নিউজ ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ১০:০১

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৭৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৭৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ।

১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি ৬১ বছর বয়সে কলকাতার পার্ক নার্সিং হোমে মৃত্যু বরণ করেন বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলী জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই অপরাজেয় লেখক। তাঁর পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ও মাতা ভুবনমোহিনী দেবী। আর্থিককষ্টে মতিলাল স্বপরিবারে ভাগলপুরে শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়ে তেজনারায়ন জুবিলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৮৯৪ সালে এনট্রান্স পাস করেন এ এফ.এ ক্লাসে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে অর্থকষ্টে বাদ দেন পড়াশুনা।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যের হাতেখড়ি হয় ভাগলপুরে। এসময়ে খসড়া লেখা পরবর্তীতে সংশোধিত হয়ে প্রকাশ চন্দ্রনাথ দেবদাসের মত সাহিত্য।

কলকাতা থেকে বার্মায় যাওয়ার সময় মন্দির নামের একটি গল্প কুন্তীলন পুরষ্কারের জন্য দাখিল করে যান। যা পরবর্তীতে পুরস্কৃত হওয়ার সাথে কুন্তীলন পুস্তিকামালায় প্রকাশিত ১৩১০ সালে। বার্মাতে থেকে তার তার লেখা বড়দিদি। এসময়ই ইংরেজি উপন্যাসের বিষয়বস্তু নিয়ে রচনা করেন দত্তা ও দেনাপাওনা।

বাংলা ভাষা বাদে তার লেখা বহু ভারতীয় ও বিদেশী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। শরৎচন্দ্রের সাহিত্য কর্মকে নিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় পঞ্চাশটি চলচিত্র বিভিন্ন ভাষায় তৈরি হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশী দেবদাস। স্বামী চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৭৭ সালে ফিল্মফেয়ারে সেরা লেখকের পুরষ্কার পান।

শেষ জীবনে শরৎচন্দ্র প্রায়শই অসুস্থ থাকতেন। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি স্বাস্থ্য উদ্ধারের উদ্দেশ্যে দেওঘরে তিন চার মাস কাটিয়ে কলকাতা ফিরে এলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর যকৃতের ক্যান্সার ধরা পড়ে, যা তাঁর পাকস্থলী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। বিধানচন্দ্র রায়, কুমুদশঙ্কর রায় প্রভৃতি চিকিৎসক তাঁর অস্ত্রোপচারের পক্ষে মত দেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে দক্ষিণ কলকাতার সাবার্বান হসপিটাল রোডের একটি ইউরোপীয় নার্সিং হোমে ও পরে ৪নং ভিক্টোরিয়া টেরাসে অবস্থিত পার্ক নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ই জানুয়ারি শল্য চিকিৎসক ললিতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দেহে অস্ত্রোপচার করেন, কিন্তু চার দিন পরে সকাল দশটায় শরৎচন্দ্র শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তার জনপ্রিয় কয়েকটি উপন্যাস হচ্ছে  বড়দিদি, রিবাজবৌ, পরিণীতা, পল্লীসমাজ, দেবদাস, পন্ডিতমশাই, শ্রীকান্ত, পথের দাবী, দত্তা, গৃহদাহ উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি নাটক, গল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত