আলমগীর শাহরিয়ার

০২ জুন, ২০১৮ ১৯:৪৯

রাজীব মীর: একজন সঙ্কটাপন্ন তরুণ কবির মুখ

রাজীব মীর একজন শিক্ষক, লেখক, গবেষক ও একজন কবি। জন্ম দ্বীপ জেলা ভোলায়। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে। সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ এ কবির সঙ্গে আমার তেমন হৃদ্যতা ছিল বলব না। ছিলেন ফেসবুক বন্ধু। তবুও মনে হয় বেশ চিনতাম। অগ্রজ, কাছের কেউ। সমাজ ও শিল্পভাবনার একই জগতে বিচরণ। হঠাৎ একদিন ফোনে পরিচয় দিয়ে বললেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চান। স্যারের সঙ্গে কথা বলে উনাকে একদিন সন্ধ্যায় আসতে বলি কেন্দ্রে। আসলেন সস্ত্রীক। সঙ্গে তাঁর কবিতার বই। যদি ভুল না করি ‘অনন্যা’ থেকে প্রকাশিত ‘শুধু তোমার জন্য লিখি’ কাব্যগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেছেন সায়ীদ স্যারকে। সেই সন্ধ্যায় আলাপ পরিচয়, জানাশোনা। কেন্দ্রে প্রায়ই আসতেন। আলোর ইশকুলেও এসেছিলেন একদিন বক্তা হিসেবে।

সেদিন হঠাৎ আবৃত্তিশিল্পী নওশীন এর মাধ্যমে শুনলাম এই প্রাণোচ্ছল, শিল্পে ও কবিতায় জীবন সমর্পণ করা মানুষটি ভীষণ অসুস্থ। চিকিৎসাধীন আছেন ভারতের চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে। প্রাণঘাতী রোগ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। হাতে আছে ডাক্তারের বেঁধে দেওয়া দুই মাস সময়। জেনে তাঁর অপরাপর স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মত মুষড়ে পড়ি।

জরুরিভিত্তিতে তাঁর লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন করানো দরকার। ভাগ্যিস রাজীব মীরের এক বোন তাকে যকৃত দানে রাজি হয়েছেন।

এখন দরকার ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য টাকার। ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রক্রিয়ায় প্রায় ৬০ লাখ টাকার মত লাগবে। এছাড়া, আরও ৩০ লাখ টাকার মত অপারেশন পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার জন্য লাগবে। রাজীব মীরের পরিবার, বন্ধু ও স্বজনরা জানিয়েছেন ইতোমধ্যে ৩৩ লাখ টাকার মত যোগাড় হয়েছে।

একজন তরুণ শিক্ষক, প্রবল জীবন তৃষ্ণায় তাকিয়ে থাকা সম্ভাবনাময় এক মেধাবী মুখ, একজন কবি, একজন সদ্যোজাত উচ্ছল কন্যাশিশুর পিতা এভাবে চলে যেতে পারেন না। এখনও তাঁর অনেক কিছু দেবার বাকি। উদ্বিগ্ন বন্ধু, স্বজন, পরিবার, প্রিয়তমা স্ত্রী, ফুটফুটে মেয়েশিশুটি বাবা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসবেন বলে অপেক্ষা করছেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন।

সমাজের সামর্থ্যবান মানুষের পাশাপাশি রাষ্ট্রের উচিত সংকটাপন্ন এই মানুষটির পাশে দাঁড়ানো। তিলে তিলে গড়ে উঠা জীবন খুব মূল্যবান। সবার সহযোগিতা আর মানবিকতায় আমরা একটি জীবনের অকাল অপচয় রোধ করতে পারি। পাশে দাঁড়াতে পারি।

বিকাশের জন্য রাজীবের বোন জান্নাতুল মাওয়া প্রদত্ত নাম্বার: ০১৭৯২৪৫৫৮২৮, ০১৭৪৮৭২৫৫৯৯, ০১৭১১২৭৮৫২৬।

ব্যাংকের মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন অর্থ সাহায্য: Sayeda Farjana Yasmin, A/C : 186-103-00-19648, Dutch Bangla Bank, Munshiganj Branch, Munshiganj

আপনার মন্তব্য

আলোচিত