আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ মে, ২০১৫ ১৭:১৬

এবার ভূমিধস-বন্যায় বিধস্ত নেপাল

ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ভূমিধস ও বন্যার কবলে পড়েছে হিমালয়কন্যা নেপাল। এঘটনায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার অধিবাসী ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে একশ’ ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মিয়াগদি জেলায় কালি গন্দকি নদীর গতিপথে ভূমিধসের কারণে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৩ মে) স্থানীয় সময় দিনগত মধ্যরাতে ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এতে ওই এলাকায় নদীর পানির উচ্চতা ২শ’ মিটার (৬শ’ ফুট) পর্যন্ত বেড়ে যায় বলে জানা গেছে। 

ভূমিধস ও বন্যার ঘটনায় আক্রান্ত এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে নেপাল কর্তৃপক্ষ। ওই এলাকায় উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা দিতে সেনাসদস্যদের পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল নেপালে আঘাত হানে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর ১৭তম দিনে আবারও ৭.৩ মাত্রার অপর এক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। এই দুই ভূমিকম্পে সেখানে অন্তত সাড়ে আট হাজার অধিবাসী নিহত হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।

ভূমিকম্পের ফলে নেপালে সম্পূণ অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় তিন লাখ বাড়িঘর। সেই সঙ্গে গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ।

ভূমিধসের কারণ হিসেবে ভূমিকম্পকেই দায়ী করে নেপালী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লক্ষ্মি প্রশাদ ধাকাল বলেন, আমরা নদী তীরবর্তী গ্রামবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছি।

২৫ এপ্রিলের ভূমিকম্পের পর নেপালের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকবার ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকাতেই নেপালের একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত। কেন্দ্রটি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

সেনা হেলিকপ্টার আক্রান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে নেপাল সেনাবাহিনী। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পানির উচ্চতা আরও বাড়লে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করার ঝুঁকি রয়েছে।

নেপালের কালি গন্দকি নদীটি ভারতে প্রবেশ করে গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিশেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত