ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০১ এপ্রিল, ২০১৬ ১২:০৩

কলকাতায় ফ্লাইওভার ধস : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে। উদ্ধারকাজে পশ্চিমবঙ্গকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আজ শুক্রবার ওয়াশিংটন সফররত মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ফোন করে এ আশ্বাস দেন। মোদির কার্যালয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় এ খবর জানায়। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা।

ফ্লাইওভারটি ধসে পড়ার কারণ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা যায়, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনের আগে দ্রুত ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করার জন্য চাপ দিয়েছিল। দ্রুত করতে গিয়ে ফ্লাইওভারের স্টিলের কাঠামোটি ভারী ওজন নেওয়ার উপযোগী করা হয়নি। ফলে ওই অংশটি ধসে পড়ে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর কলকাতার বড়বাজার অঞ্চলের জোড়াসাঁকো এলাকায় নির্মাণাধীন বিবেকানন্দ উড়ালসড়ক ভেঙে পড়ে। গুরুতর আহত হয় ৭৮ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসাধীন।

ফ্লাইওভারের ধসে পড়া ১৫০ মিটার প্রশস্ত অংশটি সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কংক্রিট ও ধাতব পদার্থের ধ্বংসস্তূপে অনেকে আটকা বলে আশঙ্কা আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, যাত্রীবাহী বাস, ট্যাক্সি, টানা রিকশা চাপা পড়তে দেখেছেন তাঁরা। তবে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর (এনডিআরএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) সুরজিত সিং গুলেরিয়া জানান, ভেঙে পড়া অংশের নিচে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই। সারা রাত ধরেই উদ্ধারকাজ চলেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে যাত্রীবাহী মিনিবাস ও গাড়ি আটকে রয়েছে বলে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল তা ঠিক নয়।

উদ্ধারকারীরা বলছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুটি রাস্তার সংযোগস্থলের অংশটি পরিষ্কার করে ফেলা সম্ভব হবে। তবে যে অংশে গার্ডার বিপজ্জনকভাবে পিলার থেকে ঝুলছে সেই অংশ পরিষ্কার করতে প্রকৌশলীদের সহায়তা লাগবে। ফ্লাইওভারের ভেঙে পড়া মূল অংশ সরাতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

হায়দরাবাদের নির্মাণ সংস্থা আইভিআরসিএল ভেঙে যাওয়া ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করছে। এর কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। বাম সরকারের আমলে এই উড়ালসড়কের নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। আর বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। আইভিআরসিএলের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ এফআইআর করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৭ বছর ধরে তারা অসংখ্য সেতু নির্মাণ করেছেন। কখনো এ রকম দুর্ঘটনা ঘটেনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত