নিউজ ডেস্ক

২৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১১:০১

জাতিসংঘের মহাসচিব হতে পারবেন নারীরাও

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর ৭০ বছর ধরে মহাসচিব নির্বাচনের যে নিয়ম চলে আসছিল তাতে এবার পরিবর্তন আসছে। এতদিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে একজনের নাম নির্বাচন করা হতো। তবে এ নিয়মের বিরোধিতা করে আসছে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তাই এবার নতুন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মহাসচিব নির্বাচন করা হবে।

নতুন নিয়মে, প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে মহাসচিব পদের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীর সঙ্গে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব চালাতে পারবেন জাতিসংঘের সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। আর এরই ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হবে সংস্থাটির পরবর্তী প্রধান। এই নতুন প্রধানই বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। তা ছাড়া এই প্রথম মহাসচিব পদে নারীরাও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন। বান কি মুনের মেয়াদ এ বছরই শেষ হবে। ইকোনমিক টাইমস।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট মোজেন্স লিকেটফট নতুন নিয়ম ঘোষণা করেন। এই পদক্ষেপকে তিনি 'ঐতিহাসিক ও বড় ধরনের পালাবদল' বলে অভিহিত করেন। মোজেন্স বলেন, আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে প্রার্থী হিসেবে যারা নাম দেবেন, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ব্যক্তিগতভাবে তিনি আলোচনায় বসবেন।

নতুন নিয়মে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব করা প্রার্থীর নামও ভোটাভুটির মাধ্যমে বাতিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। যতক্ষণ না নিরাপত্তা পরিষদ নতুন মহাসচিবের নাম ঘোষণা করছে, প্রার্থী বাতিলের এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তবে নিরাপত্তা পরিষদে এ রকম 'ভেটো' দেওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না বলেই আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মোজেন্স আরও বলেন, সব সদস্য দেশ একমত হয়ে কাউকে মহাসচিব হিসেবে বেছে নিতে পারলে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদও বিনা আপত্তিতে সেই নামটি গ্রহণ করবে। আর তাই হবে সবচেয়ে ভালো। মহাসচিব পদের মেয়াদ ৫ বছর।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক নাগরিক সংগঠনগুলোর চাপের মুখে এবার কোনো নারীর পক্ষেই জাতিসংঘের মহাসচিব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এরই মধ্যে ৬ জন মহাসচিব পদে প্রার্থী হয়েছেন। যাদের তিনজনই নারী। তারা হলেন, বুলগেরীয় নাগরিক ইউনেস্কোর প্রধান ইরিনা বাকোভা, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ভেসনা পুসিক ও মালডোভার কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নাতালিয়া ঘারম্যান।

পুরুষ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, মেসিডোনিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস কেরিম, মন্টেনিগ্রোর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইগর লাকসিক এবং স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দানিলো টার্ক।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যায়ক্রমে মহাসচিব নির্বাচনের রীতি সেই ১৯৬১ সাল থেকেই চালু রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এশিয়ার বান কি মুনের পর এবার পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশের (বিশেষ করে বুলগেরিয়া) কারও মহাসচিব হওয়ার পালা।

সূত্র: সমকাল অনলাইন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত