ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৪:২১

একদিন জেল খাটার পর ছাগলের জামিন

জেলা বিচারকের বাড়িতে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে বাগানের গাছপালা ও সবজি খেয়েছিল ছাগলটি। এ অপরাধে মামলা হলো তার বিরুদ্ধে। ছাগলটিকে গ্রেফতারও করল পুলিশ। একদিন জেল খেটে জামিনে মিলল মুক্তি। এখন তার ভাগ্য ঝুলছে আদালতের ওপর। আদালতে অপরাধ প্রমাণ হলে দুই থেকে সাত বছরের জেল ও জরিমানা হতে পারে ছাগলটির!

ভারতের ছত্তিশগড়ে কোরেয়া জেলায় ঘটেছে এ ঘটনা। ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে কোরেয়ার অবস্থান। গত সোমবারের ওই ঘটনায় ছাগলের মালিক আবদুল হাসানকেও আটক করে পুলিশ। ছাগলটির অপরাধ স্বীকার করে মঙ্গলবার জামিন পান হাসান ও তার ছাগল।আবদুল হাসানের বাড়ির পাশেই বিরাট বাংলো জেলা বিচারক হেমন্ত রাত্রের। বাগানঘেরা ওই বাংলোয় প্রায়ই ঢুকে পড়ত ছাগলটি। পুলিশের কাছে বাগানের মালী অভিযোগ করেন, বাংলোর লোহার গেটে তালা দেওয়া থাকলেও রীতিমতো গেট টপকে বাগানে ঢুকে গাছপালা তছনছ করত ছাগলটি। বারবার এ ঘটনা ঘটেছে। কয়েকবার তো অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বিচারক হেমন্ত রাত্রে নিজেই পুলিশের কাছে ছাগলটির নামে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। অনেকবার ছাগলটির মালিককেও সতর্ক করে দেওয়া হয়।

দিন কয়েক আগে আবার বাগানে ঢোকে ছাগলটি। এর পরেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাগানের মালী। পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আর পি শ্রীবাস্তব জানান, ছাগলটির 'অপরাধ' হিসেবে লেখা হয়েছে, বাগানের ঘাস খেয়েছে, এমনকি বিভিন্ন চারাগাছ ও সবজি খেয়েছে। ছাগলের মালিক আবদুল হাসান ও তার ছাগলের বিরুদ্ধে অনধিকার প্রবেশ ও অনিষ্ট করার অভিযোগ করা হয়েছে। 

আপাতত ছাগলটির জামিন মিলল বটে। কিন্তু জানা গেল না, জেলের না বাগানের, কোথাকার ঘাস শেষমেশ ঝুলছে এই ছাগলের ভাগ্যে।

খবর :এনডিটিভি, ডেইলি মেইল ও আনন্দবাজার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত