ওয়েব ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১২:১০

সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ঐকমত্য

বিবিসি বাংলা প্রতিবেদন

সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য একটি চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে বৃহৎ শক্তির দেশগুলো। জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন নেতৃবৃন্দ। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জানান,  সিরিয়ার অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়েও সম্মত হয়েছে তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে কেরি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ ও সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত।

কেরি বলেন, "যুদ্ধবিরতি ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল-নুসরা ফ্রন্টের জন্য কার্যকরী হবে না।" তিনি বলেন, "এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি বেশ কঠিন হতে পারে। কারণ এই উদ্যোগকে সবগুলো পক্ষ কতটা সম্মান করবে তার ওপর নির্ভর করবে এর সফলতা।" অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলেও জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে কেরি ও ল্যাভরভ মনে করেন, সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে অতিদ্রুত শান্তি আলোচনা শুরু করা উচিত।

এদিকে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বৃহৎ শক্তিগুলো এমন একসময় সম্মত হলো যখন রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এলাকাটি সরকারবিরোধীদের দখলে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করতে আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সিরিয়ার যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশারের পক্ষে রাশিয়া সম্পৃক্ত হওয়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে থাকে।

রাশিয়া বলছে, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএসকে লক্ষ্য করে তাদের বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে প্রেসিডেন্ট আসাদবিরোধীদের লক্ষ্য করে রাশিয়া বিমান হামলা চালাচ্ছে।

গত সাড়ে চার বছরের যুদ্ধে সিরিয়ায় ৬৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেবে এখনও পর্যন্ত এ যুদ্ধ আড়াই লাখ মানুষ মারা গেছে। সিরিয়া থেকে হাজার হাজার শরণার্থীর স্রোত ইউরোপের দিকে গেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত