সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৭:৩৮

ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জায়গা নিয়েছে ফেসবুক

ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও অলিতে-গলিতে দেখা যেত ছবিসহ বৈচিত্র্যময় সব ব্যানার। এ প্রবণতা এখন অনেকাংশে কমেছে। বর্তমানে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে ফেসবুক। ঈদ সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেন্দ্রিক সব বৈচিত্র্যময় স্ট্যাটাস এবং শুভেচ্ছা ব্যানারের।

অধিকাংশই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের। কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও ঈদ শুভেচ্ছার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

অনেকেরই অভিমত, কম খরচে মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে এ পন্থা বেশ কার্যকর। কেউ কেউ নিজেই ফটোশপে ডিজাইন করছেন এসব ব্যানার। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন দোকান থেকে কম খরচে তৈরি করে নিচ্ছেন ছবিসহ বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল ব্যানার এবং সেলফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মে।

যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন এ বিষয়ে বলেন, আগে ঈদ উপলক্ষে বড় আকারের ব্যানার শহরের অনেক জায়গায় লাগাতাম। কিন্তু গত বছর থেকে আমরা আর খরচ করে বেশি ব্যানার তৈরি করছি না। আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে কেন্দ্রীয় সব নেতাই আছেন, এক্ষেত্রে আমার শুভেচ্ছা বার্তাটি সব ওয়ালে যাচ্ছে। আমি যদি ব্যানার প্রিন্ট করে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লাগাতাম, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই তাদের নজরে আসত না। এতে খরচও হতো অনেক। কিন্তু ডিজিটাল ইমেজ ব্যানারে খরচ অনেক কম। তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা জানান, তারা এ পন্থায় ভালো ফল পাচ্ছেন। তাদের অভিমত, টাকা খরচ করে বড় শুভেচ্ছা ব্যানার ছাপিয়ে যে কাজ হতো না, বর্তমানে ফেসবুকের কল্যাণে তা সম্ভব হচ্ছে।

মেহেরপুরের গাংনীর বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেনের ফেসবুক ঈদ শুভেচ্ছা বার্তায় অনেক মতামত ও লাইক লক্ষ করা যায়। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফেসবুকের ডিজিটাল ইমেজ ব্যানারে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। কমবেশি সবাই দেখে।

রাজধানী ঢাকার মিরপুরের গ্রিনটেক কম্পিউটারের প্রোপাইটর সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদের সময় তারা ডিজিটাল ব্যানার তৈরির কাজ করেন বেশি। এখন আর আগের মতো শুভেচ্ছা ব্যানার কেউ প্রিন্ট করতে চান না। সবাই সফটকপি নিয়ে নেন এবং তা ইমেজ তৈরি করে ফেসবুক, টুইটার কিংবা গুগল প্লাসের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মে পাবলিশ করেন।

তিনি জানান, ওয়ার্ডভিত্তিক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এসব শুভেচ্ছা ব্যানার তৈরি করেন, যেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তাদের ছবি থাকে। তারা এসব ডিজিটাল ব্যানার তৈরি করতে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।

আজাদ প্রডাক্টর পল্টন শাখার ব্যাবস্থাপক মো. আরমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আগে যে পরিমাণ ছবিসহ ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার ছাপা হতো, এখন সে পরিমাণ ছাপা হয় না। কারণ চাহিদা কমছে। বছর দুয়েক আগেও শুভেচ্ছা ব্যানার ছাপার চাহিদা ছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারাও ছবিসহ ব্যানার তৈরি করতে আসতেন। কিন্তু বর্তমানে এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি ব্যানারের জন্য ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকি। বর্তমানে অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় ডিজিটাল ব্যানার ডিজাইন করে প্রচার করছেন রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

সূত্র : বণিক বার্তা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত