ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১০:৩২

নোবেল শান্তি পুরস্কারের তালিকায় স্নোডেন

যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস করে বিশ্বে সাড়া জাগানো সাবেক সিআইএ কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন গতবারের মতো এবারও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকায় প্রাধান্য পাচ্ছেন।

তার সঙ্গে এ তালিকায় আরও আছেন, কলম্বিয়ায় শান্তি আলোচনায় ভূমিকা রাখা আলোচকরা এবং সিরিয়ার শরণার্থীদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানো গ্রিক দ্বীপবাসীরা।

ইরানের পারমাণবিক চুক্তির আলোচকরাও এ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে থাকছেন বলেই ধারণা করছেন নোবেল পর্যবেক্ষকরা। গত বছর পুরস্কারটি ‘তিউনিশিয়ান ন্যাশনাল ডায়লগ কোয়ার্টেট’ পাওয়ায় এবার সে সম্ভাবনা আরও জোরাল হয়েছে।

সোমবারই শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রস্তাব করার সময়। আর এ শেষ সময়টিতেই স্নোডেনকে তালিকার শীর্ষে রাখার কথা জানিয়েছেন ‘পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ এর প্রধান ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন।

অসলোয় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘২০১৬ সাল শেষ পর্যন্ত এডওয়ার্ড স্নোডেনের বছরই হতে পারে... এখন তার ফাঁস করা তথ্যের ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে স্নোডেন বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নজরদারির কথা ফাঁস করার প্রেক্ষপটেই অনেক দেশ এখন তাদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের নীতি পাল্টাচ্ছে। এতে করে মানবাধিকার রক্ষা হচ্ছে।

ওই গোপন তথ্য ফাঁসের পরই স্নোডেন পালিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ানটেড তালিকায় আছে তার নাম। বর্তমানে রাশিয়াতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছেন স্নোডেন।

নেটোর সদস্য দেশ নরওয়ের নোবেল কমিটি স্নোডেনকে এবার পুরস্কার দিলে তা হবে ২০০৯ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চপোটাঘাতের শামিল।

তবে কলম্বিয়ায় ৫ দশকের যুদ্ধ অবসানে অবদানের জন্য সরকার ও ফার্ক বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্ততাকারী আলোচকদেরও শান্তি পুরস্কার দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এই আলোচকরা তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন বলে জানিয়েছেন হার্পভিকেন।

তিনি আরও জানান, এর চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে ইরানের পারমাণবিক চুক্তির পেছনে ভূমিকা রাখা আলোচকদেরকে। কারণ, ওই চুক্তির কারণেই ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে।

তালিকায় অন্যান্যদের মধ্যে সিরীয় ও অন্যান্য শরণার্থীদেরকে সহায়তা করা একটি গ্রিক দ্বীপের অধিবাসীরা। তবে সেখানে নোবেল জয়ী নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে। আর একারণে ব্যক্তি ও সংগঠনভেদে নোবেল পুরষ্কারটি তিনভাগে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে বেলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত