নগ্ন ভাস্কর্য ঢেকে ফেলা হয়েছে ইতালিতে। ভাস্কর্য হিসেবে এই সব মূর্তিগুলির রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। কিন্তু, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজির-র নির্দেশে এখন তাদের পর্দার আড়ালে রাখা হয়েছে। এর ফলে গোটা দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

কেন ঢেকে দেওয়া হল মূর্তিগুলি?

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি ইতালি সফরে এসেছেন। তাঁর সফরকালে যাতে কোনও বিতর্ক তৈরি না হয়, সে কারণেই নগ্ন মূর্তিগুলি ঢেকে দেওয়ার নির্দেশ। বিরোধীরা এ কারণে প্রকাশ্যে রেনজির-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের মতে, দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে মাটিকে মিশিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

অনেকের মতে, ইউরোপের অর্থনীতির দেউলিয়া দশাটাই এই ঘটনায় প্রমাণিত হল। কারণ, রৌহানির এই সফরে ইতালির সঙ্গে ইরানের প্রায় ১৭ বিলিয়ন ইউরোর বাণিজ্যিক চুক্তি হয়। কোনও পরিস্থিতিতেই রেনজি ঝুঁকি নিতে চাননি। কাজেই, বিতর্ক তৈরি হতে পারে এমন বিষয় থেকে তিনি দূরে থাকতে চেয়েছেন। আর সে কারণেই নগ্ন ভাস্কর্যগুলিকে ঢেকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রাক্তন আইনসভার এক সদস্য লুসা স্কুয়েরি বলেন, ‘‘অন্যের সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া মানে নিজেদেরটাকে অবহেলা করার কোনও মানে হয় না। এটা এক ধরনের সমর্পণ, যা দেশের পক্ষে লজ্জাজনক।’’

শুধু ভাস্কর্য ঢেকে দেওয়া নয়, ইরানের অনুরোধ মেনে সরকারি ভোজসভার মেনু থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ওয়াইন-ও। যদিও এটাই প্রথম বার নয়। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এক প্রিন্স এসেছিলেন ইতালিতে। ফ্লোরেন্সের রেঁনেসাস হলে প্রধানমন্ত্রী রেনজি-র সঙ্গে প্রিন্সের বৈঠক হয়। সে বারও ওই হলের সমস্ত নগ্ন ছবি ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।