সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ মার্চ, ২০১৬ ১৩:০৪

নেতাজির নাতি চন্দ্র বসু মমতার বিরুদ্ধে লড়বেন

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র বসু মমতার ব্যানার্জির বিরুদ্ধে এবার বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।

বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসন থেকে লড়বেন তৃণমূল প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু পরিবারের সঙ্গে বরাবরই ভালো সম্পর্ক তৃণমূলপ্রধানের।

নেজাতির আরেক নাতি সুগত বসুও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য। এমনকি তাঁর মা কৃষ্ণা বসুও সক্রিয় তৃণমূল সমর্থক ও সাবেক সাংসদ।

নেতাজি পরিবারের আরেক সদস্য চন্দ্র বসু জানুয়ারিতে বিজেপি সভাপতি অমিত সিংয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন।  

বুধবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় দিল্লির বিজেপি ভবন থেকে একটি কেন্দ্রশাসিত রাজ্যসহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মোট ৭১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৫২ জনের নাম ঘোষণা করেন বিজেপি নেতা জে পি নাড্ডা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও এবার ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন। তবে বিজেপি ২৯৪ আসনে এদিন প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি।

এদিকে, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ প্রার্থী হিসেবে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে লড়ছেন কংগ্রেস নেতা ওম প্রকাশ মিশ্র।

কলকাতার ভবানীপুরে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের ভোট যাতে ভাগ না হয়- সেই লক্ষ্য নিয়ে জোট গড়েছে দল দুটি। মাঠে ময়দানে ভোটের প্রচার-প্রচারণার চেয়ে কলকাতার বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে রাজনৈতিক টক-শোতেও এখন রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছেন।

বুধবার উত্তরবঙ্গের মালদার ইংরেজ বাজার থেকে ভোটের আনুষ্ঠানিক সভা করেন মমতা ব্যানার্জি। মমতা এদিন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোট নিয়ে কার্যত আক্রমণাত্মক ভাষা প্রয়োগ করেন দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা বলেন, "এতদিন তো নাটক হচ্ছিল গোপনে। এখন প্রকাশ্যে এসেছে।" এই জোটকে বামধনূ বলেও কটাক্ষ করেন মমতা ব্যানার্জি।

মমতা বলেন, "মুখ ও মুখোশের জোট হয়েছে।" এই জোটকে নীতিহীন জোট বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বামফ্রন্ট অবশ্য এ মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে। ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা রবীন দেব বলেন, "আসলে মমতা ব্যানার্জি এই জোটে ভয় পেয়েছেন। তাই এমন মন্তব্য করছেন।"

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে এবার বড় চমক কারাবন্দি তৃণমূল শীর্ষ নেতা মদন মিত্রের প্রার্থী হওয়া। এবার সেই মদন মিত্র আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে কার্যত সংবাদ সম্মেলন করে গেলেন।

তিনি বললেন, "আমি ভোটে দাঁড়িয়েছে। আমাকে আমার কামারহাটির মানুষ দোয়া-আশীর্বাদ করবেন। আমি প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় মানুষ।" সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে দেড় বছর আগেই গ্রেপ্তার হন তৎকালীন পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র। সেই মদন মিত্র এদিন আদালত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়েই ভোটের প্রচার করেন। এ খবর নিয়েও তোলপাড় চলছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত