সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ আগস্ট, ২০১৫ ০৩:২৪

জেনে নিন এইস-নাপাসহ ৫১ নিষিদ্ধ ওষুধের নাম

এইস সফট, নাপা সফটসহ বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত প্যারাসিটামল জাতীয় ১৬টি ওষুধের নিবন্ধন বাতিল করেছে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এ ছাড়া আরো ৩৫ ধরনের ওষুধের নিবন্ধনও বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে স্কয়ার, অপসোনিন, বেক্সিমকো, রেনাটা, ইবনে সিনার মতো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ওষুধও রয়েছে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

মূলত প্যারাসিটামল, পায়োগ্লিটাজন ও রসিগ্লিটাজন গ্রুপের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এসব ওষুধের উৎপাদন, বিপণন, মজুদ, বিক্রয়, ক্রয় ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপশি জনসাধারণকে এসব ওষুধ ব্যবহার না করার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় সুপারিশ অনুযায়ী এসব ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে এসব ওষুধ নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে বাজার থেকে প্রত্যাহার করে তার পরিমাণসহ অধিদপ্তরকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধগুলো হলো-
বেক্সিমকো ফার্মার নাপা সফট ট্যাবলেট, পায়োগ্লিট ৩০ ও ৪৫ ট্যাবলেট।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এইস সফট ট্যাবলেট, টস-৩০ ও ৪৫ ট্যাবলেট, সেনসুলিন ২ ও ৪ ট্যাবলেট।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ডায়াটাস ৩০ ট্যাবলেট।
আদ দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালসের পিজোবেট ৩০ ট্যবলেট।
দি ইবনে সিনা ফার্মার সফটপ্যারা ট্যাবলেট।

রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যারাডট ও পায়োগির ৩০ ট্যাবলেট।
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের পায়োডার ৩০ ট্যাবলেট।
এসিআই লিমিটিডের ডায়াট্যাগ ৩০ ও ৪৫ ট্যাবলেট।
অপসোনিন ফার্মার রেনোমেট ট্যাবলেট, পাইলো ৩০ ট্যাবলেট, অপসো স্যালাইনের জিসেট ট্যাবলেট।
এসকেএফের টেমিপ্রো ট্যাবলেট।

জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের রসিগ্লিট ২ ও রসিগ্লিট ৪ ট্যাবলেট।
বায়োফার্মার প্রিগলেট ৩০ ট্যাবলেট।
এরিস্টোফার্মার গ্লুকোরস ২ ও ৪ ট্যাবলেট, গ্লুকোজন ৩০ ট্যাবলেট।
ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের ফিভিমেট ট্যাবলেট, পায়োজেনা ৩০ ট্যাবলেট, রোমেরল ২ ও ৪ ট্যাবলেট।
দ্য একমি ল্যাবরেটরিজের ফাস্ট-এম ট্যাবলেট।

বায়োফার্মার এসিটা সফট ট্যাবলেট।
ইউনিমেড অ্যান্ড ইউনিহেলথের একটোস ৩০ ট্যাবলেট।
ডেল্টা ফার্মার রসিট ২ ও ৪ ট্যাবলেট।
মিল্লাত ফার্মার পায়োট্যাব ৩০ ট্যাবলেট।

কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওগলি ৩০ ট্যাবলেট ও ট্যাজন ৪ ট্যাবলেট।
নোভেল্টা বেস্টওয়ে ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নরসফট ট্যাবলেট।
জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের পামিক্স-এম ট্যাবলেট।
লিওন ফার্মাসিউটিক্যালসের মেটেস ট্যাবলেট।
সোমাটেক ফার্মাসিউটিক্যালসের একটল-এম ট্যাবলেট।

শরিফ ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যারামিন ও পিগজন-৩০ ট্যাবলেট।
প্যাসিফিক ফার্মার পিগিট ৩০ ট্যাবলেট।
ডক্টরস কেমিক্যালের পায়োজন ৩০ ট্যাবলেট।
অ্যালকো ফার্মার পায়োলিট ৩০ ট্যাবলেট।
দি হোয়াইট হর্স ফার্মার লিট-৩০ ট্যবলেট।

অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুযায়ী ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় বলা হয়, প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রামের সঙ্গে ডিএল মেথিওনিন ১০০ মিলিগ্রাম কম্বিনেশন পদটিতে মেথিওনিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ঝুঁকির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য টেকনিক্যাল সাবকমিটির সভায় উপস্থাপিত হলে সদস্যরা বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করেন।

২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪০তম সভায় বিএনএফ-৬১ রেফারেন্সের ভিত্তিতে ওই ওষুধটি অনুমোদিত হলেও বর্তমানে বিএনএফ ৬৯-এ তা অন্তর্ভুক্ত নেই। এ ছাড়া এ পদটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এমএইচআর) কর্তৃক অনুমোদিত নয়।

এ ছাড়া ওই কম্বিনেশন পদটিতে মেথিওনিনের উপস্থিতির কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হৃদরোগ, ক্যান্সার, হেপটিক এসেফালোপ্যাথি, ব্রেন ড্যামেজ, এসিডোসিসের ঝুঁকি থাকায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এটি প্রত্যাহার করে নেয় ব্রিটিশ উদ্ভাবক কোম্পানিটি।

তাছাড়া ১২ বছরের নিচের কোনো শিশুর জন্য মেথিওনিন সুপারিশকৃত না থাকায় এটি অবাধে ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই ওষুধটি সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত