ওয়েব ডেস্ক

২০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১১:৩৭

‘জিহাদি জনের’ মৃত্যুর খবর নিশ্চত করেছে আইএস

আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর অনলাইন ম্যাগাজিন ‘দাবিক’ ‘জিহাদি জন’ নামে পরিচিতি পাওয়া ব্রিটিশ জঙ্গির নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।

বিবিসি বলছে, ইসলামিক স্টেটের প্রোপাগান্ডামূলক ম্যাগাজিন নিশ্চিত করেছে, নভেম্বরে ড্রোন হামলায় তিনি মারা গেছেন।

নভেম্বরে ‘জিহাদি জন’ নিহত হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো সংগঠনটির পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হল।

কুয়েতি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ জঙ্গি জিহাদি জনের প্রকৃত নাম মোহাম্মেদ ইমওয়াজি। ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণকারী ইমওয়াজি ১৯৯৪ সালে ছয়বছর বয়সে ব্রিটেনে পাড়ি জমান।

নভেম্বরে মার্কিন সেনাবাহিনী বলেছিল, তারা ‘যুক্তিসঙ্গতভাবে নিশ্চিত’ আইএসের শক্তঘাঁটি রাক্কায় তিনি (জিহাদি জন) নিহত হয়েছেন।

এরআগে নভেম্বরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আবদুল রহমান বলেছিলেন, “রাক্কা শহরের গভর্নর ভবনের সামনে ইসলামিক স্টেটের চারজন বিদেশিকে বহনকারী একটি গাড়ি মার্কিন বিমান হামলার শিকার হয়। চারজন বিদেশি জঙ্গির একজন ব্রিটিশ জিহাদি।”

তিনি আরো বলেছিলেন, “ওখানকার সবসূত্রই বলছে, একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ জিহাদির লাশ রাক্কার হাসপাতালে রয়েছে। সবগুলো সূত্রই বলছে, এটি জিহাদি জনের লাশ। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে এটি নিশ্চিত করতে পারছি না।”

পেন্টাগনের বরাতে বিবিসিও তখন জানিয়েছিল, সিরিয়ার রাক্কার কাছে এই কুখ্যাত জঙ্গিকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়।

ইমওয়াজিকে আইএসের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে পশ্চিমা বন্দিদের শিরশ্ছেদে হত্যা করতে দেখা গেছে। আর এরপরই তাকে ধরার জন্য বিশ্বব্যাপী অভিযান শুরু হয়।

২০১৪ সালের অগাস্টে একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে পোস্ট করা হয়। তাতে দেখা যায় ইমওয়াজি মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলিকে শিরশ্ছেদে হত্যা করছেন।

এর মধ্য দিয়েই ইমওয়াজির ব্যাপারে বিশ্ববাসী প্রথম জানতে পারেন।

পরবর্তী সময়ে মার্কিন সাংবাদিক স্টিভেন সতলফ, ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী ডেভিড হাইনেস ও ট্যাক্সিচালক অ্যালান হেনিং এবং মার্কিন ত্রাণকর্মী আবদুল রহমান কাসিগকে শিরশ্ছেদে হত্যার চিত্র ধারণ করা হয়। প্রত্যেকের হত্যাকারী এই ইমওয়াজি।

প্রতিটি ভিডিওতেই ইমওয়াজি মুখঢাকা কালো পোশাক পরে উপস্থিত হয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত