ইন্টার‍ন্যাশনাল ডেস্ক

০১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৫:০০

ইতিহাস সৃষ্টির সংসদে মিয়ানমার

ইতিহাস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে পার্লামেন্ট অধিবেশনে জড়ো হয়েছেন নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা। এ সংসদের মাধ্যমে মিয়ানমারগণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে বলে আশা করছেন সবাই।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী সোমবার প্রথমেই তারা পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান এবং পরে উচ্চ ও নিম্ন কক্ষের স্পিকার নির্বাচন করবেন।

নির্বাচনে ৮০শতাংশেরও বেশি আসনে জয়ী ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)-র উইন খেয়াং থান ও উইন মিন্ট কক্ষ দু’টির স্পিকার নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে এনএলডির পক্ষ থেকে এই দু’জনকে মনোনীত করার কথা জানিয়েছিলেন গত পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা অং সান সু চি।

মিয়ানমারের নতুন সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই সেনাবাহিনীর জন্য এক চতুর্থাংশ আসন সংরক্ষিত আছে; বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ও তাদের হাতে থাকবে। এরই মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ যাত্রা শুরু হবে এনএলডি সরকারের।

মার্চে বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পার্লামেন্টকে নতুন একজন প্রেসিডেন্ট ঠিক করতে হবে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এনএলডি প্রেসিডেন্ট পদে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে বলে দলটির শীর্ষ নেতা উইন তেইন বিবিসিকে জানিয়েছেন।       

১৫ বছর ‘গৃহবন্দী’ থাকা সু চির স্বামী ও সন্তান ‘ব্রিটিশ’ নাগরিক হওয়ায় বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। তাকে প্রেসিডেন্ট করতে হলে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে, যা সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত আসন এবং প্রভাবের কারণে এখনও অনেকটাই কঠিন।   

তবে এনএলডি’র যে-ই প্রেসিডেন্ট পদে আসুক না কেন, মূল ক্ষমতা ও নেতৃত্ব সু চির হাতেই থাকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

১৯৬২ সালে সর্বশেষ মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংসদ ছিল। এরপর পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে সামরিক ও তাদের প্রভাবযুক্ত সরকারের শাসন চালু ছিল।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত