সজলকান্তি সরকার

০৭ মার্চ, ২০১৮ ২২:৩৭

ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়া

ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়া, কুলা মাথায় দিয়া। লাইনটির শুরুতেই মনে হয় হাস্যরসের ব্যাঙাত্মক কোনও বিষয়কে উপস্থাপন করা হবে। মূলত তা নয়, এটি একটি তাত্ত্বিক ও তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ বহন করে মিশে আছে হাওরবাসীর জীবনাচারে। যা তাদের কৃষিব্যবস্থার কাণ্ডারি। বিশেষ করে হাওরপারের কৃষকসমাজ এ পঙক্তিটির সাথে সুপরিচিত।

বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থায় এক সময় সেচ পদ্ধতি ছিল কেবলই সনাতনী ধারায়। আর এজন্য কৃষককে তার ফসল রক্ষায় অনেক সময় বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল হতে হত। তৎকালে সেচ পদ্ধতিতে বাঁশের তৈরি ‘হেউত’ (সেঁউতি) দিয়ে বা কাঠের তৈরি ‘কুন’ দিয়ে জমিতে সেচ দেওয়াই একমাত্র উপায় ছিল। কুন অনেকটা নৌকার মত সরু আকৃতির যার এক প্রান্ত খোলা। যা সাধারণত এক কাঠেই বেশি তৈরি হয়। অনেক সময় তিন তক্তাতেও তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে ঝাউ গাছের ব্যবহারও লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে কুন দিয়ে সেচের প্রচলন খুবই কম।

হাওরপারের কৃষকসমাজ একটি মাত্র ফসলের উপর নির্ভরশীল। তাই ফসল রক্ষায় অন্যদের চেয়ে তাদের ব্যাকুলতা একটু বেশিই হওয়া স্বাভাবিক। মাঘ মাসে সাধারণত হাওরপারের জমি রোপণের কাজ শেষ হয়। তারপর ফসলের পরিচর্যার জন্য জমি নিড়িয়ে দেয়া ও সেচ দেওয়াই মুখ্য বিষয়। একসময় সার বা কীটনাশকের ব্যবহার ছিল না। ছিল না যান্ত্রিক উপায়ে সেচব্যবস্থার। তাই স্বাভাবিকভাবে যখন খাল-বিল, নদী-নালার পানি শুকিয়ে যেত তখন সনাতনী সেচ ব্যবস্থার কোন রকম সুযোগ থাকত না। তাই বৃষ্টিই ছিল তখন ফসল রক্ষার একমাত্র ভরসা।

ফাল্গুন মাসে যখন ফসলের বীজ তৈরির সময় তখন বৃষ্টি না হলে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। প্রচণ্ড রৌদ্রতাপে হাওরাঞ্চলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। মাঠ-ঘাট, খাল-বিল ফেটে চৌচির হয়ে যায়। মনে হয় সমস্ত অঞ্চল যেন ‘চিতাসম’। যাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় ‘খড়ান’ বা ‘খরা‘। প্রকৃতির এই দাবদাহ ও রুক্ষতা থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। আর এ প্রার্থনার বিশেষ একটি লোকাচারের নাম ‘ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়া‘।

এ বিষয়ে হাওরবাসীর তাত্ত্বিক বিশ্বাস ও ধারণা এই যে, বেশিরভাগ ব্যাঙ’ই সাধারণত পানিতে থাকতে ভালোবাসে। বৃষ্টির জমা পানিতে ব্যাঙ লাফালাফি করে খুব আনন্দ পায়। আনন্দে ঘ্যাঙগর-ঘ্যাঙগর সুর তুলে ডাকে। শুধু তাই নয়, এ পরিবেশে তারা পরিণয়েও আবদ্ধ হয়। অর্থাৎ ব্যাঙ, বৃষ্টি ও পানির মধ্যে একটা যোগসাজশ আছে। আর তাই বৃষ্টির প্রয়োজনে আয়োজন হয় ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়ের। যা এখন আর আগের মত নেই বললেই চলে।

একসময় হাওরপারের কৃষকদের ধারণা ও বিশ্বাস ছিল ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়ের আয়োজন হলে বৃষ্টি হবেই। তাই প্রকৃতির এই চরম মুহূর্তে গৃহস্থ পরিবারের মেয়েরা এ বিয়ের আয়োজন করত। তবে এ ক্ষেত্রে গরীব গৃহস্থ পরিবারের মেয়েদের অংশগ্রহণই বেশি। কেননা এতে আত্মসম্মান জড়িত। তাই গরীব ঘরের মেয়েদের উপরেই এ দায় বেশি বর্তাতো। তাদের মধ্যে একজন ব্যাঙার মা, আরেকজন ব্যাঙির-মা হত। তবে লক্ষণীয় যে, এক্ষেত্রে ছেলেদের কখনও বাবার ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। অর্থাৎ সকল দায়িত্বই নারী বা মায়েদের। তাঁদের জন্যই অগ্নিপরীক্ষা, নয় অন্য কেউ। গৃহস্থ পরিবারের মেয়েরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে গাঁয়ের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুলা মাথায় দিয়ে গীত গেয়ে সাহায্য মাগে ও বিয়ের নিমন্ত্রণ দেয়। এ ক্ষেত্রে একটি গীতের কথা আজও মনে পড়ে।

ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়া কুলা মাথাত দিয়া
ও ব্যাঙ মেঘ আনগা গিয়া \
খালও নাই পানি বিলও নাই পানি
আসমান ভাঙ্গিআ পড়ে ছিডা ছিডা পানি \
কানা মেঘা রে তুই আমার ভাই
এক ছিডা পানি দিলে শাইলের ভাত খাই \
শাইলের ভাত খাইতে খাইতে শইল অইব মোডা
কানা মেঘার ঘর গিয়া দিয়াম ভাই ফোডা \

২.
আল্লাহ মেঘ দে পানি দে
ছায়া দেরে তুই আল্লাহ মেঘ দে,
আসমান হইল টুটা টুটা জমিন হইল ফাটা
মেঘ রাজা ঘুমাইয়া রইছে মেঘ দিব তোর কেডা
আল্লাহ মেঘ দে আল্লা মেঘ দে
আল্লাহ মেঘ দে পানি দে পানি
ছায়া দেরে তুই আল্লাহ মেঘ দে \
ফাইটা ফাইটা রইছৈ যত খালা বিলা নদী
পানির লাইগা কাইন্দা ফিরে পঙ্খী জলদি
আল্লাহ মেঘ দে পানি দে পানি
ছায়া দেরে তুই আল্লাহ মেঘ দে \
কপোত কপোতি কাঁদে কূপেতে বসিয়া
শুকনা ফুরের কলি পড়ে ঝরিয়া ঝরিয়া
আল্লাহ মেঘ দে পানি দে পানি
ছায়া দেরে তুই আল্লাহ মেঘ দে \

গৃহস্থের উঠোনে কুলা মাথায় দিয়ে এ গান গাওয়ার সময় গৃহিণী কুলায় পানি ঢেলে দেয় অর্থাৎ বৃষ্টির পূর্বাভাস বা আগমনী উৎসব। তারপর কুলা থেকে ঝড়ে পড়া পানি গৃহিণী পাত্রে সংরক্ষণ করে সারাবাড়ি ছিটিয়ে দেয়। তাদের বিশ্বাস কুলার ছিটা ছিটা পানি যেখানে পড়বে তা শুকিয়ে যাওয়ার আগে বৃষ্টি হবে। এ ভাবেই সারা গাঁয়ে গীত গেয়ে মাগন মাগে ব্যাঙা-ব্যাঙির দল। আর গৃহস্থ তাদের সাধ্যমত টাকা পয়সা বা চাল দিয়ে সম্মান করে বিয়ের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে। এভাবে দুইচার দিন কুলা মাথায় পানি ছিটানোর পর বিয়ের সময় প্রকৃতির খেয়াল খুশিতেই হোক আর তাদের আরাধনাতেই হোক অনেক সময় বৃষ্টি হয়ে গেলে তাদের বিশ্বাসের দৃঢ়তা বেড়ে যায় এবং তারা বিবাহ আচার বা স্রষ্টার প্রতি আরও বিশ্বাসী হয়ে পড়ে। বিয়ের আগে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানিতে যখন সারা অঞ্চল শীতল হয় তখন উঠোনের জমা পানিতে তারা ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়ের আয়োজন করে এবং স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে। অথবা বৃষ্টি না হলে উঠোনে পানি ছিটিয়ে বিয়ের আয়োজন হয়।

বিয়ের শেষে সকলে মিলে আনন্দঘন পরিবেশে থাকে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। সময়মতো বৃষ্টি হলে অগ্নিপরীক্ষায় জয়ী মেয়েরা পায় সামাজিক সম্মান ও মর্যাদা। যদি কোন কারণে বৃষ্টি না হয় তাহলে সমাজ ব্যাঙা-ব্যাঙির মাকে অসতী, অপয়া বা খারাপ বলে ধারণা করে। অনেক সময় মেয়েটির বিয়ের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়ে।

এমনও জানা গেছে, একসময় এ বিয়েকে কেন্দ্র করে অনেকেই ব্যাঙা-ব্যাঙির মা নামেও সমাজে পরিচিতি পেয়েছে। তবে সে যাই হোক, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের জয় হয়েছে। সমাজ দলগতভাবে এ জয়ের আনন্দ উল্লাস করেছে। তাই ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়া নিছক শুধু হাস্যরসের বিষয়ই নয়, এটি একটি সমাজের ঐক্য ও সম্প্রীতি গড়ে তোলার কৌশল বা নিয়মও বটে। আর ব্যাঙা-ব্যাঙির মাও মাতৃশক্তি মহামায়াদের একটি রূপ। তাদের প্রতিও মাতৃবন্দনা ও মাতৃপূজার দাবি করা যায়।

এক সময় হাওরপারের সমাজব্যবস্থায় এ বিয়েকে কেন্দ্র করে যে সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে উঠত তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। হিন্দু-মুসলমান সকলে মিলে এই বিয়ের আয়োজনে শরিক হত। ভাবের আদান-প্রদান হত একে অন্যের সাথে। যেকোনো সমস্যার মোকাবেলা করত তারা এক সাথে, সকলে মিলে। একে অন্যের বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়াত নিঃস্বার্থভাবে। হাওরপারের মাটির মানুষগুলো প্রকৃতি থেকে সবসময়ই সুখ আহরণ করত। তারা বিশ্বাস করত মানুষের মাঝেই মানুষের সুখ খুঁজে পাওয়া যায়। স্রষ্টা বা প্রকৃতি মানবকল্যাণে তখনই আসে যখন মানুষ তার সৎকর্ম, বিশ্বাস ও নীতিতে অবিচল থাকে। তাই তাদের সামাজিক রীতি-নীতির প্রতি ছিল অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস।

বর্তমানে তা আর হয় না। এখন মানুষ তার প্রতিবেশির খবর রাখে না। ‘মানুষ মানুষের জন্য’- এ কথাটা আর নীতিবোধের মর্যাদা পায় না।

এক্ষেত্রে একটি অভিজ্ঞতার কথা না বললেই নয়, গরীব গৃহস্থ পরিবারের মেয়ে সালমা ব্যাঙির মার ভূমিকায় বিয়ের আয়োজনে রাজি হল। তবে একটি শর্তে, তাকে একটি নতুন জামা দিতে হবে। সারা গ্রাম ঘুরে দাওয়াত দেওয়ার কাজ শেষ। সময় মত বৃষ্টিও হল। এবার বিয়ের আয়োজন। বিয়ের উপস্থিত মুহূর্তে ব্যাঙার মাকে পাওয়া গেলেও ব্যাঙির মা সালমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খুঁজতে খুঁজতে সারা গ্রামে তোলপাড় কাণ্ড বেধে গেল। ব্যাঙির মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকলের মুখে মুখে কেবল ব্যাঙির মা, ব্যাঙির মা। যাই হোক, অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে পাওয়া গেল। সে অভিমানে গা ঢাকা দিয়েছিল। কারণ তার নতুন জামা আনা হয়নি। গ্রামের সবাই তাকে বুঝাল, পরদিন হাট থেকে তাকে নতুন জামা এনে দেওয়া হবে। সালমার এক কথা, ‘নতুন জামা চাই’। সবাই পড়ল বেশ মুশকিলে। অবশেষে একটি পুরাতন জামা দিয়ে তাকে রাজি করানো হল। বেশ ধুমধাম করে বিয়ে হল, সমাজ মুক্তি পেল বৃষ্টিদেবতার বা স্রষ্টার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। কিন্তু মুক্তি পেল না সালমা সমাজের খেয়াল খুশির নিষ্ঠুর আচরণ থেকে। তাই সালমার এই জামা চাওয়ার ইচ্ছাটা পরদিন সালমাকে সমাজে নতুন পরিচয়ের সকাল উপহার দিল। সমাজে ছোট-বড় সবাই তাকে তামাশা করে ‘ব্যাঙির মা’ বলে ডাকতে শুরু করে দিল। কেউ কেউ উপহাস করে বলতে লাগলো, ‘ব্যাঙির মা ব্যাঙির মা, গায়ে তার পুরান জামা’। প্রথম প্রথম সালমা রাগ হলেও কিছুদিন পর তা কেটে গেল। সালমা এবার পুরোপুরি ‘ব্যাঙির মা’ নামেই সমাজে পরিচিত।

অতি গরীব ঘরের মেয়ে সালমা। পাড়ায় পাড়ায় ফেরি দোকান করে সংসার চালাত। আমি তখন নবম শ্রেণির ছাত্র। একদিন সকালবেলা। সালমা আমার লজিং-বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে মাথায় দোকানের ঢালা নিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় আমার কাকা (লজিং বাড়ির) সালমাকে উদ্দেশ্য করে ডাকলেন-‘এই ব্যাঙির মা... এই ব্যাঙির মা’। সালমা হাসি মুখে জবাব দিল-‘কিছু রাখবাইন নি চাচা?’ সালমা এসে মাথা থেকে ঢালা নামাল। পান-সুপারি, লজেন্স, বিস্কুটসহ নানান পণ্যে সাজানো তার দোকান। কাকা এক টাকার পান রাখলেন। তারপর সালমা যথারীতি চলে গেল তার কাজে। আমি কাকাকে জিজ্ঞেস করলাম- দোকানির নাম ‘ব্যাঙির মা’ কেন? তখনই কাকা বাস্তব সত্য বিষয়টা খুলে বললেন। মনটা আমার ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। পরদিন রাস্তার পাশে আমি দাঁড়িয়ে রইলাম, কখন আসবে সালমা। কিছুক্ষণ পর দেখলাম এই পথ দিয়েই সালমা আসছে। আমি পাশের গোয়াল ঘরের আড়ালে লুকিয়ে তাকে সজোরে চিৎকার করে ডাকলাম-‘সালমা আপা’ তারপর-‘সালমা... সালমা... এই সালমা...। অনেক ডাকলাম, দোকানি সাড়া দিল না। চলে গেল আপন ভাবনায় মগ্ন হয়ে মেঠোপথ ধরে ব্যবসার সন্ধানে।

সমাজ বড়ই নিষ্ঠুর। মা-বাবার অতি আদরের দেওয়া সেই সুন্দর ‘সালমা’ নামটা তার জীবন থেকে শুধু মুছেই গেল না সে নিজেও ভুলে যেতে বাধ্য হল। শুনেছি ঠেলায় পড়লে মানুষ বাপের নামও ভুলে যায়। কিন্তু এ যে দেখছি উল্টো। সমাজের চাপে মানুষ কখনও নিজের নামও ভুলে যায়। সালমা সমাজের প্রয়োজনে ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়েতে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে তার প্রিয় নামটি সমাজকে উপহার দিয়ে প্রমাণ করল- সে নিজের চেয়ে সমাজকে কতটুকু ভালোবাসে। তাই সে সালমা নয়, মাতৃশক্তিরূপী ‘ব্যাঙিরমা’।

বর্তমানে হাওরপারে আর ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়ের আয়োজন তেমনভাবে হয় না। আরাধনা হয় না সেই বৃষ্টিদেবতার। এখন সেচব্যবস্থায় যান্ত্রিকীকরণের ফলে ফসলে পানির অভাববোধও তেমন নেই। কৃষক এখন তার ফসলের নিশ্চয়তার জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে ডিপটিউবওয়েল দিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তুলে ফসলের পানির অভাব পূরণ করে। যা খুবই স্বাভাবিক, উন্নয়নশীল পরিবর্তন কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, প্রকৃতিতে আরও অনেক গাছপালা বা বন-জঙ্গল রয়েছে যাদের সাথে আমাদের জীবনের সম্পর্ক, তাদের রক্ষা করবে কে? তাদের জন্য কি আধুনিক সেচব্যবস্থা হবে? হবে কি ব্যাঙা-ব্যাঙির বিয়ে?

আমরা মূলত সাময়িক বা স্বল্পসুখের অংশীদারিত্ব চাই। সামগ্রিক বা বৃহত্তর ভালো কিছু করতে আমরা ভুলে যাই। সে যাই হোক, প্রকৃতির নিয়মে প্রকৃতিই প্রকৃতিকে রক্ষা করবে এটাই চিরসত্য। তবে আমাদের চাওয়া বা ইচ্ছার যেন কমতি না হয় এটাই অনুরোধ।

  • সজলকান্তি সরকার: লেখক ও হাওর গবেষক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত