সিলেটটুডে ওয়েব ডেস্ক

১৭ অক্টোবর, ২০১৫ ১৪:৩৮

যোগাযোগের তথ্য প্রযুক্তি যখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার উপকরণ!

প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন গত শতকেই আশঙ্কা করেছিলেন তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি একসময় মানুষের আবেগ, অন্তরঙ্গতা  কমিয়ে দিতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এই শতক এসে তাঁর সে কথাই সত্যি হতে চলেছে। ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের উপর মানুষের অত্যধিক নির্ভরতা বাড়ার ফলে মানুষে মানুষে সম্পর্ক হয়ে পড়ছে খাপছাড়া।
 
সচরাচর প্রাত্যহিক জীবনের সাথে এমনভাবে মিশে রয়েছে এই গ্যাজেটগুলি। সেজন্য মাঝে মধ্যে আমাদের চারপাশে থাকা মানুষদের কথাই অনেকে ভুলে যায়। দিনের বেশিরভাগ সময় মানুষের চোখ থাকে স্মার্ট ফোন নয়ত ট্যাবলেটের স্ক্রিনে।

প্রেমিক প্রেমিকা ডেট করতে গিয়ে সেলফি, স্ট্যাটাস আর লাইক কমেন্টে ব্যস্ত থেকে নিজেদের মধ্যে কথা বলারই সুযোগ পায়না। খাবার টেবিলে বসে বাবা-মার সাথে দেখা হলেও কথাই হয়না নোটিফিকেশন দেখার ব্যস্ততায়।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনের এরিক পিকারসগিল, একটি কল্পনার দুনিয়া বানিয়ে নিজেদের জীবনে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটের জায়গা করে নেওয়াকে কেন্দ্র করে "রিমুভড" নামে একটি প্রোজেক্ট তৈরি করেন।

তাঁর কতগুলি ছবি হল সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি, খাবারের টেবিলে একটি পরিবার, এক দম্পতি মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে আছে। এই সমস্ত ছবির মধ্যে দিয়ে এরিক বোঝাতে চেয়েছেন আমাদের সাথে আমাদের প্রিয়জনদের মধ্যের দূরত্ব।

এই প্রোজেক্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলার আট মাসে তিনি নিজেদের এই অভ্যাস বদলানোর জন্য তৎপর হয়েছিলেন। ফোনের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে এরিক এবং তাঁর স্বামী একসঙ্গে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস করেন।

এরিকের বলেন, "প্রয়োজন না থাকলে ফোন ব্যবহার করার দরকার নেই। অবসর সময় কাটানোর জন্য ফোনকে সাথী বানানোর কোনও দরকার নেই।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত