপুরি পাড়ায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় শো।

তৃতীয় শো অনুষ্ঠিত হবে ২১ ডিসেম্বর, সিলেটের কুশিঘাটে অবস্থিত নয়াবাজার মণিপুরি মণ্ডপে। সফরের সর্বশেষ শোতে ইম্ফাল টকিজ গাইবে ২২ ডিসেম্বর, সিলেটের লামাবাজার মণিপুরি মণ্ডপে।

ঘরোয়া ও বৈঠকি ঢংয়ে আয়োজিত গানের এই আসরগুলি শেষে উপস্থিত দর্শকশ্রোতাদের সাথে চলবে সরাসরি আড্ডা ও আলাপচারিতা। শো চারটি আয়োজন করবে যথাক্রমে ভানুগাছ নাহারোল অপূনবা লূপ, আম্বরখানা মণিপুরি সোশ্যাল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, নয়াবাজার নাহারোল লূপ ও লামাবাজার নাহারোল লূপ।

ইম্ফাল টকিজের প্রতিষ্ঠাতা আখু চিঙাংবাম গত বছর আসাম, বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মণিপুরি অধ্যুষিত কিছু অঞ্চল ভ্রমণ করেন। সেই ভ্রমণে তিনি আসাম, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে বসবাসরত মণিপুরি কবি-সাহিত্যিক ও নানান শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে আলাপ করেন এবং তাদের অভিবাসনের ইতিহাস, সাহিত্য, জীবন-সংগ্রাম ও ডায়াস্পোরিক অভিজ্ঞতার কথা শোনেন। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ফর দ্যা আর্টস (আইএফএ) এর সহযোগিতায় প্রকাশিত ‘ইমাগী ওয়ারী' অ্যালবামের গানগুলিতে এসেছে তাদের সেই গল্প ও অভিজ্ঞতার কথা।

৭টি গান নিয়ে প্রকাশিত এই অ্যালবামের বিশেষত্ব হলো গানগুলিকে এমনভাবে লেখা হয়েছে যেন একসাথে শুনলে তা পূর্ণাঙ্গ একটি গল্পের মতো মনে হয়। এই ধরণের অ্যালবাম কনসেপ্ট অ্যালবাম নামে পরিচিত। শোতে আগত দর্শকরা ব্যান্ড সদস্যদের সাক্ষর সম্বলিত ‘ইমাগী ওয়ারী’ অ্যালবামের সিডি সংগ্রহ করতে পারবেন ভেন্যুস্থল থেকে।

২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা ‘ইম্ফাল টকিজ’ মূলত ফোক-রক ধারার গান করে থাকে। ভারতের মণিপুর ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে চলমান জাতিগত সহিংসতা, বর্ণবিদ্বেষ ইত্যাদি নিয়ে প্রতিবাদী গান গাওয়ার জন্য তারা সুপরিচিত। ভারতের রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন তাদেরকে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর ‘স্বর' হিসেবে অভিহিত করেছিল।

পাশ্চাত্যের ফোক, রক ও ব্লুজ ধারার সাথে মণিপুরি লোক সংগীতের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র (যেমন পেনা, লাংদেন, তৌদ্রি ইত্যাদি) ও মণিপুরি লোক সাহিত্যের অনুষঙ্গের (যেমন ফুঙ্গাওয়ারী, লোক ছড়া, নাউশুম ইশৈ ইত্যাদি) মিশেল ঘটিয়ে শিকড়ঘেঁষা মৌলিক গান সৃষ্টি করার জন্য ইম্ফাল টকিজ ইতিমধ্যেই তাদের নিজস্ব এক শ্রোতাগোষ্ঠী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত