সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ জুলাই, ২০১৮ ২১:২৭

নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনে লাগবে নতুন সিম

আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এমএনপি বা নম্বর ঠিক রেখে অন্য অপারেটরের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন টেলিটেক বিডি। তবে গ্রাহককে এই সেবা পেতে হলে নির্দিষ্ট ফি প্রদান ও পুরনো সিম বদল করে নতুন সিম নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) মহাখালীতে নিজ কার্যালয়ে টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য জানান লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাবরুর হোসেন।

লাইসেন্স গ্রহণের পর নির্ধারিত সময় ৩০ মে'র মধ্যে এমএনপি চালুর কথা থাকলেও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো প্রস্তুত না হওয়ায় এই সেবা গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত করতে পারেনি সেবাদাতা অপারেটরটি। তবে পরবর্তীতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে দুই মাস পিছিয়ে ৩১ জুলাই এমএনপি সেবা চালুর সিদ্ধান্ত হয়।

মাবরুর হোসেন জানান, নতুন সময়সীমাকে টার্গেট ধরে মূল ডাটা সেন্টার এবং দুর্যোগকালীন ডাটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার আমদানি ও সমন্বয় করে প্রস্তুত করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্য সব অপারেটরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও চালু করা হয়েছে এই প্ল্যাটফর্ম। গত ৭ মে থেকে এমএনপি সংক্রান্ত ক্লিয়ারিং হাউজ ও সেন্ট্রাল রেফারেন্স ডাটাবেজ প্ল্যাটফর্মটি কার্যরত আছে। ওই সময় থেকেই মোবাইল অপারেটররা প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

তিনি জানান, অপারেটরদের সঙ্গে টেলিটক ছাড়া অন্য অপারেটর পোর্টিং সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তবে টেলিটক স্থাপন করেছে কেবল ভিপিএন কানেকশন। এছাড়াও অধিকাংশ আইসিএক্সের সঙ্গে মোবাইল অপারেটররা আন্তঃঅপারেটর কল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

ছোটখাট কিছু সমস্যা আছে, তবে আমরা গ্রাহকদের এমএনপি সেবা দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছি বলেও উল্লেখ করেন মাবরুর হোসেন।

ইনফোজিলিয়ন টেলিটেক বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ জুলফিকার জানান, এমএনপি সেবা চালু হলে গ্রাহকেরা নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অন্য যে কোনো অপারেটরের সেবা নিতে পারবেন। তবে সেজন্য গ্রাহককে ৩০ টাকা চার্জ দিতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেবা চালু হলে পরবর্তী ৯০ দিন তিনি অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন না।

এমএনপি সেবা নিতে হলে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে চার্জ পরিশোধের পর পুরনো সিম বদল করে নতুন সিম নিতে হবে।

নতুন সিম গ্রহণে কোন অর্থ পরিশোধ করতে হবে কি না সেটা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

মোহাম্মদ জুলফিকার আরও বলেন, এই সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারী মোবাইল নম্বরের পূর্ণ মালিকানা পাবেন। এর মাধ্যমে গ্রাহককে টেলিকম খাতে ক্ষমতায়িত করা সম্ভব হবে। ‘ফ্রিডম অব নেটওয়ার্ক’-এর কারণে গ্রাহক সংযোগ ব্যবহারে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করবেন। কোনও অপারেটরের সংযোগ (সেবার মান) ভালো না লাগলে অপারেটর বদলে ফেলতে পারবেন।

জানা যায়, এই প্রক্রিয়ায় (এমএনপিতে) মোবাইলে বিদেশ থেকে আসা (আইজিডব্লিউ) কলের মান কিছুটা খারাপ হতে পারে। আইজিডব্লিউ ও আইসিএক্স যদি তাদের সেটআপের কারিগরি উন্নয়ন করে তাহলে এই সমস্যা থাকবে না।

এদিকে অভিন্ন কলরেটের বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, অভিন্ন কলরেট এখনও চূড়ান্ত হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবটি আছে। চূড়ান্ত হলেই আমরা সবাইকে জানিয়ে দিতে পারবো।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মের মধ্যে এই সেবা চালুর কথা ছিল। কিছু কারিগরি সমস্যা থাকায় তা চালু করা যায়নি। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এমএনপি সেবা চালুর তাগিদ দিয়েছেন।




আপনার মন্তব্য

আলোচিত